শমীক সরকার, কলকাতা, ৫ জুন। ছবি প্রতিবেদকের তোলা
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে একটি সারাদিনব্যাপী সাইকেল চালক এবং সাইকেলপ্রেমী মানুষের অবস্থান আলাপ চলল। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত চলে এই আলাপ। কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে ব্যানার ছিল সাইকেল সমাজের। আর ছিল বিবিধ রঙিন পোস্টার। তাতে লেখা ছিল, সাইকেলের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক, গাড়ি চড়ার বিপদ থেকে শুরু করে কলকাতার শ্রমজীবী সাইকেল চালকদের হয়রান হওয়ার কথা।
প্রচণ্ড গরমের কারণে সেদিন আমন্ত্রিত সাইকেল চালক এবং সাইকেল প্রেমী মানুষের আনাগোনা কম হলেও, পথ চলতি শয়ে শয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে পড়ে মন দিয়ে দেখলেন পোস্টার প্রদর্শনী। প্রদর্শনী দেখে কেউ এগিয়ে এসে কিনে নিয়ে গেলেন সাইকেল সমাজের প্যামপ্লেট — ‘আমরা কলকাতার রাস্তায় সাইকেল চালাই, তাতে কার ক্ষতি?’ কেউ কিনলেন একাধিক। মনীশ কুমার পাণ্ডে, এক হিন্দিভাষী যুবক বলে গেলেন, তিনি এই পুস্তিকাটি হিন্দিতে অনুবাদ করে দেবেন। কারণ, হিন্দিতে অনুবাদ করা সাইকেল সমাজের লিফলেটটি ভুল হিন্দিতে ভরা।
বাবলু বাগ জানালেন, তাঁরা হাওড়া থেকে বড়বাজার আসেন বাজারে। বেলগাছিয়া বাঙালবাবু ব্রিজের ইন্দিরা স্ট্যাচুর পাশে গেলেই তাঁদের পাওয়া যাবে। পঞ্চাশ একশো জন যুবক। বড়বাজারে নিত্যদিন তাঁদের পুলিশ ধরে জরিমানা করে। তাঁরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঠির বাড়ি খেয়েছেন। এখন মাসোহারা দেন পুলিশকে।
পবন চ্যাটার্জি নামের এক যুবক এসে জানান, তাঁর বাবা জগদীশ চ্যাটার্জি সাইকেলে দুনিয়া ঘোরেন। গার্ডেনরীচে চাকরিতে যান সাইকেলে। পবন সাইকেল চালকদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদ জানিয়ে পিটিশনে সই করেন।
প্রবাসী গবেষক দেবশ্রী রায় জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের মধ্যে কে কে সাইকেল চালিয়ে কাজের জায়গায় যান?
বিকেলের দিকে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে ছোটো ছোটো সাইকেল র্যালি করার প্রস্তাব নেওয়া হয়।
Leave a Reply