শমীক সরকার, কলকাতা, ১৫ জুলাই, দি হিন্দু পত্রিকা থেকে#
রাজস্থানের কোটা শহরের কাছে রাওয়াতভাটায় একটি প্রস্তাবিত ‘পরমাণু জ্বালানি এলাকা’ বা ‘নিউক্লিয়ার ফুয়েল কমপ্লেক্স’-এর জন্য জনশুনানিতে সাধারণ মানুষ পরমাণু চুল্লি ও জ্বালানি এলাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল। এই কমপ্লেক্সটি গড়ে তোলা হচ্ছে গুজরাত এবং রাজস্থানে আসন্ন চারটি ৭০০ মেগাওয়াটের পরমাণু চুল্লির জন্য। রাওয়াতভাটা ফুয়েল কমপ্লেক্সটির বছরে ৫০০ টন পরমাণু জ্বালানি তৈরি করার কথা। এই কমপ্লেক্স তৈরির আগে এর জন্য পরিবেশ জনশুনানির আয়োজন হয়েছিল ১২ জুলাই। এই জনশুনানিতে এসে প্রকল্পের ‘পরিবেশের ওপর প্রভাব সমীক্ষা’ রিপোর্টকে ‘অসত্যের লিপি’ বলে বর্ণনা করেন ডাক্তার সঙ্ঘমিত্রা গাদেকর।
এর আগে ১৫ জুন হাজার হাজার গ্রামবাসী এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে মিছিল করেছিল। তাদের প্রতিবাদ ছিল প্রস্তাবিত জ্বালানি প্রকল্প এবং পরমাণু চুল্লির বিরুদ্ধে। জনশুনানিতেও গ্রামবাসীদের মধ্যে অন্তত ছ-জন বলেন, সেই ১৯৭৩ সালে রাওয়াতভাটার প্রথম চুল্লির সময় থেকে কখনোই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। ২৩ জুন রাওয়াতভাটায় একাধিক ঠিকা শ্রমিক বিকিরণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন, নন্দকিশোর মেহর অভিযোগ করেন, তার মূত্র পরীক্ষার রিপোর্টও তাকে দেওয়া হয়নি। অনেকেরই ভয়, এই জ্বালানি এলাকার জন্য যখন ইউরেনিয়াম নিয়ে যাওয়া হবে ট্রাকে বা ট্রেনে চাপিয়ে, তা থেকে এলাকার একমাত্র নদী চম্বলে দূষণ ছড়াতে পারে।
জনশুনানিতে রাওয়াতভাটা পরমাণু চুল্লির কিছু দালালদের রাখা হয়েছিল বক্তব্য রাখার জন্য, যাদের অধিকাংশই একসময় চুল্লিতে কাজ করেছে, এখন বিল্ডিং সামগ্রীর কন্ট্রাক্টারি করে। তারা জ্বালানি এলাকার পক্ষে বক্তব্য রাখে।
Leave a Reply