কাজল দাস, রবীন্দ্রনগর, মহেশতলা, ৬ সেপ্টেম্বর
আমি এক সপ্তাহ আগে একটি চিঠি পাই লালবাজার থেকে। চিঠিটাতে লেখা ছিল, আমি নাকি কিরণ শঙ্কর রায় রোডে সকাল ন-টা নাগাদ ণ্ণনো রাইট টার্ন’ মানিনি এবং এর জন্য আমার একটা ফাইন হয় একশো টাকার। আমার গাড়ির নম্বর ডব্ল্যু বি ০৪এফ ০৯২৬। আমার মনে হচ্ছে, যে এলাকায় ওঁরা কেস দিয়েছেন, সেই এলাকায় আদৌ অটো চলে কিনা আমার জানা নেই। আমি ওখানে জীবনে কোনোদিন যাইনি, যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। আমি যদি লালবাজারে যেতাম, পাঁচ-ছদিন আমাকে দৌড়াদৌড়ি করতে হত। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। বাধ্য হয়ে ইউবিআই-এর মেটিয়াব্রুজ শাখায় গিয়ে আমাকে একশো টাকা জমা দিতে হয়েছে। এই ধরনের কেস আমাদের রুটে আরও তিন-চারটে হয়েছে। সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে, একটি গাড়ি চুরি হয়ে গেছে আজ থেকে ন-মাস আগে। তা সত্ত্বেও সেই অটোর চালক শেখর দাস (গাড়ির নম্বর ডব্ল্যু বি ০৪এফ ১৪৫১) এক মাস আগে চিঠি পায়, সে একটি জায়গায় সিগনাল মানেনি। তার জন্য সে একটি কেস খায়। অথচ তার গাড়ি চুরি হয়ে গেছে ন-মাস আগে। এই ধরনের কেস কীভাবে হচ্ছে, আমার মাথায় আসছে না। এইভাবে কতদিন আমরা প্রশাসনের চাপ সহ্য করব?
এছাড়া আমাদের রুটের অনেকে গাড়ির পারমিটের জন্য টাকাপয়সা জমা দিয়েছে জানুয়ারি মাসে। এখনও সরকার আমাদের পারমিট দিচ্ছে না। কবে দেবে তাও ঠিক নেই। দিনের পর দিন আমরা পারমিটের জন্য মোটর ভেহিকেলসে গিয়ে হন্যে হয়ে ফিরে আসছি। চেয়ারম্যান মি. বাগচীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, কবে হবে বলতে পারছি না, এটা মন্ত্রীমশাইয়ের ব্যাপার। আমরা চাই, এই পারমিট আর কেসের ব্যাপারে একটা সমাধান হোক।
আমাদের এই রুটে অটোয় পুলিশ আমাদের চারজন করে নিতে বলছে। কিন্তু আমাদের এখানে এখনও অনেক পেট্রল গাড়ি, কাটা তেলের গাড়ি এবং ডিজেল গাড়ি কোনো পারমিট বা কাগজ ছাড়াই অনবরত চলছে পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে। এমনকী দশ-পনেরোজন যাত্রী নিয়ে। অথচ আমরা সমস্ত নিয়মকানুন মেনে কাগজপত্র রেখে গ্যাসের গাড়ি চালিয়েও কেস খাচ্ছি। এর আমরা সমাধান চাই।
আমাদের তিনটে ভাগে ইউনিয়ন আছে — সিটু, আইএনটিটিইউসি এবং ওনার অ্যাসোসিয়েশন। তিনটে সংগঠনের ওপরমহলে আমরা জানিয়েছি। তারা বলছে, এখন কিছুই করা যাবে না। নেতাদের সঙ্গে আমরা এই নিয়ে অনেক আলোচনাও করেছি। তারা এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
Leave a Reply