২৭ ফেব্রুয়ারি, নারায়ণ নন্দী, ডিমাপুর, নাগাল্যান্ড#
২৬ ফেব্রুয়ারি আসামের যোরহাটের একটা স্কুলে দেবল দেব এসেছিলেন ইকো ক্লাবের সিড ব্যাঙ্ক উদ্বোধনের এক অনুষ্ঠানে। সভা শুরু হয় বাচ্চাদের একটি পথনাটকের মধ্য দিয়ে। তিনি বাচ্চাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করলেন। একটা বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করা হল, এই ধানগুলো কেন রক্ষা করা দরকার? সে বলল, এই ধানগুলো রক্ষা করা উচিত, কারণ এগুলোর জন্য রাসায়নিক সার লাগে না, বেশি জলও লাগে না। এটা বেশ ভালো হয় এবং পরিমাণেও বেশি হয়। আর একজন বলল, এমন কিছু ধান আছে যা জলের মধ্যে পড়ে গেলেও আবার তা জল থেকে জেগে ওঠে। দেবল দেব শুনে খুশি হলেন। তিনি বললেন, ‘আমার আধা কাজ হয়ে গেছে’। এখানে বাচ্চাদের টার্গেট করা হয়েছিল। কারণ ওরা যদি সজাগ হয়, তাহলে বড়ো হয়ে কিছু করতে পারবে। আর একটা কথাও দেবল দেব বলেন, ধান নাকি বারো হাজার বছর আগে এখানেই প্রথম উৎপন্ন হয়েছিল। ১৯৭০ সালের আগে এখানে পঞ্চাশ হাজার প্রজাতির ধান পাওয়া যেত। এখন কত পাওয়া যায়, তার কোনো হিসেব নেই। এমন কিছু ধান আছে, যার থেকে দুটো চাল হয়। এখানে খুঁজলে হয়তো সেইসব ধান পাওয়া যাবে। দেবল দেব বলেন, ‘ধানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের সংস্কৃতি। ধানের চাল থেকে পিঠে হয়, আরও কত খাবার হয়। মানুষ ভালোবেসে সেগুলো আবার ফিরিয়ে আনতে পারে। কোন ধানে কত জল লাগে, কত ভালো হয়, এই জ্ঞান আমাদের রক্ষা করতে হবে। যারা পড়াশুনো জানে না, তারা কিছুই জানে না, এটা ঠিক নয়। এইসব চাষিদের যে জ্ঞানটা ছিল সেটা ধরে রাখতে হবে। আসল জ্ঞান হল, আমাদের জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করার জ্ঞান।’ এখানে যোরহাটে ২৫৩টা ইকো ক্লাব আছে, তারা কিছু না কিছু কাজ করে যাচ্ছে। কিছু ক্লাব ওষধি উদ্ভিদের বাগান করেছে।
Leave a Reply