সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ফলতা, ১ নভেম্বর#
কোহিনুর পেপার মিলের সাম্প্রতিক শ্রমিক বিক্ষোভ এবং কারখানার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাবেন : ফলতা সেজ-এ কোহিনুর পেপার-মিলের কিসসা
সপ্তমীর সকালে কোহিনুর পেপার মিলে লক আউটের হুমকী নোটিশ ঝোলাল ম্যানেজমেন্ট। নোটিশে লেখা আছে ‘ম্যানেজমেন্ট দুঃখের সহিত জানাচ্ছে যে,বর্তমান বাজারের খারাপ অবস্থা এওবং কম চাহিদার সত্ত্বেও, প্রবর্তকদের দেওয়া অতিরিক্ত তহবিলের সাহায্যে আমরা তাদের দৈনন্দিন জীবন চালানোর জন্য শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছি। বর্তমানে ফ্যাক্টরির প্রডাকশন বন্ধ থাকার সত্ত্বেও দূর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বেতন ঠিক সময়ে দেওয়া হয়েছে এবং কথা দিয়েছে যে, দীপাবলির আগে বোনাস ও দিয়ে দেবে। কিন্তু এখন কিছু সংখ্যক কর্মচারী উশৃঙ্খল ও অবৈধ আচরণ করছে এবং সিনিয়র অফিসারদের শাসানোও হচ্ছে। এইরূপ আচরণ ও অমান্যের জন্য কোম্পানী লক-আউট করার সিদ্ধান্ত নেবার কথা ভাবছে, ………’
যদিও শ্রমিকদের (যারা কোম্পানীর স্টাফ, কন্ট্রাক্ট নয়) বক্তব্য হোলো,
আমরা খাটছি, আমরা বোনাসও চাইছি না, আমাদের-ই টাকা (প্রতিমাসে আমাদের মাইনের থেকেই ৬.৩৩% হারে কেটে রেখে সেটাই পুজোর আগে বোনাস হিসেবে দেয়। অথচ এই দুমাস আগে থেকে আমরা বলছি আমাদের মাইনে ঠিক সময়ে দিতে হবে।) ১৮ মাস ধরে কেটে রেখে এখন দেওয়ার কথা,তার আবার ১২ মাসেরটা দেবে ৬ মাসেরটা দেবে না। এবারে এমাসের ১০ তারিখে দেবার কথা,দিল না, বলল ১৫ তারিখ দেবে,তাও দিলনা, আবার খেলাপ করে ১৯ তারিখে দিল শুধু মাইনে, তাও কেটে রাখা টাকাটা দিলনা।বলছে দীপাবলিতে দেবে। তাই আমরা কোন জোর জুলুম করছিনা শুধু আমাদের যে টাকা আমাদের দিক আমরা কাজ করব,অন্য যে কাজ করতে চাইছে সে আজ কাজ করছে। ওরা যা বলছে তা মেনে নেব কিন্তু তা আর ম্যানেজমেন্ট স্টাফের সামনে নয়, মালিক আসুক, স্টাফ একটা করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আর ভঙ্গ করছে।
“ |
ও কুছ ভি বোল রহে হামলোগ মান রহে হ্যায়, ও বোল রহে থে ২০ কো মাহিনা হোগা ত মান গয়ে, লেকিন ঊ লোগ বিশ তারিখ কো ভি দে নেহি রহে হ্যায়, দে রহে হ্যায় ২৮ তারিখ কো। ত হামলোগ কিতনা মানে? |
জনৈক মিল শ্রমিক |
একজন বললেন,
ও কুছ ভি বোল রহে হামলোগ মান রহে হ্যায়, ও বোল রহে থে ২০ কো মাহিনা হোগা ত মান গয়ে, লেকিন ঊ লোগ বিশ তারিখ কো ভি দে নেহি রহে হ্যায়, দে রহে হ্যায় ২৮ তারিখ কো। ত হামলোগ কিতনা মানে?
partha says
লেখাটা ভালো করে পড়লে বোঝা যাবে লকআউট ঘোষণা হয়নি, মালিক বা কতৃর্পক্ষ লকআউট ঘোষনা করতে বাধ্য হবেন এরকম একটা আভাস দিয়েছেন/শ্রমিকদের ভয় দেখিয়েছেন।
admin says
লেখাটির শিরোনাম বদলে দেওয়া হযেছে