২৫ জানুয়ারি রোমিলা থাপার এবং প্রফুল্ল বিদওয়াই নিচের আবেদনপত্রটি লেখেন। সংবাদমন্থন পত্রিকা থেকে এই আবেদনে পাঠকদের অংশগ্রহণের আহ্বান রাখা হল#
আপনারা সকলেই জানেন দক্ষিণ তামিলনাড়ু জুড়ে জনপ্রতিবাদের মধ্যে রাশিয়ান নকশায় নির্মীয়মান প্রথম পরমাণু চুল্লির কমিশনিং হতে চলেছে তামিলনাড়ুর কুডানকুলামে। এইসময় খবর পাওয়া যায় যে গুরুতর টেকনিকাল সমস্যার কারণে কমিশনিং আবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকবার এই চুল্লির কমিশনিং স্থগিত করা হয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি বা নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া যার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। বরং ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জির সেক্রেটারি আর কে সিন্হা আশ্বস্ত করেছেন যে এর পিছনে তেমন কোনো ব্যাপার নেই। এই ধরনের স্বচ্ছতার অভাবের ফলে উড়ো খবর শোনা যাচ্ছে, কুডানকুলামের প্ল্যান্টে ফাটল ধরেছে এবং অন্য দুর্যোগ ঘটেছে, যার ফলে শ্রমিকদের শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে, এমনকী মৃত্যুও ঘটেছে এবং ঠিকা শ্রমিকদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এসব শুনে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা অনেকদিন ধরেই চুল্লির নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছিল, কিন্তু প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ তাতে আমল দেয়নি। প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ বরাবর অস্বচ্ছতার নীতি অনুসরণ করে এসেছে। তারা ণ্ণসাইট ইভালুয়েশন রিপোর্ট’, ণ্ণসেফটি অ্যানালিসিস রিপোর্ট’ এবং ণ্ণএমার্জেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস প্ল্যান’ জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। গত দুই দশকে প্ল্যান্টের নকশা-সংক্রান্ত, নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ব্যাপক রদবদল হয়েছে। এগুলির পরিবেশগত ফলাফলও পাল্টে গেছে। অতএব প্রথম চুল্লির কমিশনিংয়ের আগে এই প্ল্যান্টের নিরাপত্তা ও পরিবেশগত প্রভাব বিষয়ে স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া আবশ্যক।
অবিলম্বে স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কুডানকুলামের প্ল্যান্টের এক নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। নচেৎ চুল্লি চালু করা বাঞ্ছনীয় নয়।
Leave a Reply