বস্তিবাসী বাদ দিলে নোনাডাঙার মূল বাসিন্দারাও কয়েক বছর আগেকার কলকাতার বস্তিবাসী। এখন তারা সেখানে থাকে পুনর্বাসনের এক কামরার ফ্ল্যাটে। আড়াইশো বর্গফুটের এই ফ্ল্যাটগুলিতে একটিই ঘর, একটি বারান্দা আর একটি চান পায়খানার জায়গা। ওই বারান্দাটিকেই কেউ বানিয়েছে রান্নাঘর, ইট-বালি-সিমেন্ট নিজেরা কিনে নতুন করে গাঁথনি দিয়ে। ২০০৩-০৪ সাল থেকে এখানে তৈরি হয়েছে পুনর্বাসনের ফ্ল্যাট, আর তা বস্তিবাসীদের হাতে দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৭ সাল থেকে।ওপরের প্রথম ছবিতে এরকমই একটি ফ্ল্যাটে দশ ফুট বাই বারো ফুটের ঘরটিকে দু-ভাগ করে, সেখানে মাচা বানিয়ে পাতা হয়েছে এক সংসার। ছেলে মেয়ে একটু বড়ো হলে এই ফ্ল্যাটে স্থান সংকুলান হওয়াই তো মুশকিল।দুই নম্বর ছবিতে রুবি মোড় থেকে নোনাডাঙা আসার একমাত্র সড়ক। রাস্তা ভেঙেচুরে গেছে। জল জমছে একটু কালবৈশাখির বৃষ্টিতেই। চীনামন্দির রুটের অটোচালকরা জানালেন, নোনাডাঙায় নতুন গজিয়ে ওঠা কারখানাগুলিতে (যার মধ্যে রাস্তার ধারেই রয়েছে এইচসিসি বা হিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সাইনবোর্ড লাগানো একটি কারখানা, দেখা গেল) মাল নিয়ে আসছে বড়ো বড়ো কন্টেনার। রাতের দিকে ‘৯০ চাকার কন্টেনার’ও নাকি ঢোকে। তার ভারেই এই দশা রাস্তাগুলির।তৃতীয় ছবিতে বিকেলে দেওয়া পুরসভার জলের লাইন। জলের গাড়ি আসবে পরদিন সকাল আটটায়।
সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, নোনাডাঙা, ১৪ এপ্রিল। ছবি শমীক সরকার
Leave a Reply