মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আমার বাড়ি ফুকুশিমায়। আপনার দেশে পরমাণু চুল্লির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জাপান-ভারত পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন আপনি, এতে আমি ভীষণ চিন্তিত।
আপনি কি জানেন ফুকুশিমার এখন পরিস্থিতি কী? ৩ বছর আগে ওখানে যে বিপর্যয় ঘটা শুরু হয়েছে, তা এখনও শেষ হয়নি। সমস্যা সবে শুরু হয়েছে। তেজস্ক্রিয় জল সমুদ্রে মিশছে, তা আটকানোর উপায় খুঁজতে গবেষণা সবে শুরু হয়েছে। এত তেজস্ক্রিয়তা যে ওখানে শ্রমিক সংখ্যাও অপ্রতুল। আমাদের বলা হয়েছে ফুকুশিমা প্রকল্প পুরোপুরি বন্ধ করতে তিরিশ বছর লাগবে। কিন্তু এই অবস্থায় বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে আনতেই আর কত দিন লাগবে, তা কে জানে?
ফুকুশিমার ধীবররা এখন সমুদ্রে যেতে পারছে না। কেউ জানে না, কবে সমুদ্র আবার সেরে উঠবে। ফুকুশিমার চাষিরা মাঠে চাষ করতে পারছে না। কারণ মাঠ দূষণমুক্ত করা হলেও ফের কয়েকদিন পরেই আবার তেজস্ক্রিয়তা ফিরে আসছে সেখানে। কবে তা আবার ফলন্ত হবে কে জানে।
… এক লক্ষ লোক উদ্বাস্তু। অস্থায়ী শিবিরে থাকছে তারা। … আপনি হয়ত শুনেছেন পরমাণু বিপর্যয়ে কেউ মারা যায়নি, মারা গেছে ভূমিকম্পে-সুনামিতে। কিন্তু আপনি কি জানেন, তেজস্ক্রিয়তার কারণে আটকা পড়েও যারা বেঁচে ছিল, তাদের উদ্ধার করা যায়নি। এমনকি তাদের চিৎকার শোনা গেলেও, না। …
তেজস্ক্রিয়তা এমন একটা জিনিস, যা মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। চেরনোবিল আর ফুকুশিমার পর মনুষ্য প্রজাতির সে উপলদ্ধি হওয়া দরকার। … আমার প্রদেশে কেউ নিশ্বাস নিতে পারে না স্বস্তিতে, গাছে চড়তে পারে না, মাঠে খেলতে পারে না।
এই ভবিষ্যতই কি আপনি চান ভারতবর্ষের জন্য? …
আপনার বিশ্বস্ত
ইউকিকো তাকাহাসি
Leave a Reply