যতীন বাগচী, ব্রেসব্রিজ স্টেশন, ১০ আগস্ট#
প্রতিদিনের মতো স্টেশনে ভিড়। হঠাৎ দেখি, স্টেশনের নিচে লাইনের ওপরে তিনটি ছেলে কী করছে। আর স্টেশনের ওপর থেকে বেশ কয়েকজন মানুষ তা দেখছে। এদিকে শিয়ালদা বজবজ রেলের ডাউন ট্রেনের ঘোষণা হয়ে গেছে। তাকিয়ে দেখি লাইনের ওপর সারিসারি পাথর সাজানো। এক মুহূর্ত দেরি না করে চিৎকার করে বলি, এই কী করছ তোমরা ওখানে? শিগগিরি ওগুলো ফেলো। ট্রেন আসছে। ওরা পাথর ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর যারা দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের বলি, আপনারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কী দেখছেন? এটা কি মজার জিনিস? কোনো বিপদ হলে কত মানুষের প্রাণ যাবে বলুন তো? স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ভদ্রলোকদের বক্তব্য, ওদের বাধা দিলে গালাগালি করে। আমি ওঁদের বোঝাবার চেষ্টা করি, প্রতিবাদ করুন। দেখুন ওরা তো পালাল এখান থেকে। সবাই যদি একটু সচেতন হই, তাহলে বিপদ কম হয়।
এরপর দেখি ২ ও ৩নং প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে উনুন ধরানো হচ্ছে কাঁচা কয়লা দিয়ে। খুব অবাক লাগে, শিয়ালদা মেন স্টেশনে ঘোষণা হয়, কোনোরকম দাহ্য পদার্থ নিয়ে ট্রেনে উঠবেন না। আর উল্টো দেখছি, ব্রেসব্রিজ রেলস্টেশন দাহ্য পদার্থেই ভরা। চারদিক তখন অন্ধকার হয়ে গেছে। যাত্রীদের বক্তব্য, এখানে কিছু বলে বিপদে পড়ব। আমরা রোজ যাতায়াত করি। অগত্যা নিজেই এগিয়ে যাই, বলি।
এখানে রেল কর্তৃপক্ষের কোনো রক্ষণাবেক্ষণ নেই। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, কোনো উদ্বাস্তু কলোনির হাটবাজার। পরে আমি স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে দেখা করতে যাই। উনি নিজের জায়গায় ছিলেন না।
Leave a Reply