অগ্নীশ্বর চক্রবর্তী। শ্রীরামপুর। ১৮ জুলাই, ২০২০। #
আমরা একটা ৫২ বছরের পুরানো বাড়িতে থাকতাম। বাড়িটি বিক্রি হয়ে যায় তিনমাস আগে। গত আড়াই মাস যাবৎ আমরা অন্য একটি বাড়িতে উঠে গেছি। ওই বাড়ির পাশেই WBSEDCL এর অফিস। তা সত্ত্বেও রামপ্রসাদ গোয়েঙ্কার CESC এর একচেটিয়া বিজনেস। সাধারণ ভাবে আমাদের বাড়িতে ৮০০/৯০০ টাকার মোট বিল আসত। গত আড়াই মাস সেখানে না থাকার পরেও বিল এসেছে ৫,৪৮০ টাকা। সারা রাজ্য জুড়েই CESC লকডাউন ও আমফানের অজুহাতে হাজার হাজার টাকা বিল পাঠাচ্ছে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেবের বাড়িতে ১১,০০০ এর বিল আসতেই হৈ চৈ পড়ে গেছে। তাহলে এক ইউনিটও বিদ্যুৎ খরচ না করে, আমাদের মত অতি সাধারণ অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবারের কী দশা হতে পারে ভাবুন। CESC এর মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা রাজ্যের শাসক দলের কাছের লোক। এমন নয় তৃণমূলের। বলা ভালো আগের রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও প্রভাবশালী নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুত্বের উপর ভর করেই রামপ্রসাদ গোয়েঙ্কার উত্থান। সেই পরম্পরা তার সুযোগ্য পুত্র বজায় রেখেছেন।
বামফ্রন্ট আমলে বিদ্যুতের দাম CESC বাড়িয়েছিল ১৮ বার। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই CESC ১৩% ট্যারিফ বাড়ায়। তারপর বিদ্যুতের দাম সাতবার বেড়েছে। কখনোই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কিচ্ছুটি বলা হয়নি। উপরন্তু সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বঙ্গ বিভূষণে পুরস্কৃত হয়েছেন।
Leave a Reply