শান্তিপুর থেকে শিয়ালদা ট্রেনে যাতায়াতের পথে সহযাত্রীদের সঙ্গে প্রতিদিন নানা বিষয় নিয়ে কথাবার্তা চলে। তেমনই গত কয়েকদিন আগে শান্তিপুর নতুনপাড়া, গোপালপুর সংলগ্ন জনৈক সহযাত্রীর সঙ্গে ট্রেনে কথা হচ্ছিল স্থানীয় কিছু বিষয় নিয়ে। কথা প্রসঙ্গে উঠল ‘জাম’-এর ফলনের কথা। সহযাত্রীটির বাড়িতে বেশ কয়েকটি জাম গাছ আছে। জানা গেল, তার ফলন হয় প্রচুর। মরশুমি এই ফলটির নানা গুণাগুণের কথাও জানা গেল। প্রচুর ফলন হলেও এবারে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা হল, ফল আকারে খুব একটা বাড়েনি। কারণ হিসেবে তিনি অনুমান করছেন অন্যান্য বারের মতো গাছে বাদুড়-এর আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টার প্রতি কৌতূহল জাগল। জানতে চাইলাম, বাদুড়ের প্রয়োজনীয়তাটা কেন? সহযাত্রীটি জানালেন, জামের একটি ডাঁটিতে অনেক ফল ধরে। তার মধ্যে কিছু ফল সময়ের আগে পাকলে
সেগুলো বাদুড়ে খেয়ে নেয় এবং থোকার জায়গা খানিকটা ফাঁকা হয়ে যায়, যার ফলে থোকার অন্য ফলগুলো তাড়াতাড়ি বেশ বড়ো হতে পারে। এবারে গাছে বাদুড় না বসাতে ফলগুলিও আর তেমন বাড়ছে না। সহযাত্রীটি অনুমান করছেন, এবারে তাঁদের পাড়াতে বাড়ির কাছাকাছি একটা বেসরকারি মোবাইল টাওয়ার বসেছে। যে জন্য হয়তো বাদুড়ের আনাগোনা কমেছে।
মনে পড়ল, বিশেষজ্ঞদের নানা আলোচনা বা মতামত শুনেছি, এবং জেনেছি মোবাইল টাওয়ারের ফলে অনেক ধরনের ছোটো ছোটো পাখিদের ক্ষতি হচ্ছে। টাওয়ারের বিকিরণে না কি চড়ুই জাতীয় পাখি অনেক মারা পড়ছে। শান্তিপুরে বেশ কিছু বছর আগে বাদুড়তলা বলে একটা জায়গা ছিল যেখানে একটা বিরাট বটগাছে প্রচুর বাদুড়ের আশ্রয় ছিল। পরে গাছটা কেটে দেওয়াতে বাদুড়গুলিও চলে যায়। কয়েকবছর আগেও কিছু বাদুড় দেখা যেত। এবার তাহলে টাওয়ারের কল্যাণে বাদুড়ও অবলুপ্তির পথে যেতে বসল!
মনে পড়ল, বিশেষজ্ঞদের নানা আলোচনা বা মতামত শুনেছি, এবং জেনেছি মোবাইল টাওয়ারের ফলে অনেক ধরনের ছোটো ছোটো পাখিদের ক্ষতি হচ্ছে। টাওয়ারের বিকিরণে না কি চড়ুই জাতীয় পাখি অনেক মারা পড়ছে। শান্তিপুরে বেশ কিছু বছর আগে বাদুড়তলা বলে একটা জায়গা ছিল যেখানে একটা বিরাট বটগাছে প্রচুর বাদুড়ের আশ্রয় ছিল। পরে গাছটা কেটে দেওয়াতে বাদুড়গুলিও চলে যায়। কয়েকবছর আগেও কিছু বাদুড় দেখা যেত। এবার তাহলে টাওয়ারের কল্যাণে বাদুড়ও অবলুপ্তির পথে যেতে বসল!
শমিত আচার্য, শান্তিপুর, ১২ জুন
Leave a Reply