শমীক সরকার, ১৫ নভেম্বর#
সম্ভবত সোমবার ১৮ নভেম্বর থেকে ফুকুশিমার ভেঙে পড়তে বসা ৪নং চুল্লির জ্বালানি দণ্ডগুলো বাইরে বের করে আনার চূড়ান্ত ঝুঁকির কাজটি শুরু হতে চলেছে। দণ্ড বের করে আনার একটি চূড়ান্ত অভিনয় তৃতীয় পক্ষের সামনে করে দেখানো হয়েছে ১৩-১৪ তারিখ। এরপর সোমবারই শুরু হতে চলেছে চূড়ান্ত কাজ। এমনিতেই কাজটি কঠিন, আরও কঠিন হয়ে গেছে কিছু জ্বালানি দণ্ড সম্পূর্ণ রূপে বেঁকে যাওয়ায়। জ্বালানি দণ্ড যে তরলের মধ্যে থাকে, তাতে ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে দেখে প্রকল্পটি পরিচালক টেপকোর এই ধারণাই হয়েছে।
ওদিকে সম্প্রতি ফুকুশিমার বাচ্চাদের মধ্যে ক্যানসারের প্রকোপের গবেষণা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ফুকুশিমার প্রভাবে বাচ্চাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে থাইরয়েড ক্যানসার বাড়ছে। সরকারের স্বাস্থ্য শিবিরে অংশ নেওয়া ২,৮৯,৯৬০ জন শিশুর মধ্যে ৫৯ জনের থাইরয়েড ক্যানসারের প্রমাণ মিলেছে, অর্থাৎ প্রতি পাঁচ হাজারে একজন। এই হার স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। ফুকুশিমা বিপর্যয় পূর্ববর্তী সময়ে প্রতি চারলক্ষ শিশু পিছু ১.৫ জনের থাইরয়েড ক্যানসার দেখা যেত।
ওদিকে ফুকুশিমার এক নম্বর চুল্লির নিচের দিকের টোরাস ঘরের ওপরে ছাদে এবং একদিকে ছিদ্র পাওয়া গেছে, টেপকোর রোবোট ক্যামেরায় এরকমই ধরা পড়েছে।
Leave a Reply