শমীক সরকার, কলকাতা, ১৫ মে#
সাইকেলের ওপর জুলুম জারি কলকাতা পুলিশের। ১১ মে সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা নাগাদ বলাই চক্রবর্তী রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড এবং পার্ক স্ট্রীটের ক্রসিং-এ সিগন্যাল-এ দাঁড়িয়েছিলেন সাইকেল নিয়ে। এমন সময় সাদা পোশাকের একজন পুলিশ তাকে বলে সাইকেলটা নিয়ে মোড়ের উল্টোদিকে একটু অন্ধকার জায়গায় আসতে। সেখানে একজন পোশাক পরিহিত ট্রাফিক পুলিশ সাইকেলটা দাঁড় করিয়ে তাকে একটা স্লিপ দেয়। পাশেই একজন দুধওয়ালাও দাঁড়িয়েছিলেন সাইকেল নিয়ে। তাকেও ধরেছে পুলিশ। যাই হোক, ওই স্লিপ দিয়ে বলাইকে সেটা নিয়ে পার্ক স্ট্রিট থানায় যেতে বলা হয়। একটু দূরেই পার্ক স্ট্রিট থানা।
থানায় গেলে বলাই দেখেন, সেখানে সাইকেল আরোহীরা লাইন দিয়ে ফাইন জমা দিচ্ছেন। কর্তব্যরত একজন সেখানে একটা চালানের মতো কাগজে নাম, ঠিকানা, বাবার নাম, বয়স লিখে নিলেন। তারপর একশ’ টাকা নিলেন। কিন্তু কোথাও ওই টাকার পরিমাণ-টা লেখা হলো না। যাই হোক, টাকা দিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে এসে বলাই সেই ট্রাফিক পুলিশের কাছে গিয়ে স্লিপটা দেখালেন। স্লিপের দশ নম্বর লেখা জায়গাটা ছিঁড়ে নিয়ে স্লিপটা বলাইকে ফেরত দিয়ে দিলেন ট্রাফিক পুলিশ। সাইকেল-ও ফেরত পেলেন বলাই।
স্লিপটাতে ছাপার অক্ষরে লেখা ছিল সাউথ ট্রাফিক গার্ড, ১/৫ এজেসি বোস রোড, কলকাতা ২০।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ সারা কলকাতা চক্রাকার র্যালি হয়েছিল সাইকেলের ওপর জুলুম, ফাইন, নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে। হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন-ও রয়েছে এ ব্যাপারে। সারা পৃথিবী গাড়ি, প্রাইভেট গাড়ি থেকে সাইকেলের দিকে সরছে। কিন্তু কলকাতা শহরে নো-সাইক্লিং বোর্ড ঝোলানো রয়েছে এখনো, সেগুলো ঝাড়পোঁচও করা হয়েছে। ওই জানুয়ারি মাসেই, র্যালির কয়েকদিন পরেই সন্ধ্যেবেলায় বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে সাইকেল পাকড়াও করা হচ্ছিল। অভিজ্ঞান সরকার নামে একজনের অভিজ্ঞতা হলো, সেদিন ২০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
Leave a Reply