জানি না কী ভেবে আমাদের ছোটোবেলায় পড়ানো হয়েছিল ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে’! গাড়ির প্রতি আমাদের মোহটা তৈরি করা হয়েছে সেদিন থেকেই। গাড়ি বলতে আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মনের চোখে আঁকা হয়েছে একটা সুদৃশ্য মোটরগাড়ি। আর একই সঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে পথচারী অন্য সকলের প্রতি অসম্মান। রিকশা, ঠেলা, ভ্যান বা সাইকেল এই অসম্মানিতদের তালিকাতেই পড়ছে। কলকাতা পুলিশের এক বড়ো কর্তা বলেছেন, সাইকেল চালালে ফাইন কেন নেবে, আটক করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে দিতে হবে। ভাবুন ‘লেখাপড়া’র কী ক্ষমতা আর দম্ভ!
সম্প্রতি নয়ডায় জাতীয় সাইকেল-প্রশিক্ষকের মৃত্যুর পর প্রাক্তন সাইক্লিস্ট প্রশিক্ষক চয়ন চৌধুরি ঠিক এই কথাটাই বলেছেন, ‘রাস্তায় সাইকেল-আরোহীদের কোনো সম্মান নেই’।
এ নিয়ে বিলাপ করার কোনো মানে নেই। আমরা যারা পথে হাঁটি, সাইকেল বা অন্য কোনো দূষণহীন যান চালাই, তাদের আত্ম-সম্মান অর্জন করে নিতে হবে। এছাড়া আর কোনো পথ নেই।
Leave a Reply