কুশল বসু, ১৫ নভেম্বর, সূত্র উইকিপিডিয়া#
টাইফুন হাইয়ানের দাপটে বিপর্যস্ত ফিলিপাইন্স। এই দেশটিতে প্রায় প্রতিবছরই একাধিক সাইক্লোন বা টাইফুন আছড়ে পড়ছে পূর্ব দিক থেকে। ক্ষতিও হচ্ছে অনেক। ইদানীং এইসব টাইফুনের জোর বেড়ে গেছে। ৭ নভেম্বর যেদিন টাইফুন হাইয়ান আছড়ে পড়ল ফিলিপাইন্সে, সেদিনই আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট কনফারেন্সে ফিলিপাইন্সের প্রতিনিধি অনশন শুরু করেছেন। সেখানে দেখানো হয়েছে, টাইফুনের ভয়ঙ্করতা বৃদ্ধির সঙ্গে বিশ্ব উষ্ণায়নের নিবিড় যোগ রয়েছে।
২ নভেম্বর উৎপন্ন হবার পর এই টাইফুনটি শক্তি বাড়িয়ে ৭ নভেম্বর ফিলিপাইন্সের একদম পূর্বদিকের পূর্ব-সামারা এবং লেইতে দ্বীপে আঘাত হানে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই টাইফুনের শক্তি দাঁড়িয়েছিল পৌনে চারশো কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এর আঘাতে এই দ্বীপগুলির শহরগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। শহরগুলিতে এমন কোনো বাড়ি ছিল না, যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
পূর্ব সামারের গুইয়ান শহরে প্রথম আঘাত হানে টাইফুনটি। এই জেলে-শহরটিতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ জানা যায়নি ১০ নভেম্বরের আগে। অবশেষে ১০ তারিখে বায়ুসেনার বিমান প্রথম এই শহরে ঢোকে।
আর একটি শহর তাকলোবান সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের পূর্বদিকের নিচু এলাকা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্য এলাকায় ক্ষতি হয়েছে ৯০ শতাংশ। শহরটির জেলগুলি ভেঙে পড়েছে, কয়েদিরা বেড়িয়ে পড়েছে। বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে শহরটি খালি করা হচ্ছে। কিন্তু তা করা যাচ্ছে না ভালোভাবে, কারণ বিদ্যুৎ নেই, তাই দিনের বেলা ছাড়া বিমান ছাড়তে পারছে না। একটি বিমান অবতরণ করলেই মানুষ পাগলের মতো আছড়ে পড়ছে বিমানবন্দরের দিকে। মিলিটারি অধ্যুষিত রেখেও তাকলোবান শহরকে স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।
এই শহরেরই প্রতিবেশী একটা শহর আলাঙ্গালানে একটি শস্য-গুদাম লুঠ করেছে মানুষ। লুঠ করতে গিয়ে দেওয়াল চাপা পড়ে আটজন মারা গেছে।
১৫ নভেম্বর ফিলিপাইন্স সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো মানুষ মারা যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর বেসরকারি সংস্থাগুলির মতে মৃতের সংখ্যা দশ হাজারের বেশি।
Leave a Reply