সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৬ মে#
এবারের সাধারণ নির্বাচনে জন-আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন কর্মী ভোটে দাঁড়িয়েছিল। এদের মধ্যে রুথ মনোরমা জনতা দল সেকুলার-এর হয়ে এবং সন্তোষ কুমার নির্দল হিসেবে এবং বাকিরা দাঁড়িয়েছিল আম আদমি পার্টির টিকিটে। নির্বাচনে এদের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশে হিসেব নিচে দেওয়া হল। \par
মধ্যপ্রদেশের খারগাঁও-এ কৈলাশ আওয়াসিয়া (নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন) পেয়েছেন ২.৭ শতাংশ ভোট, ছত্তিশগড়ের বস্তার-এ সোনি সোরি পেয়েছেন ২.২ শতাংশ ভোট (এই কেন্দ্রে ণ্ণনোটা’ টিপেছেন ৫ শতাংশ ভোটদাতা), তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে সেসুরাজ মায়াপ্পা (পরমাণু শক্তি বিরোধী জন-আন্দোলন) পেয়েছেন ২ শতাংশ ভোট, তুতিকোরিন-এ পুষ্পরায়ন (পরমাণু শক্তি বিরোধী জন-আন্দোলন) পেয়েছেন ২.৯ শতাংশ ভোট, কন্যাকুমারীতে এস পি উদয়কুমার (পরমাণু শক্তি বিরোধী জন-আন্দোলন) পেয়েছেন ১.৫ শতাংশ ভোট, উত্তর-পূর্ব মুম্বইয়ে মেধা পাটকার (ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অফ পিপ্লস মুভমেন্ট) পেয়েছেন ৮.৯ শতাংশ ভোট, মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়াতে অলোক আগরওয়াল (নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন) পেয়েছেন ১.৩ শতাংশ ভোট, ওড়িশার বরগড়-এ লিঙ্গরাজ প্রধান (গন্ধমাদন আন্দোলন) পেয়েছেন ১.৪ শতাংশ ভোট, ঝাড়খণ্ডের খুন্তি-তে দয়ামণি বারলা (আদিবাসী মূলবাসী রক্ষা মঞ্চ) পেয়েছেন ১.৬ শতাংশ ভোট (এই কেন্দ্রে নোটা টিপেছেন ৩.২ শতাংশ ভোটদাতা), কর্ণাটকের উত্তর ব্যাঙ্গালোরে বাবু ম্যাথু (ন্যাশনাল সেন্টার ফর লেবার) পেয়েছেন ২.১ শতাংশ ভোট, কেরালার পাথানামথিট্টা-তে সন্তোষ কুমার (কালানজোর জনকিয়া প্রতিরোধ সমিতি) পেয়েছেন ০.৫ শতাংশ ভোট (এই কেন্দ্রে নোটা টিপেছেন ২ শতাংশ ভোটদাতা), কর্ণাটকের দক্ষিণ ব্যাঙ্গালোরে রুথ মনোরমা (ব্যাঙ্গালোর ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ও ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ দলিত উইমেন) পেয়েছেন ২.৩ শতাংশ ভোট, মধ্যপ্রদেশের ভূপালে রচনা ধিঙরা (ভূপাল ট্রাজেডি ভিক্টিমস অর্গানাইজেশন) পেয়েছেন ১.৯ শতাংশ ভোট এবং সিধি রেওয়া-তে পঙ্কজ সিং (মহান সংঘর্ষ সমিতি) ১ শতাংশ ভোট (এই কেন্দ্রে নোটা টিপেছেন ১.৮ শতাংশ ভোটদাতা)।
এবারের নির্বাচনে নবাগত এবং কিছুটা ব্যতিক্রমী কায়দায় ভোটে লড়েছিল আম আদমি পার্টি। কিছু নির্বাচনী ও প্রশাসনিক সংস্কারের দাবিও তারা তুলেছিল। অনেক কেন্দ্রেই তারা ওই কেন্দ্রের জন্যই নির্দিষ্ট ইস্তাহার তৈরি করেছিল। দোরে দোরে ঘুরে প্রচার করেছিল। এই পার্টি এবারে ৪০০-র বেশি আসনে প্রার্থী দিয়ে গোটা দেশের মোট ভোটের ২.১ শতাংশ পেয়েছে। পাঞ্জাব থেকে চারজন জিতেছেন এই পার্টির টিকিটে। দিল্লির সাতটি কেন্দ্রেই এই পার্টি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে।
এই সাধারণ নির্বাচনে দেশের মোট ভোটের মধ্যে বিজেপি ৩১.১ শতাংশ ভোট পেলেও আসন পেয়েছে ৫২ শতাংশ, কংগ্রেস মোট ভোটের ১৯.৩ শতাংশ পেয়েও আসন পেয়েছে ৮.১ শতাংশ, বহুজন সমাজ পার্টি মোট ৪.২ শতাংশ ভোট পেয়ে একটি আসনও পায়নি, আবার এআইএডিএমকে ৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে আসন পেয়েছে ৬.৮ শতাংশ, তৃণমূল কংগ্রেস মোট ভোটের ৩.৮ শতাংশ পেয়ে আসন পেয়েছে ৬.৩ শতাংশ, সিপিএম মোট ভোটের ৩.৩ শতাংশ পেয়ে আসন পেয়েছে ১.৭ শতাংশ। অর্থাৎ অন্যান্যবারের মতো এবারেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটের মধ্যে দিয়ে জনমতের যেটুকু প্রতিফলন হয়, তারও অনেকটাই বিকৃত প্রতিফলন ঘটছে নয়া লোকসভায়।
Leave a Reply