নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ২য় বর্ষ পূর্তি
মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ঢাকা। ২৯ জুলাই, ২০২০।#
নিরাপদ সড়কের দাবীতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়, সফল ও অহিংস আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ও সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল ২৮ জুলাই সোমবার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তরফে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর উপকন্ঠে বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া দুই বাসের সংর্ঘষে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া নিহত, ১০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার প্রতিবাদে নিরাপদ সড়কের দাবিতে তরুন শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। সড়ক দুর্ঘটনার নামে ধারাবাহিক হত্যাকান্ড বন্ধ ও সড়কে নারকীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তির দাবীতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী গড়ে ওঠা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও সফল এই অহিংস আন্দোলনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নিয়েছে, সমর্থন দিয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণীমহলসহ প্রশাসনের সকলেই এই আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুন শিক্ষার্থীসহ সমর্থনকারী অসংখ্য নিরপরাধ ব্যক্তির নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা আজও প্রত্যাহার করা হয়নি।
আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের উপর হেলমেটবাহিনীর হামলার বিচার বা হামলাকারীদের আজও চিহ্নিত করা হয়নি। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী বহু শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হলেও আজও তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের দেখানো পদ্ধতি সবার চোখ খুলে দিয়েছে বলা হলেও পরবর্তী সময়ে তার ধারাবাহিকতা না থাকায় সড়কে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার নারকীয় পরিবেশের তেমন কোন উন্নতি হয়নি বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস করা হলেও আইন বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় মালিক-শ্রমিক সংগঠনের অঘোষিত কর্মবিরতির নামে ধর্মঘট ডেকে দেশবাসীকে জিম্মি করার কারণে আজও এই আইন বাস্তবায়নে গতি পায়নি।
বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে নিরাপদ সড়ক আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের পাশাপাশি আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী তরুন শিক্ষার্থী ও এই আন্দোলন সমর্থনকারী প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব সহ সকলের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
Leave a Reply