১৩ অক্টোবর, জিতেন নন্দী, আকড়া, মহেশতলা#
মহেশতলা পৌরসভার ২১নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বগা নোয়াপাড়ায় সেখ মহম্মদ জামানের বাড়ির নিচু পাঁচিল ঘেরা অংশ ঘেঁষে ভিতরে দেওয়াল তোলার সময় কিছু লোক দেওয়ালের একটা অংশ ভেঙে দেয়। সেখ মহম্মদ জামানের পুত্র সেখ আসাদুজ জামান এবং তাঁর স্ত্রী ওয়াহিদা জামান জানান যে ‘আমরা নিজস্ব কেনা সম্পত্তির ওপর ইটের পাঁচিল তুলছিলাম। এমতাবস্থায় পাড়ার কতিপয় ব্যক্তি … হামলা করেন এবং পাঁচিলের একটা অংশ ভেঙে দেন।’ তাঁরা আরও জানান যে দশ বছর আগে তাঁদের জমির সীমানার ওপর নিচু পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। এখন সেই পাঁচিলের ভিতর একটা দেওয়াল তোলা হচ্ছিল গ্যারেজ তৈরির জন্য। তাঁদের জমির দলিল অনুযায়ী মাপজোক করা আছে। যে অংশটা ভাঙা হয়েছে, সেই কোণে জমিটা কিছুটা তেরছা। অন্যদিকে এঁদের এক প্রতিবেশী গোলাম রব খান জানান, তাঁর কাছে যে মাস্টার প্ল্যান রয়েছে তাতে ওই পাঁচিলের কোণের চার ফুটের মধ্যে কিছুটা রাস্তার জমি ঢুকে যাচ্ছে। তাই পাড়ার পাঁচজনের সামনে নিজেদের সার্ভেয়ার দিয়ে জমি ফের মেপেই ওদের দেওয়াল তোলা উচিত। দেওয়াল ভাঙার কথা কেউ কেউ স্বীকার করলেও গায়ে হাত তোলার অভিযোগ কেউই স্বীকার করেনি। বরং উভয়পক্ষই মহেশতলা থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৪ অক্টোবর দুপুর ১টা নাগাদ। শোনা গেছে, ৯ অক্টোবর এই ওয়ার্ডের পূর্বতন কাউন্সিলার এসডিও-র কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। ৪ তারিখ ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে থানার তদন্তকারী আধিকারিক কার্তিক চন্দ্র বণিক এলেও ঈদ ও লক্ষ্মীপূজার জন্য সেই সময় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু আশ্বাস দেওয়া হয় যে পরে উভয়পক্ষকে ডেকে বিরোধটার মীমাংসা করা হবে।
প্রসঙ্গত, সেখ মহম্মদ জামান বলেন, ত্রিশ বছর আগে তিনি নবনী কুমার সিংহের কাছ থেকে জমিটা কিনেছিলেন। নবনী কুমার সিংহ চারটি প্লট করে জমিটা বিক্রি করেছিলেন। প্রতিবেশী বাবলু সার্ভেয়ার এবং গোলাম রব খানের জ্ঞাতসারে জমিটা হস্তান্তর করা হয়েছিল।
Leave a Reply