উদভ্রান্তের মতো খুঁজে দাদা শেষে একটা ভোগনার রিজার্ভ করে নিল। গ্যাংটক থেকে একরাশ বিরক্তি, রাগ, ধোঁকা খাওয়ার হতাশা নিয়ে ফিরছি। কিছু দূর আসার পর ড্রাইভার ভুবনের সঙ্গে কথা শুরু হল।
আমি : ড্রাইভার ভাই আপনার নাম কী?
ড্রাইভার : ভুবন প্রধান।
আমি : বাঃ বাঙালি নাম তো।
ভুবন : না না বাঙালি নয়, সংস্কৃত।
ভুবন : আপনাদের বাড়ি কোথায়?
আমি : আমি থাকি কোচবিহার। দাদা, বৌদি, আর ছোট্ট ভাইস্তা। ভাইস্তিরা থাকে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর। তোমার বাড়ি কোথায়?
ভুবন : এই গ্যাংটকেই। রাণী পোল-এ। আপনারা নিশ্চয়ই ঘুরতে পারেননি?
বৌদি : ধোঁকা, ধোঁকা, ধোঁকা, প্যাকেজ সব বোকা।
ভুবন : মতলব?
দাদা : মতলব, শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি একটা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস্-অপারেটরের কাছ থেকে ১৫০০০ হাজার টাকায় একটা দু-দিন তিন রাত্রির প্যাকেজ ট্যুর করি, কিন্তু শুরু থেকেই বেশ কিছু পরিষেবা ওরা বাদ দিয়ে দিচ্ছে। এখন যে তোমাকে হায়ার করতে হল এটাও কিন্তু প্যাকেজের মধ্যে ছিল। কিন্তু দেখো বাস স্ট্যান্ডে এসে ওদের দেওয়া নম্বরের টাটা সুমো আর ড্রাইভার পাওয়া গেল না।
ভুবন : আমরা এই কথাটা এবার অনেক ট্যুরিস্টের কাছেই শুনতে পাচ্ছি। আমাদের বদনাম হয়ে যাচ্ছে।
বৌদি : দেখ ট্রাভেলস্ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস্।
ভুবন : এই যে হাজার হাজার পর্যটক, এতে কিন্তু সিকিমের ভ্রমণ ব্যবসায় লাভ হচ্ছে না।
আমি : কেন?
ভুবন : প্রায় সব হোটেল ব্যবসায়ী বাঙালি। মালিক কলকাতা বা শিলিগুড়ির। আর প্রায় সব পর্যটকই সমতল থেকে প্যাকেজ করে আসে। কোটি কোটি টাকার দশ শতাংশও সিকিমে থাকছে না।
আমি : প্যাকেজ না করে এলে তো সমস্যা।
ভুবন : না তেমন কোনো সমস্যা নেই। সিকিমের যে কোনো ড্রাইভার আপনাকে হোটেলে নিয়ে যাবে। আপনি পছন্দ মতো ম্যানেজারের সাথে দাম-দর করে রুম পেয়ে যাবেন। ড্রাইভাররাও কিছু টাকা পাবে।
আমি : তোমরা সিকিমিজ্রা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস্- এর ব্যবসাটাকে ভালো করে ধরছ না কেন?
ভুবন : সিকিমিজ্দের কাছে কী আছে যে ধরব?
আমি : মতলব?
ভুবন : ট্রাভেলস্ বিজনেসে শুধু সিকিমিজ্ ড্রাইভার ছাড়া ওরা কিছুই নেয় না। সব পরিষেবা ড্রাইভারকে দিয়ে করানো হয়। সব ক্ষোভ রাগ ড্রাইভারদের সইতে হয়। কিন্তু ড্রাইভাররা সামান্য পারিশ্রমিক পায়।
বৌদি : সিকিমিজ ড্রাইভার কাঙালি, গাল দেয় প্যাকেজের বাঙালি।
আমি : সিকিমিজ্দের নিজস্ব স্টেট। সিকিমিজ্রা ট্রাভেল ব্যবসা নিয়ে অন্যরকমভাবে ভাবছে না কেন?
ভুবন : আমরা ভাবতে শুরু করেছি। কিন্তু সরকারি সাহায্য প্রায় পাওয়াই যাচ্ছে না।
আমি : তোমরা নতুন কী ভাবছো?
ভুবন : র ট্রাভেলিং, মিথলজিক্যাল ট্রাভেলিং, আর্কিওলজিক্যাল ট্রাভেলিং, শর্ট ডিসটেন্স ট্রেকিং।
আমি : র ট্রাভেলিং?
ভুবন : আমরা দশ বারো জন শিক্ষিত ছেলেমেয়ে মিলে র ট্রাভেলিং করব। সেখানে ট্যুরিস্টদের নন-ইলেকট্রিক সিকিমিজ্ স্টাইলের বাড়িতে রাখা হবে। কোনো ধাতব বাসনপত্র ছাড়াই সিকিমিজ ঐতিহ্যের খাবার খাওয়ানো হবে। ট্যুরিস্টদের ছোটো ছোটো গ্রুপ শুধু নেওয়া হবে। কখনোই অনেক ট্যুরিস্ট নিয়ে পরিষেবা খারাপ হবে না, স্যাটিসফাইডও করা হবে।
আমি : রান্না কি মাটির বাসনে হবে?
ভুবন : না না বাঁশের চোঙে ভাত হবে। আর ট্রাডিশনাল রান্না করার ব্যবস্থা আছে।
আমি : বাঁশের চোঙে তো আগুন ধরে যাবে।
ভুবন: না ওটাতে চাল আর জল নির্দিষ্ট অনুপাতে মেশানো হয়। ভাত হয়ে গেলে চোঙ ফেটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাতের মার বাইরে পড়ে যায়। ভাত বেশ স্বাদের হয়।
আমি : র ট্রাভেলিং- এ তোমরা ট্যুরিস্ট পাবে?
আমি : ড্রাইভার ভাই আপনার নাম কী?
ড্রাইভার : ভুবন প্রধান।
আমি : বাঃ বাঙালি নাম তো।
ভুবন : না না বাঙালি নয়, সংস্কৃত।
ভুবন : আপনাদের বাড়ি কোথায়?
আমি : আমি থাকি কোচবিহার। দাদা, বৌদি, আর ছোট্ট ভাইস্তা। ভাইস্তিরা থাকে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর। তোমার বাড়ি কোথায়?
ভুবন : এই গ্যাংটকেই। রাণী পোল-এ। আপনারা নিশ্চয়ই ঘুরতে পারেননি?
বৌদি : ধোঁকা, ধোঁকা, ধোঁকা, প্যাকেজ সব বোকা।
ভুবন : মতলব?
দাদা : মতলব, শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি একটা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস্-অপারেটরের কাছ থেকে ১৫০০০ হাজার টাকায় একটা দু-দিন তিন রাত্রির প্যাকেজ ট্যুর করি, কিন্তু শুরু থেকেই বেশ কিছু পরিষেবা ওরা বাদ দিয়ে দিচ্ছে। এখন যে তোমাকে হায়ার করতে হল এটাও কিন্তু প্যাকেজের মধ্যে ছিল। কিন্তু দেখো বাস স্ট্যান্ডে এসে ওদের দেওয়া নম্বরের টাটা সুমো আর ড্রাইভার পাওয়া গেল না।
ভুবন : আমরা এই কথাটা এবার অনেক ট্যুরিস্টের কাছেই শুনতে পাচ্ছি। আমাদের বদনাম হয়ে যাচ্ছে।
বৌদি : দেখ ট্রাভেলস্ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস্।
ভুবন : এই যে হাজার হাজার পর্যটক, এতে কিন্তু সিকিমের ভ্রমণ ব্যবসায় লাভ হচ্ছে না।
আমি : কেন?
ভুবন : প্রায় সব হোটেল ব্যবসায়ী বাঙালি। মালিক কলকাতা বা শিলিগুড়ির। আর প্রায় সব পর্যটকই সমতল থেকে প্যাকেজ করে আসে। কোটি কোটি টাকার দশ শতাংশও সিকিমে থাকছে না।
আমি : প্যাকেজ না করে এলে তো সমস্যা।
ভুবন : না তেমন কোনো সমস্যা নেই। সিকিমের যে কোনো ড্রাইভার আপনাকে হোটেলে নিয়ে যাবে। আপনি পছন্দ মতো ম্যানেজারের সাথে দাম-দর করে রুম পেয়ে যাবেন। ড্রাইভাররাও কিছু টাকা পাবে।
আমি : তোমরা সিকিমিজ্রা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস্- এর ব্যবসাটাকে ভালো করে ধরছ না কেন?
ভুবন : সিকিমিজ্দের কাছে কী আছে যে ধরব?
আমি : মতলব?
ভুবন : ট্রাভেলস্ বিজনেসে শুধু সিকিমিজ্ ড্রাইভার ছাড়া ওরা কিছুই নেয় না। সব পরিষেবা ড্রাইভারকে দিয়ে করানো হয়। সব ক্ষোভ রাগ ড্রাইভারদের সইতে হয়। কিন্তু ড্রাইভাররা সামান্য পারিশ্রমিক পায়।
বৌদি : সিকিমিজ ড্রাইভার কাঙালি, গাল দেয় প্যাকেজের বাঙালি।
আমি : সিকিমিজ্দের নিজস্ব স্টেট। সিকিমিজ্রা ট্রাভেল ব্যবসা নিয়ে অন্যরকমভাবে ভাবছে না কেন?
ভুবন : আমরা ভাবতে শুরু করেছি। কিন্তু সরকারি সাহায্য প্রায় পাওয়াই যাচ্ছে না।
আমি : তোমরা নতুন কী ভাবছো?
ভুবন : র ট্রাভেলিং, মিথলজিক্যাল ট্রাভেলিং, আর্কিওলজিক্যাল ট্রাভেলিং, শর্ট ডিসটেন্স ট্রেকিং।
আমি : র ট্রাভেলিং?
ভুবন : আমরা দশ বারো জন শিক্ষিত ছেলেমেয়ে মিলে র ট্রাভেলিং করব। সেখানে ট্যুরিস্টদের নন-ইলেকট্রিক সিকিমিজ্ স্টাইলের বাড়িতে রাখা হবে। কোনো ধাতব বাসনপত্র ছাড়াই সিকিমিজ ঐতিহ্যের খাবার খাওয়ানো হবে। ট্যুরিস্টদের ছোটো ছোটো গ্রুপ শুধু নেওয়া হবে। কখনোই অনেক ট্যুরিস্ট নিয়ে পরিষেবা খারাপ হবে না, স্যাটিসফাইডও করা হবে।
আমি : রান্না কি মাটির বাসনে হবে?
ভুবন : না না বাঁশের চোঙে ভাত হবে। আর ট্রাডিশনাল রান্না করার ব্যবস্থা আছে।
আমি : বাঁশের চোঙে তো আগুন ধরে যাবে।
ভুবন: না ওটাতে চাল আর জল নির্দিষ্ট অনুপাতে মেশানো হয়। ভাত হয়ে গেলে চোঙ ফেটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাতের মার বাইরে পড়ে যায়। ভাত বেশ স্বাদের হয়।
আমি : র ট্রাভেলিং- এ তোমরা ট্যুরিস্ট পাবে?
ভুবন : আমাদের ট্যুরিস্ট পেতেই হবে। আর ট্যুরিস্টদেরও আমাদের। আমরা ট্যুরিস্টদের বলব, মার্চ-এপ্রিল মাসে আসুন, ওটাই সিজিন।
আমি : কেন?
ভুবন : এই যে ইয়ংথাং, এই সময় কিছুই দেখার নেই। কিন্তু দশ বছর আগেও এখানে অনেক কিছু দেখার ছিল। সিকিম দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। সৌন্দর্য উবে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে। র ট্যুরিজমে প্রকৃতি আর ট্যুরিস্ট একসাথে টিকে থাকবে। নইলে ট্যুরিস্টরা অনেক টাকা খরচ করে এসে ক্লান্তি ফেলে রেখে যেতে পারবে না, ফ্রেশ হয়ে ফিরবে না। যেমন আপনারা মুখ ভার করে আছেন।
আমি : ট্যুরিস্টরা সিকিমের প্রকৃতি নষ্ট করে ফেলল?
ভুবন : শুধু ট্যুরিস্টরা নয়। আপনারা বুঝতে পারবেন না। সিকিম গভর্নমেন্ট সিকিমিজদের জন্য কিছুই রাখছে না। এমনকী উচ্চশিক্ষিত সিকিমিজদের জন্যও নয়।
আমি : মানে?
ভুবন : পুলিশ, ড্রাইভার, লেবার আর ডিজিআর স্টাফ ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো পথ খোলা থাকছে না। সিকিমিজ ইঞ্জিনিয়ারকে সিকিমের নদীগুলির ওপর যে ড্যাম হচ্ছে তাতে কাজ দেবে না।
আমি : তোমাদের এখানে তো দেখছি অনেক ড্যামের কাজ চলছে। অনেক বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় নিশ্চয়ই?
ভুবন : হ্যাঁ, অনেক বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ একই দামে কিনতে হয় যেমন আপনারা সমতলে কেনেন। বিদ্যুৎ তৈরির হ্যাজার্ডগুলো থেকে যাচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য।
দাদা : এবার যে ভূমিকম্প হল চুং থাং-এ, তাতে কত লোক মারা গেছে?
ভুবন : সবচেয়ে বেশি মারা গেছে চুং থাং হাইডেল পাওয়ার ড্যাম তৈরিতে নিযুক্ত শ্রমিকরা। ওরা ঠুনকো বিপজ্জনক ঘরগুলিতে থাকত। বেশ কিছু পর্যটক মারা গেছে যারা দুর্বল পাকা হোটেলগুলিতে ছিল।
দাদা : গভর্নমেন্ট সাহায্য করছে না?
ভুবন : নেতালোগ কা তো একই মকসদ হ্যায় — ‘পাবলিক কো মারো, জেব মে ভরো।’ ব্যস্।
আমি : সেটা কীভাবে?
ভুবন : সিকিম ইন্ডিয়াতে এমন একটা রাজ্য যেখানে অল ইন্ডিয়া বেসিসে ওপেন টেন্ডার হয়। প্রায় বেশিরভাগ পরিষেবাতেই এটা করা হয়। যেমন এখন আমার এই নতুন গাড়িতে নম্বর প্লেট লাগাতে হবে। নম্বর প্লেট আর নম্বর অ্যালটমেন্ট, দুটোই এখন গভর্নমেন্ট দিচ্ছে, মানে সরকার টেন্ডার ডেকে কোনো সংস্থাকে পরিষেবা বিক্রি করে দিয়েছে যার কাছ থেকে আমাকে ২৫০০-৩০০০ টাকায় নম্বর সহ প্লেট কিনতে হবে। বেঙ্গলে ছোটো গাড়ির নাম্বার প্লেট এর থেকে অনেক কম দামে সরকারি আরটিও থেকে পাওয়া যায়। দিন দিন আমাদের আর আমাদের বলে কিছু থাকছে না।
আমি : কেন?
ভুবন : এই যে ইয়ংথাং, এই সময় কিছুই দেখার নেই। কিন্তু দশ বছর আগেও এখানে অনেক কিছু দেখার ছিল। সিকিম দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। সৌন্দর্য উবে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে। র ট্যুরিজমে প্রকৃতি আর ট্যুরিস্ট একসাথে টিকে থাকবে। নইলে ট্যুরিস্টরা অনেক টাকা খরচ করে এসে ক্লান্তি ফেলে রেখে যেতে পারবে না, ফ্রেশ হয়ে ফিরবে না। যেমন আপনারা মুখ ভার করে আছেন।
আমি : ট্যুরিস্টরা সিকিমের প্রকৃতি নষ্ট করে ফেলল?
ভুবন : শুধু ট্যুরিস্টরা নয়। আপনারা বুঝতে পারবেন না। সিকিম গভর্নমেন্ট সিকিমিজদের জন্য কিছুই রাখছে না। এমনকী উচ্চশিক্ষিত সিকিমিজদের জন্যও নয়।
আমি : মানে?
ভুবন : পুলিশ, ড্রাইভার, লেবার আর ডিজিআর স্টাফ ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো পথ খোলা থাকছে না। সিকিমিজ ইঞ্জিনিয়ারকে সিকিমের নদীগুলির ওপর যে ড্যাম হচ্ছে তাতে কাজ দেবে না।
আমি : তোমাদের এখানে তো দেখছি অনেক ড্যামের কাজ চলছে। অনেক বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় নিশ্চয়ই?
ভুবন : হ্যাঁ, অনেক বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ একই দামে কিনতে হয় যেমন আপনারা সমতলে কেনেন। বিদ্যুৎ তৈরির হ্যাজার্ডগুলো থেকে যাচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য।
দাদা : এবার যে ভূমিকম্প হল চুং থাং-এ, তাতে কত লোক মারা গেছে?
ভুবন : সবচেয়ে বেশি মারা গেছে চুং থাং হাইডেল পাওয়ার ড্যাম তৈরিতে নিযুক্ত শ্রমিকরা। ওরা ঠুনকো বিপজ্জনক ঘরগুলিতে থাকত। বেশ কিছু পর্যটক মারা গেছে যারা দুর্বল পাকা হোটেলগুলিতে ছিল।
দাদা : গভর্নমেন্ট সাহায্য করছে না?
ভুবন : নেতালোগ কা তো একই মকসদ হ্যায় — ‘পাবলিক কো মারো, জেব মে ভরো।’ ব্যস্।
আমি : সেটা কীভাবে?
ভুবন : সিকিম ইন্ডিয়াতে এমন একটা রাজ্য যেখানে অল ইন্ডিয়া বেসিসে ওপেন টেন্ডার হয়। প্রায় বেশিরভাগ পরিষেবাতেই এটা করা হয়। যেমন এখন আমার এই নতুন গাড়িতে নম্বর প্লেট লাগাতে হবে। নম্বর প্লেট আর নম্বর অ্যালটমেন্ট, দুটোই এখন গভর্নমেন্ট দিচ্ছে, মানে সরকার টেন্ডার ডেকে কোনো সংস্থাকে পরিষেবা বিক্রি করে দিয়েছে যার কাছ থেকে আমাকে ২৫০০-৩০০০ টাকায় নম্বর সহ প্লেট কিনতে হবে। বেঙ্গলে ছোটো গাড়ির নাম্বার প্লেট এর থেকে অনেক কম দামে সরকারি আরটিও থেকে পাওয়া যায়। দিন দিন আমাদের আর আমাদের বলে কিছু থাকছে না।
রামজীবন ভৌমিক, ১৫ জুন
Leave a Reply