কুশল বসু, ৩০ আগস্ট, কলকাতা#
ঈদ-উল-ফিতর এর সময় পাকিস্তানে দ্রোণ হামলা বাড়িয়েছে আমেরিকা। পূর্ব ওয়াজিরিস্তানের শাওয়াল উপত্যকার সুবেদার-এ ১৮ আগস্ট ঈদ উপলক্ষ্যে সংগঠিত হওয়া একটি অনুষ্ঠানে দ্রোণ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ৬ জনকে হত্যা করে শুরু হয় এই হামলা। পরদিন এই উপত্যকারই মানা অঞ্চলে পাঁচটি দ্রোণ ক্ষেপণাস্ত্র হানা হয় একটি গাড়িতে, যাতে মারা যায় সাতজন। পরে উদ্ধারকারী দলকে লক্ষ্য করেও দ্রোণ হামলা চালানো হয় এবং আরও দু-জন মারা যায় তাতে। এর ঠিক দুদিন পরে ওই অঞ্চলেই আবার দ্রোণ হামলা চালানো হয়, যাতে বদরুদ্দিন হাক্কানি নামে এক সন্ত্রাসী নেতা মারা যায় বলে জানায় আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। ২৪ আগস্ট এই উপত্যকার তান্দার অঞ্চলে এসময়ের সবচেয়ে বড়ো হামলায় ছটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয় এবং তাতে ১৮ জন মারা যায়। মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, মৃতদের মধ্যে আছে পূর্ব তুর্কিস্তান আন্দোলনের নেতা এমেতি ইয়াকুফ। এই হামলাটির আগের দিনই পাকিস্তান আমেরিকার দূতাবাসে দেশের মাটিতে সার্বভৌমত্বের তোয়াক্কা না করে এই ধরনের বিমান হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তাতে কর্ণপাত করেনি আমেরিকা।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে ন্যাটো সেনাবাহিনীর ওপর আফগান সেনাবাহিনীর আক্রমণ বাড়ছে। গত ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতি বছর এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা আগের বছরের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘লঙ ওয়ার জার্নাল’ বলে একটি ওয়েবসাইট। এবছর এখনও পর্যন্ত আক্রমণ হয়েছে ২৯টি, তাতে মারা গেছে ৪৫ জন ন্যাটো সেনা আর আহত হয়েছে ৪৪ জন। আগস্ট মাসের শেষের দিকেই অন্তত তিনজন নিউজিল্যান্ডের সেনা ও তিনজন অস্ট্রেলিয়ান সেনা মারা গেছে আফগান সেনাবাহিনীর আক্রমণে। উল্লেখ্য ২০১৪ সালের মধ্যে আফগান সেনাবাহিনীকে শিখিয়ে পড়িয়ে ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তান থেকে বিদায় নেওয়ার কথা।
Leave a Reply