বাণিজ্যনগরী হচ্ছে নোনাডাঙা?
কেএমডিএ-র ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের শেষদিকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, নোনাডাঙার ৮০ একর জমিতে বাণিজ্যকেন্দ্র (আবাসন, শপিং মল, বিনোদনকেন্দ্র প্রভৃতি) গড়ে তোলার জন্য ইচ্ছুক বড়ো প্রাইভেট কোম্পানিগুলির কাছ থেকে পরিকল্পনা আহ্বান করা হচ্ছে। ২০১২ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে এই প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, নোনাডাঙায় উচ্ছেদও শুরু হয়েছে এই ৩০ মার্চ। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনো সরকারি বয়ান শোনা যায়নি। ওয়েবসাইটটিতেও আর কিছু বলা হয়নি।
এবার বস্তির মাঠটা টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরেই দিল সরকারের মদতপুষ্ট প্রোমোটার। ভেঙে দেওয়া মজদুর কলোনি, শ্রমিক কলোনির মানুষেরা উচ্ছেদবিরোধী কর্মীদের সহায়তায় খাড়া করেছে তাদের ঘরগুলো। সেগুলো আর ভাঙা হয়নি। কিন্তু গোটা মাঠটার প্রায় পুরোটাই ঘিরে দেওয়ার ফলে বস্তিবাসীদের খাবার জল আনা, বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগ রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই মাঠ ঘিরে দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ তেরোজন বস্তিবাসী এবং তাদের নেতা বাপি মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ২৮ এপ্রিল। তাদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সারাদিন তাদের কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে তাদের মধ্যে একটি বাচ্চার মা এবং আর একজন মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, জেলে পাঠানো হয় বাকি এগারো জনকে। ২৯ এপ্রিল কোর্ট তাদের ৩ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেয়। এদের নাম, বাপি মণ্ডল, উজ্জ্বল সাহা, মনীন্দ্রনাথ মণ্ডল, রবীন হালদার, পূর্ণ মণ্ডল, সোনা বর, প্রতিমা বেইজ, প্রতিমা বৈদ্য, রঞ্জিতা বৈদ্য, মিনতি সর্দার, সরস্বতী দাসী। প্রসঙ্গত, ৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হওয়া উচ্ছেদবিরোধী কর্মীদের মধ্যে ২ জন এখনও জামিন পায়নি—অভিজ্ঞান সরকার এবং দেবলীনা চক্রবর্তী। নোনাডাঙা সংক্রান্ত মামলায় তারা জামিন পেলেও ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের একটি মামলায় তাদের আটকে রাখা হয়েছে।উল্লেখ্য,উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন থেকে ধরার পরে তাদের পুলিশি হেফাজত ও সিআইডি হেফাজতে নেওয়ার পর নন্দীগ্রামের অভিযোগ আনা হয়।
শমীক সরকার, নোনাডাঙা, ২৯ এপ্রিল।
Leave a Reply