অমিতা নন্দী, মহেশতলা, ৬ সেপ্টেম্বর#
ব্রেসব্রীজের কাছে জিনজিরাবাজারে যে অংশ বজবজ রোডের বাঁদিকে ছিল, সেখানকার দোকানিরা মহেশতলার পুরসভার চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশে রাস্তার উল্টোদিকে অন্য একটি কারখানার লিজ নেওয়া জমিতে গেট ভেঙে ঢুকে পড়ে বছরখানেক আগে। বজবজ রোড সম্প্রসারণের জন্য নাকি এটা দরকার ছিল, অর্থাৎ সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে গিয়ে বেসরকারি জমি দখল করা হল। যে কোম্পানি ওই জমি লিজ নিয়েছিল পনেরো বছরের জন্য, তারা সংশ্লিষ্ট থানায় এফআইআর করে।
পুরসভার চেয়ারম্যান ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের মৌখিক ভাবে আশ্বাস দিয়েছিলেন, যে তাদের উনি দেখবেন। বেশিরভাগ দোকানি পুরোনো জায়গা ছেড়ে গেলেও মুষ্টিমেয় চার-পাঁচটি দোকানের ব্যবসায়ীরা জায়গা ছাড়েননি। তাঁরা উপযুক্ত লিখিত নোটিশ দেখতে চেয়েছিলেন। এবং সঠিক ও আইনি পুনর্বাসনের দাবি করেছিলেন। এতদিন তাদের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা ও হুমকি দেওয়া চলছিল। তারা বজবজ রোড (জিনজিরা-আছিপুর) ব্যবসায়ী উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃত্বে হাইকোর্টে মামলা করেন এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে। গত জুলাই মাস থেকে হাইকোর্টে শুনানি আরম্ভ হয়।
হাইকোর্টে চিফ জাস্টিস সরকারপক্ষের কাছে সমস্ত ডকুমেন্ট দেখতে চান। এতদিনেও তারা কোনও সাড়া দেননি। উপরন্তু মামলা চলাকালীন সম্প্রতি হঠাৎ একটি নোটিশ জারি করে মহেশতলা পুরসভার পক্ষ থেকে ওই চারটি দোকানে আঠা দিয়ে ওই নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় (ছবি দ্রষ্টব্য)। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে আবার একটি শুনানির দিন ছিল। সেদিনও চিফ জাস্টিস আবার পনেরো দিনের সময় দেন দু’পক্ষকেই নিজেদের ডকুমেন্ট পেশ করার জন্য। ব্যবসায়ীদের বলেছেন, তাদের ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি দেখাতে। আর বলেছেন, মহেশতলা বা অন্য কোনও পুরসভার এক্তিয়ার নেই এমন কোনও নোটিশ ঝোলানোর। প্রথমত এটি একটি বিচারাধীন বিষয়। দ্বিতীয়ত, সরকারি জমি থেকে এভিকশন বা উচ্ছেদের অধিকার পুরসভার চেয়ারম্যানের নেই। তা করতে পারে পিডব্লুডি বা বিএলএল এলআরও, বলেছেন ব্যবসায়ী পক্ষের উকিল।
Leave a Reply