শমিত, শান্তিপুর, ৩১ আগস্ট, ছবি সুমিত দাস#
সুদানে দুর্ভিক্ষের সময়ে ত্রাণশিবিরের দিকে হামাগুড়ি দিতে দিতে, ধুঁকতে ধুঁকতে একটা হাড় জিরজিরে শিশু এগিয়ে যাচ্ছে, একটা শকুন তার পেছনে পেছনে এগোচ্ছে, কখন শিশুটি মরবে আর শকুনটা তাকে খাবে। এই ছবিটা তোলেন কেভিন কার্টার। ছবিটা সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দেয়। তা পুলিৎজার পুরস্কার এনে দেয় কেভিনকে। সাংবাদিকরা কেভিনকে বারবার জিজ্ঞাসা করেন, আপনি চলে এলেন, শিশুটির কী হল? মনের যন্ত্রণায় কেভিন কয়েক মাসের মধ্যে আত্মহত্যা করেন।
গত ১৯ আগস্ট বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে ফটো ক্রিয়েটিভ আর্টস অফ শান্তিপুর বা ‘ফোকাস’-এর আয়োজনে ‘ব্যাং ব্যাং ক্লাব’ স্টিভেন রিলভার পরিচালিত সিনেমাটোগ্রাফি পরিবেশিত হয়। এই ১০৬ মিনিটের সিনেমাটোগ্রাফটির বিষয়, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা’। যখন বর্ণবৈষম্যবাদ থেকে নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন জুলু উপজাতির সাথে চলছে নেলসন ম্যান্ডেলার এএনসি বা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস-এর জাতিদাঙ্গা। সেই সময়ে চার তরুণ ফটোগ্রাফার জোয়াও সিলভা, কেভিন কার্টার, কেন উস্টার, গ্রেক ম্যারিনোভিচ-এর জীবনভিত্তিক স্টিভেন সিলভা পরিচালিত ও নির্মিত ছবি ‘ব্যাং ব্যাং ক্লাব’।
এছাড়াও দেখানো হয় রণ ফ্রিক পরিচালিত ৯৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের নির্বাক সিনেমাটোগ্রাফ ‘বরাকা’। আরবিতে ‘বরাকা’ শব্দটির অর্থ আশীর্বাদ। বর্তমান সভ্যতা সম্পর্কে এই ছবি অনেক প্রশ্ন তোলে।
‘ফোকাস’-এর দশজন সদস্যের তোলা ‘ফটোগ্রাফিক স্লাইড’শো অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার অন্যতম সভ্য ধীমান বসাক।
১৯ আগস্ট বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসে ফোকাস-এর এই আয়োজন বেশ তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে।
Leave a Reply