২৬ সেপ্টেম্বর, জুনা, মেটিয়াবুরুজ#
বিদেশের যাওয়ার দিকে নজর আর কিছু ধনী বা উচ্চশিক্ষিত যুবসমাজে সীমাবদ্ধ নেই। গরিব অথবা অর্ধশিক্ষিত যুবকেরাও এখন দেশের বাইরে গিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার কথা ভাবছে। নানান কাজের কারিগর হিসেবে বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছে। তার মধ্যে জুয়েলারি, ইলেকট্রনিক্স বা পাইপ লাইনের কাজে অনেকেই ছুটছে আরব বা দুবাই।
বিদেশে যেতে গেলে পাসপোর্ট চাই। কিন্তু গোড়ায় যদি গণ্ডগোল থাকে, তবে এইসব যুবকদের পাসপোর্ট তৈরির ব্যাপারটা মাঠে মারা যাবে। বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে পাসপোর্ট অফিসে নগদ ১৫০০ টাকা জমা দিতে হয়। ফর্মে নাম ঠিকানা এবং আইডেনটিটি প্রুফ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা কম্পিউটারে আবেদনকারীর ফটো তুলে নেয়। আবেদনটি এরপর জেলাশাসকের কাছ থেকে থানায় যায় অনুসন্ধানের জন্য। থানার থেকে আবেদনকারী ব্যক্তির কাছে যাওয়া হয়। তার আগে থানায় দেখা হয়, ব্যক্তিটি কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত আছে কিনা।
এপর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেক আবেদনকারী এক বছর আগে আবেদন করেছে, অথচ তার অনুসন্ধান করা হল না। হয়তো জেলাশাসকের হাতে কাগজ এল, অথচ তা থানায় পাঠানো হল না। আর আবেদনকারী ভাবল, আর কিছুদিন অপেক্ষা করে দেখি। এই করে অনেকে বাড়ির বাইরে পা বাড়াতে চায় না, যদি থানার লোক এসে ফিরে যায়। গ্রাম বা বসবাসের এলাকা ছেড়ে বাইরে কোথাও চলে যাওয়ার পর যদি অনুসন্ধান করা হয় এবং তাকে না পাওয়া যায়, তাহলে তার পাসপোর্ট আর তৈরি হবে না। এই করে কেবল পাসপোর্ট তৈরির প্রতীক্ষায় গ্রামের অনেক যুবক ঘরে বসে এটা ওটা করে কোনোরকমে সংসার চালাতে থাকে। সরকারকে একটা প্রশ্ন, পাসপোর্ট তৈরির জন্য কত মাস সময় ধার্য করা হয়েছে? শুনেছি জেলাশাসকের দপ্তরে কিছু সালামি দিলে আবেদন নিয়ে কিছুটা নাড়াচাড়া করা হয়। ব্যাপারটা কতটা সত্য, জানা দরকার।
Leave a Reply