সমাজমঙ্গলের ভাবনা থেকেই সংবাদমন্থন পথচলা শুরু করতে চায়। তবে সমাজ কথাটা তো বেশ বড়ো একটা কথা। তাই এই পথচলার কাজকে একটু ভেঙে ভেঙে ঠিক করে নিতে হচ্ছে। সমাজের ভদ্রলোকেদের কথা, তথাকথিত শিক্ষিতসমাজের কথা, ক্ষমতাধরদের কথা, সরকার-পার্টি আর মাতব্বরদের কথা তো আমরা ঢের শুনেছি। সংবাদমন্থন এবার কিছুটা অন্যদিকে চোখ রাখতে চায়, অন্যত্র কান পাততে চায়।
সংবাদমন্থন প্রকাশ করতে চায় গ্রামের মধ্যেও প্রান্তিক আঁধার গ্রামের খবর; শহরের মধ্যে অলিগলি-ঘুপচি-শহরতলীর খবর; শ্রমিকের মধ্যেও যারা পেষিত — যারা অগণিত অথচ ‘প্রান্তিক’ বা ‘অসংগঠিত’ নামে পরিচিত তাদের খবর; পরিবারের মধ্যে মেয়েদের খবর — এমনকী বাচ্চাদের আর বয়স্ক বলে যারা বাতিল তাদের খবর। সংবাদমন্থন এসব খবরের দেওয়ানেওয়া করতে গিয়ে যে বিশ্বপ্রকৃতি ও পরিবেশ-পরিমণ্ডলের মধ্যে আমাদের ঠাঁই, অবশ্যই তার খবরও সমান তালেই রাখতে চায় — কারণ আমরা তো সেই প্রকৃতিরই সন্তান।
সংবাদমন্থন আপনাদের কেবল হাত গুটিয়ে থাকা পাঠক হিসেবেই চায় না। বরং যে নাড়া-ঘাঁটা, যে মন্থন আমাদের রোজকার জীবনের সঙ্গী, তাকে যদি কতকগুলো সাদা কাগজের ওপর অক্ষরে অক্ষরে সাজিয়ে ফেলি, তাহলে তো আমাদের ভোগ আর দুর্ভোগের সাক্ষী হতে পারেন আপনিও। এভাবে ট্রেনে-বাসে-পথে বা পাড়ায় ঘরে ফিরে আমাদের দু’দণ্ড অন্তরঙ্গ কথাবার্তার মধ্যে যুক্ত হতে পারে আরও অনেকে। বিশ্বজোড়া মাটির মানুষের এক রোজকার সংলাপ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এই ‘সংবাদমন্থন’।
আমরা ভেবেছি এবং আজও ভেবে চলেছি এমন এক সংবাদমাধ্যমের কথা, যা সমাজেরই অংশ, তাতে সংবাদদাতা ও পাঠক সকলের সমান অংশীদারি। পাঠক সেখান থেকে খবর নেয়, সেখানে খবর দেয়। তাই খবরকে কেন্দ্র করে কোনো ওপর থেকে চাপানো রাজনীতি বা প্যাঁচ সেখানে চলতে পারে না। খবরের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে আমাদের আটপৌরে অনুভুতি। কে জানে, সেই খবরাখবরের দু-একটা কখন কার কাজে লেগে যায়!
Tulshidas Singha says
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভাল ও সময়োপযোগী ।পেড মিডিয়া ও অহংসর্ব্বস্ব মিডিয়ার যুগে রাজারাণীর গল্পের অতিরিক্ত সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযন্ত্রনার অভিজ্ঞতা,বঞ্ছনা ও প্রতারণার অসংখ্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর সত্য বিবরণ শোনার ইচ্ছে পোষন করেন অনেকেই। এখানে সমাজ ,রাজনীতি ,ধর্ম ,অর্থনীতি ,শিল্প ,কৃষি ,সংস্কৃতি-অপসংস্কৃতি প্রভৃতি ঘটনা ও নীতি নির্ধারণের ভাল ও মন্দ দুটো দিকই যদি নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করা হয় তাহলে এক শ্রেণীর পাঠকের বাসনা চরিতা্র্থ করতে সক্ষম হওয়া যাবে । কিন্তু মুশকিল হলো আলোচ্য বিষয়গুলো কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হবে তার উপর নির্ভর করবে সেটি কোন শ্রেণীর স্বার্থবাহী । যে সিদ্ধান্ত আদানি আম্বানীদের খুশী করবে তা কখনোই গরীব চাষীর স্বার্থবাহী হবেনা । ধর্মীয় ক্ষেত্রেও অনুরূপ সমস্যা বর্তমান। তাই দৃষ্টিভঙ্গী নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী ।
আমার পরামর্শ – ধর্মীয় ক্ষেত্রে একমাত্র নিরিশ্বরবাদী দৃষ্টিভঙ্গী নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে। তেমনই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমাজের বৃহত্তর অংশ শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্তের দৃষ্টিভঙ্গিতে ঘটনাবলীর বিচার বিশ্লেষন করতে হবে। সকল ক্ষেত্রের সাথেই সামাজিক ঘটনার বিশ্লেষনেও ন্যায়সঙ্গতভাবে করতে হবে। মনে রাখতে হবে ন্যায় ও আইন সমার্থক নয়।
ডাঃসুনীলকুমারলস্কর says
আপনার পত্রিকার ঠিকান website এ পেলামনা, জনালে উপকৃত হব।
Jiten says
Address for communication: Jiten Nandi, B23/2 Rabindranagar, P.O. Bartala, Kolkata 700018.
Editor: Shamik Sarkar (033-24050164)
Mumtahin says
Any Mobile number??