• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

প্রতিভার খোঁজে — ‘চারুচেতনা’

May 30, 2013 admin 1 Comment

মিত্রা চ্যাটার্জি, সল্টলেক, কলকাতা, ৫ মে#

charuchetona7-LR

আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর আগে যা সাধারণ এক ঘটনা দিয়ে শুরু আজ তা পূর্ণাঙ্গ এক প্রতিষ্ঠান। পনেরো বছর আগে দক্ষিণ কলকাতায় ত্রিকোণ পার্কের সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কলকাতার কর্পোরেশন সেই পার্কের সংস্কারে হাত দেয়। তৎকালীন অন্যতম শিল্পী অসিত পালের ওপর তত্ত্বাবধানের ভার পড়ে। পার্ক জঞ্জালে ভর্তি। সেই জঞ্জাল দিয়েই এক স্থাপত্যের ভাবনা ভাবলেন তিনি। কিন্তু নোংরা ঘাঁটবে কে? পথ শিশুই লক্ষ্য হলো। হাতের পাতা প্লাসটিকে ঢেকে ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা নোংরা জড়ো করে অসিতবাবুর নির্দেশনায় এক মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করে ফেলল মাঠের এক কোণায়। সেই কাজ করতে করতে অসিতবাবু এই পথ শিশুদের মধ্যে দেখলেন চাপা পড়া অনেক প্রতিভা, চারু চেতনা।
এই অভিজ্ঞতা অসিতবাবুকে ভাবাল কেমন হয় পিছিয়ে থাকা সমাজ থেকে গুণী শিশুদের খুঁজে বার করা, তাদের এক সুন্দর রঙিন জগতের সন্ধান দেওয়া। এই ভাবনা থেকে তৈরি হল ‘চারুচেতনা’ সংস্থা, কিছু সচেতন মানুষজন একত্র হলেন অসিতবাবুকে কেন্দ্রে রেখে। কসবা অঞ্চল তখন আজকের এই কসবা নয়। আর্থিকভাবে অনুন্নত বহু মানুষের বসতি। কেউ রিক্সাচালক, কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ বা জনমজুর। এদের বৌ-রা কাজ করে লোকের বাড়ি বাড়ি। কুড়িয়ে আনা হল দশ বারোজন শিশুকে। মায়েরা করলেন সহযোগিতা। সব বাবারা নয়। বাবাদের যুক্তি — খাটলে দু-পয়সা আয়, ছবি এঁকে মূর্ত্তি গড়ে কি লাভ? তবু মায়েদের স্বপ্ন বড়োবাবুদের ঘরের ছেলেমেয়েদের মতো এরাও শিখবে ছবি আঁকা, কবিতা, গান, নাচ।
কসবার মডার্ন হাই স্কুল ফর গার্লস-এর প্রধান শিক্ষিকার কাছে আবেদন করা হল, যদি সন্ধ্যেবেলায় এক-দুটো ঘর পাওয়া যায়। রোজ নয়, যদি সপ্তাহে দু-দিন-ও হয়। প্রার্থনা মঞ্জুর হলো এই ভালো কাজের জন্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যে এবং শবনিবার বিকেলে ছেলেমেয়েরা জড়ো হতে লাগল সেখানে।
এমনি করে ছোটো ছোটো পদক্ষেপে পনেরো বছর উত্তীর্ণ হল। কিন্তু কি পেল এই ছোটোরা? পেন্সিল ধরে ছবি আঁকার স্বপ্নগুলি ফুটে উঠল কাগজে। কাগজ, পেন্সিল, রঙ আর স্বপ্নগুলি জোগালো চারুচেতনা। এরা অনেকেই স্কুল ছুট। কেও বা ফেল করে একই ক্লাসে বারবার। মনে সন্দেহ তারা কি আদৌ কিছু হয়ে উঠতে পারবে? কিন্তু কিছুদিন বাদে এদের শিল্প কাজের প্রদর্শনী হল। অকুন্ঠ প্রশংসা পেল। ছোটো রা বুঝল কিনা জানি না, মায়েরা বুঝল, পারবে তাদের ছেলেমেয়েরা কিছু করে উঠতে। উৎসাহ দ্বিগুণ হল।
পরবর্তী কালে প্রতিবছর প্রদর্শনী হল, এবং তা হতে লাগল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের গ্যালারিতে। সঙ্গে থাকত ছেলেমেয়েদের নিয়ে ওয়ার্কশপ। বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, কোচবিহার থেকে গ্রামীন শিল্পীরা এসে কাজ শেখাত ছোটোদের। কাঠ খোদাই, শোলা, মুখোশ, মাদুর বোনা — এরকম অনেক কিছু। প্রথম দিকে ‘মঞ্জুষা’র মতো হস্তশিল্প সংস্থার আর্থিক ব্যায় বহন করতেন এবং সার্টিফিকেট ও দিতেন। যারা প্রদর্শনী দেখতে আসতেন তারা শিশুদের কাজ এবং শিল্পকর্মে রত শিশুদের দেখে আপ্লুত হতেন। স্বেচ্ছায় অর্থদান-ও কেও কেও শ্রমদানের অঙ্গীকার করতেন।
সংস্থায় ছেলেমেয়েদের সংখ্যা তিরিশ-এর কাছাকাছি। মনের আনন্দে তারা রঙ দিয়ে রঙিন করে তাদের ভাবনা, খোদাই করে বের করে আনে স্বপ্নে দেখা মুখ, মুখোশ। ‘সরা’-তে ছবি এঁকে ফোতায় দৈনন্দিন জীবনের দোলা ও ছন্দ। প্রাচীন ভারতের বাংলার শিল্পের সাথে তাদের পরিচয় ঘটে, বর্ধমানের কাঠের প্যাঁচা, রাজারাণী, গণেশ, শোলার নৌকা, পুরুলিয়ার ছৌ-মুখোশ, আদিবাসীদের রেখার টান (ওড়াল), ম্যুরাল, কাগজের মন্ডের মুখোশ, কোলাজ। পৃথিবীর দিগন্তের দিকে মুখ তুলে তাকালো তারা অনেক দূর অবধি দেখতে পেল। বাড়ি ফিরে, বস্তির ঝগড়া, মারপিট, হিন্দিগানে তারা আর হারিয়ে গেল না। উপেক্ষা করতে শিখল।
ছেলেদের আত্মবিশ্বাস আনতে চারুচেতনার স্বেচ্ছাসেবীরা ছাত্রদের নিয়ে পড়াতে বসলেন। অঙ্ক, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল। সপ্তাহে আরও দিন বাড়ল। ছোটোরা বড়ো হল, এক একটা ক্লাস পেরিয়ে মাধ্যমিকে বসল, উত্তীর্ণ হল সম্মানের সাথে।
এখান তারা বোঝে নাটক, কবিতা, রবীন্দ্রনাথ, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত। শিক্ষক দিবসে নিজেদের লেখা নাটক অভিনয় করে। নিজেরা তৈরি করে কথা, বসায় গান, যোগ করে নাচ। এরা এখন মূলস্রোতে। খালে আর এদের কুলোয় না, নদীতে এদের বিচরণ।
একবার শিশু চিকিৎসকদের এক মহা সম্মেলন বসে সাইন্স সিটি প্রাঙ্গণে। অসিতবাবুর কাছে আবেদন আসে, তাঁর এই ছেলেমেয়েদের দিয়ে তিনি কিছু করুন এই সম্মেলনের প্রাঙ্গনে। অনেক রকমের প্যাভিলিয়ন। তার মধ্যে একটা চারুচেতনার শিশুদের। অসিতবাবু রাজি হলেন। বসলেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে। একটা গল্প শোনালেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, আমেরিকা জাপানে হিরোসিমা ও নাগাসাকি শহরে পরমাণু বোমার আক্রমণ হানল। ধ্বংস হয়ে গেল দুই শহর। সঙ্গে ঘর, বাড়ি, মানুষ। যারা তবু বাঁচলেন ওই বিধ্বংসী বোমার আক্রমণ থেকে তারা আক্রান্ত হলেম মরণ রোগে পারমাণবিক বিষাক্ত তেজস্ক্রীয়তার সে এমনই এক শিশু ভর্ত্তি হল হাসপাতালে। কিন্তু সে ভাবতেই পারে না, মৃত্যু কি? সে কেবল ভাবে রোজ যদি সে একটা করে সাদা পায়রা ওড়ায় আর ভগবানকে প্রার্থনা করে তবে সে একদিন নিশ্চয়ই সে ভালো হয়ে যাবে। সব সুন্দর হয়ে যাবে। কিন্তু পায়রা কোথায় পাবে সে? তাই রোজ একটা করে সাদা কাগজের পাখি সে হাসপাতালের জানলা দিয়ে উটিয়ে দেয়। মেয়েটি কিন্তু বাঁচে না। সে চলে গেলেওও যুদ্ধ একদিন থামল। পৃথিবীর মানুষ শান্তির খোঁজে আরও কত মীমাংসায় পৌঁছল। কত সাদা পায়রা ওড়ালো সবুজ শান্ত পৃথিবীর আশায়। ]
ছেলেমেয়েরা গল্প শুনছিল। গল্প থামতেই অসিতবাবু, তাদের হেড স্যার, বললেন, ‘এই গল্পটা ছবি এঁকে বলতে হবে। তোমাদের ভাবনা মিশিয়ে।’ নির্বাচন করলেন ছোটো বড়ো আটজনকে। বললেন, ‘গল্প আঁকবে এক সঙ্গে সবাই মিলে চার ফুট বাই কুড়ি ফুট একটা ক্যানভাসে। এতদিন জলরঙে কাজ করেছো। এবার তেলরঙে।’ কুড়ি ফুট লম্বা ক্যানভাসকে পাঁচ ভাগ করা হল। অর্থাৎ এক একটা চার ফুট বাই চারফুট। বললেন, গল্প এগোবে এমনভাবে যে এই এক একটা চারফুট বাই চারফুট ক্যানভাবস হবে এক একটা স্বয়ং সম্পূর্ণ গল্প। যে কোনও একটাই একটা গোটা গল্প হয়ে উঠবে।
মহড়া হল অসিতবাবুর বাড়িতে। ছেলেমেয়েররা তেল রঙে তৈরি হল। তৈরি হল চেতনায়, তারপর এল সেইদিন যেদিন সম্মেলনের প্রাঙ্গণে তারা আঁকতে এল। বড়ো ২০ ফুটের ক্যানভাস। সামনে একটা উঁচু প্ল্যাতফর্ম। নয়ত ছটোরা যে হাত পাবে না। একসঙ্গে আটজনের কাজ প্রতিদিন ছবিটা একটু একটু করে ফুটে উঠছে। প্রতিদিন শরীরে শিহরন। কী অসাধারণ চেতনাবনোধ প্রকাশিত হচ্ছে। কোথাও কোনও অসামঞ্জস্য নেই; শিল্পী তো আটজন। চতুর্থ দিনে যেদিন ছবিটা সম্পূর্ণ হঅল কেও ধরে রাখতে পারল না চোখের জল।
বোমা বিস্ফোরণের লাল আগুন ছড়িয়ে আছে ক্যানভাসের বাম দিকে। ভয়ঙ্কর কমলা লাল আগুন। উত্তপ্ত আগুন থেকে বেরিয়ে আসছে রক্তস্নাত নদী — শুধু একটি মেয়ে সাদা পোশাকে হাত উঁচু করে উড়িয়ে চলেছে কাগজের পাখি আর সে পাখিদের পথ ধরে চলেছে সেই নদী। দর্শকের মনযোগ যত এগোয়, রক্তাক্ত পৃথিবী থেকে ধীরে ধীরে উঠে আসে সবুজ পৃথিবী। সবুজ থেকে শান্তির নীল পৃথিবী ভবিষ্যতের স্বপ্ন। আকাশ পাখি নদী গাছ গাছালি। ভালো মানুষের স্বপ্নের পৃথিবী। ওরা কেমন করে বুঝল আজও বোধগম্য নয়। ছবির দাম উঠল চল্লিশ হাজার টাকা। কিনলেন চিকিৎসকদের সংস্থা ‘পেডিকন’।
ছোটোরা বড়ো হল। স্কুল পেরিয়ে কলেজ। আর্থিক অনটন। পড়ার সাথে সাথে জীবিকার সন্ধান। মেয়েদের বিয়ে হল। আইন অমান্য করে অতি অল্প বয়সে। সবচেয়ে আশ্চর্য তাদের কেও কেও প্রতিবাদ করে আবার ফিরে এল। থাকতে চাইল চারুচেতনার সাথে যুক্ত হয়ে। যারা ঘর কন্না করতে গেল, ভুলে গেল না চারুচেতনাকে। তাদের সন্তানরা একটু বড়ো হতেই নিয়ে এল চারুচেতনায়, সেখানে একদিন তারা তাদের কষ্টের শৈশবের মধ্যেও সুন্দরকে দেখেছিল।
ছেলেরা যারা বড়ো হয়েও চারুচেতনা ছেড়ে গেল না, তারাই নতুনদের শিক্ষক হয়ে থেকে গেল। ছোটোদের নতুনদের হাতে ধরে শেখানো শুরু করল। জলরঙ, কোলাজ, পোড়া মাটির কাজ।
নানা কারণে কসবা মডার্ন গার্লস স্কুল থেকে চারুচেতনা স্থানান্তরিত হল কসবাতেই সরলা পূন্যাশ্রমে। এখানে ঘরের সাথে পাওয়া গেল একটা খোলা বাগান। উপরি পাওনা। যা ছোটো ঘরে সম্ভব হত না, তাই তৈরি করার ভাবনা এল মনে। ছেলেমেয়েদের নিয়ে পোড়ামাটির স্থাপত্যের কাজ-এর চিন্তা করা হল তখন। মাঠে শীতের দুপুরে টানা পনেরো দিন চলল কাজ। গঙ্গা মাটি আনা, তাকে ছানা, মিশেল করা, তারপরেই সে উপযুক্ত হল মূর্তি গড়ার। আপন আনন্দে তাদের মাটি নিয়ে খেলা চলল। নবেন্দু সেনগুপ্ত তাদের তত্ত্বাবধায়ক। মাটি তারও সাথী। খেলার ছলে বেরিয়ে এল নানা অভিব্যক্তি, মানুষের মুখে, পুতুলের মুখে, পাখির চোখে। রোদে শুকানো হল। তারপর ভাটিতে পোড়ানো। অদ্ভুত আনন্দরসে ভরপুর ছিল ছেলেমেয়েরা। অধীর আগ্রহে পুড়িয়ে আসার অপেক্ষায় থাকল। নিজেদের সৃষ্টিতে নিজেরাই অবাক। সুন্দর জিনিসগুলো দিয়ে ২০১১ তে অ্যাকাডেমিতে প্রদর্শনী হল। শুধু পোড়ামাটির কাজ নয়, ছবি, সেলাই তাও থাকল। ইতিমধ্যে নবেন্দু তাদের আপনজন হয়ে উঠলেন নবেন্দুর নতুন নতুন ভাবনা পরিকল্পনায় ওদের অবসর সময়টুকু ভরিয়ে রাখলেন।
২০১১ সালের আগস্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহে চারুচেতনার বার্ষিক আনন্দ সম্মেলনে চারুচেতনার ছেলেমেয়েরা আর একটা চমক আনল। মূক-অভিনয় করে। শান্ত দাস, মাইম শিল্পীর নির্দ্দেশনায় ‘পার্ক’ নামে শহরের আহজকের পার্কগুলির অবস্থান, অবক্ষয় ও ভবিষ্যৎকে ভাবনায় রেখে মূক-অভিনয় করে দেখাল। করতালির পর করতালিতে ক্ষুদে শিল্পীদের অভিনন্দন জানিয়েছে উপস্থিত দর্শকেরা সারা বছর ধরে যে নাচ গানের তালিম তারা নেয়, ‘কালমৃগয়া’ নৃত্যনাট্য করে দর্শকের মন ভরিয়ে দিল। অন্যান্যবারে, অন্যসময়ে আরও অনেক নাটক তারা মঞ্চস্থ করেছে। সুকুমার রায়ের ‘অবাক জলপান’ থেকে ‘হ-য-ব-র-ল’ এমনকি ‘গুপী বাঘা’-ও। হাসি কান্না মান অভিমান সব নিয়েই এই পরিবার।
উৎসাহ বেড়েই চলে। এবার তারা আ&কতে বসল বড়ো বড়ো কাচের ওপর রিভার্স পেইনটিং। হঠাৎ যেন ওরা বড়ো হয়ে গেল। রেখা তুলির টানে সোজা সরলা রেখার জায়গায় ধরা পড়ল অ্যাবস্ট্রাকশন। রঙ নিয়ে খেলা, রূপ নিয়ে খেলা। আঁকতে আঁকতে কত ছবি পাল্টে পাল্টে গেল। পেলো নতুন প্রকাশ।
ছেলেমেয়েদের নিয়ে সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য সহেলি কাপড়ে ‘বাঁধনী’র কৌশল শেখাল। ইন্টারনেট ঘেঁটে দূর প্রাচ্যের নানাবিধ কৌশল নিজে আয়ত্ব করে তারপর শেখাল ছেলেমেয়েদের। তা দিয়ে তৈরি হল বাহারী কুশন কভার, খাবার টেবিলের ঢাকা, ডিভাবের ঢাকা, ব্যাগ, হরেক কিছু। প্রদর্শনীতে তারও জায়গা হলো। মন কাড়ল দর্শকদের। প্রতিভার স্ফুরণ। কোথায় হারিয়ে যাচ্ছিল এরা। আত্মবিশ্বাসের ওপর দা৬ড়িয়ে আরও কিছু করে দেখাতে চায়। কত অজানার সন্ধানী হয়েছে তারা। স্মপ্রতি শুরু করেছে এনামেল পেইন্টিং। শূর এনামেল কোম্পানি শ্রী প্রণববাবু উদার আহ্বানে সবাই মিলে গিয়েছিল ছবি আঁকতে, এনামেল করা ছোটো বড়ো টিনের প্লেট-এ। ছবি আঁকল অক্সাইড পেইন্ট দিয়ে। সঠিক তাপমাত্রায় ফার্নেসে পুড়িয়ে অসাধারণ ছবি দাঁড়াল। জগতের রঙ রূপ যেন ছড়িয়ে পরেছে এই শিশুদের সামনে, শুধু বাকি তাকে আয়ত্ত্বে এনে ছবি করে তোলা।
সংকীর্ণ পথ থেকে বিস্তর্ণ পথে পায়ে পায়ে এরা পৌঁছল। শুধু সচেতন করে দেওয়া এবং লোভ-লালসার রঙিন হাতছানি থেকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজনটুকু হাতে নিয়েছে চারুচেতনার সভ্যবৃন্দরা। শুভ কর্মপথে তারা যেন নির্ভয়ের গান গাইতে গাইতে চলে যেতে পারে।
শুভ হোক ওদের পথ চলা, আমরা সকলে মিলে যেন ভালো থাকি।

charuchetona5-LR

charuchetona4-LR

charuchetona2-LR

charuchetona1-LR

charuchetona6-LR

সংস্কৃতি কসবা, চারুচেতনা, পথশিশু, পেইন্টিং, মূক-অভিনয়

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Comments

  1. poromesh acharya says

    August 14, 2013 at 3:10 pm

    Asadharon, porte porte chokhe jal ese jachilo. Charu chetonake abhinandan. Poromesh Acharya

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in