শাহবাগ চত্বরের ফেসবুক পেজ-এ ব্লগার আরিফ জেবতিক-এর প্রকাশনা#
এই মেয়েকে চিনতাম না, আগে দেখিনি কখনোই। নাম সানজিদা নদী, পেশায় প্যারামেডিকস। শাহবাগ থেকে যখন ফিল্ড হসপিটালের দ্বিতীয় টিমটা রওনা হয়ে যায়, তখন শাহবাগে এসে উনিও সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তখন অন্য কোনো গাড়ি ছিল না, ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গে অন্যান্য কিছু স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে ওঁকেও ট্রাকে তুলে দেওয়া হল।
সাভারে আমারে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল টিমগুলোর সমন্বয় করা। তো আমি ওঁকে ধ্বংসস্তুপে যেতে দেই না, হাসপাতালের কাজে লাগিয়ে রাখলাম।
কিন্তু রাত ১২টায় দেখি উনি হেলমেট পরে অন্যান্য জিনিস নিয়ে একটা টিমে ভিড়ে গেছেন। টিম পাঠানোয় কিছু বেসিক নিয়মকানুন তৈরি করা হয়েছিল, ৮ জন করে ভেতরে ঢুকবে, ভেতরে ঢুকে ২ জন করে ছড়িয়ে পড়বে। ঠিক দেড়ঘন্টা পরে বাইরে বের হয়ে আসবে, এক সেকেন্ডও দেরি করবে না। আরেকদল বাইরে রেডি থাকবে, ভেতরের দল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন দল সেখানে দায়িত্ব নেবে। যেহেতু ২ জন করে একেকটা উপদল, সানজিদা নদীকে ওই সময় দলে নিলে বেজোড় হয়ে যায়। একা কাউকে কোনো গর্তে ঢুকতে দিচ্ছিলাম না আমরা। আমি ওঁকে কড়া করে নিষেধ করলাম। তারপরও উনি ঘ্যানঘ্যান করতে থাকলেন, আমি প্রথমে খুব নরম ভাবে, পরে গরম হয়ে জানিয়ে দিলাম যে প্রত্যেককে শৃংখলা মানতে হবে, এখানে স্বেচ্ছাধীন কিছু চলবে না। তারপরও ওঁর আগ্রহ দেখে পরের ব্যাচে ভেতরে পাঠিয়ে দিলাম।
বাকিটা এখানে বলব না। জয় ইতিমধ্যেই ওঁকে সুপারওম্যান আখ্যা দিয়েছে। এটাও কম হয়ে যায়।
Leave a Reply