মার্কিন মুলুকে জন্মানো এবং বড়ো হওয়া সৌরভ সরকারের সঙ্গে সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের ‘অপ্রাকৃতিক’ যৌনাচারকে অপরাধ ঘোষণা বিষয়ে কথোপকথনে শমীক সরকার, ১৪ ডিসেম্বর#
সমকামী-বাইসেক্সুয়াল-ট্রান্সসেক্সুয়াল কৌমের একজন মানুষ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়টিতে তোমার প্রতিক্রিয়া কি?
খারাপই লেগেছে। চারপাঁচ বছর আগে দিল্লি হাইকোর্টে যে রায় হয়েছিল — মানুষে মানুষে যৌনতার ধরণ কেমন হবে, সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার, কোর্ট বা রাষ্ট্রের ব্যাপার নয় — সেটাকে আমরা প্রগতি হিসেবেই দেখেছিলাম। অন্তত আমি তো সেরকমই ভেবেছিলাম। আমি যদিও আইনজ্ঞ নই, কিন্তু আইনের দিক থেকেও আমার মনে হয়, এটা একটা পেছনের দিকে পথ হাঁটারই সামিল।
কিন্তু এটার বিভিন্ন রকম জটিলতা আছে। কীভাবে সমকামী-বাইসেক্সুয়াল-ট্রান্সসেক্সুয়ালদের আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে। সেটাতে এনজিও-দের ভূমিকাটা ঠিক কি… সেখান থেকে শুরু করে ভারতে অন্য ধরণের যৌনতার মানুষদের সমাজে স্থান কতটা, রাষ্ট্রে স্থান কতটা — সবকিছুরই ভূমিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের ধারণাটা কীভাবে পাল্টানো যায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের শরীর, মানুষের যৌনতার ওপর, সাধারণভাবে যৌন ক্রিয়ার ওপর কীভাবে রাষ্ট্র খবরদারি করে — সেটাও গুরুত্বপূর্ণ — এবং সেই সমস্তকিছু বলতে গেলে তো একটা পিএইচডি ডিসার্টেশন লেখা হয়ে যাবে। তাই অত কিছু না বললেও, এটুকু বলা যায়, আমার খারাপ লেগেছে।
তার সাথেই এটাও বলতে চাই, ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট যে সমকামিতাকে ছাড়পত্র দিয়েছিল, তাতে আমার কেমন যেন একটা অস্বস্তি লেগেছিল। এখন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে একটু স্বস্তি লাগছে এটা ভেবে, যে আমাদের সমাজের সত্যিকারের চিত্রটা প্রতিফলিত হয়েছে এই রায়ে। আমাদের ভারতবর্ষের সমাজে সমকামিতার কোনও ঠাঁই নেই। আমি নিজে আমেরিকায় জন্ম নেওয়া, আমেরিকায় বড়ো হওয়া বাঙালি, যার কলকাতায় কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন আছে। আমি জানি, আমেরিকান সমাজেও সমকামিতার প্রকাশ্য ছাড়পত্র নেই। ভারতেও নেই। সমাজের ওপরতলায়, দুই দেশেই, হয়ত কিছুটা গ্রাহ্য হয়েছে ভিন্ন ধরণের যৌনতা।
এই যে বিভিন্ন ধরণের যৌনাচারকে অপরাধ বলে দেগে দেওয়া হলো, এর ফলে কী হতে পারে বলে তোমার মনে হয়?
এই আইনটা বহু পুরনো, ব্রিটিশদের সময় তৈরি হয়েছিল, বলা হয়েছিল, অপ্রাকৃতিক যৌনাচার নিষিদ্ধ। এর মধ্যে কিন্তু শুধু সমকামী যৌন সম্পর্ক পড়ে না, আরও অনেক ধরণের যৌনাচারও পড়ে যায়। যেটা সরকার মনে করবে অপ্রাকৃতিক যৌনাচার, সেটার জন্যই তোমাকে গ্রেফতার করতে পারে। আমার তো মনে সরকারকে এতটা ক্ষমতা দেওয়া বড়ো ভুল। শুধু সমকামী-বাইসেক্সুয়াল-ট্রান্সসেক্সুয়াল লোকেদের জন্যও নয়। সব লোকের জন্য। এই আইনের আওতায় পড়ে যাবে মুখ-যৌনাচার, বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে পায়ু-যৌনাচার প্রভৃতি বিভিন্ন ধরণের যৌনক্রিয়া যা বর-বৌয়ের মধ্যে হয়। এটাকে দেখতে হবে, কেমনভাবে সরকার এবং সমাজ মানুষের শরীরকে শাসন করে — সেইদিক থেকে। শুধু ভিন্ন ধরণের যৌনতার মানুষই নয়, সমস্ত সাধারণ মানুষের জন্য এই আইনটা মারাত্মক।
অপরাধ বলার মধ্যে দিয়ে তো পুলিশের প্রশ্ন আসে।
হ্যাঁ, পুলিশি হামলা তো হয়ই। চারবছর আগে অবধি তো আইনটা ছিলই। পুলিশি নির্যাতনের বহু রেকর্ড আছে। হয়ত সমকামী-বাইসেক্সুয়াল-ট্রান্সসেক্সুয়ালদের ডেটিং ওয়েবসাইটে গেল পুলিশ, তারপর লোভ দেখিয়ে কাউকে ফাঁদে ফেলল, তারপর খপ করে ধরল। যদি পুলিশ চায়, তাহলে এই আইনটাকে খুব সহজেই অপব্যবহার করতে পারে। যে কোনও কাউকে ধরতে পারে। সীমাবদ্ধতা আছে, ওদের প্রমাণ করতে হবে যে অপ্রাকৃতিক যৌনাচার করা হয়েছে, কিন্তু … বার্তাটা খুব খারাপ। আর এই বার্তাটা থেকেই যারা খারাপ কাজ করতে চায়, কোনঠাসা করতে চায় কাউকে, এমনকি কোনও রাজনৈতিকভাবে বিরোধী লোককে, তাহলে সে সুযোগ পেয়ে যাবে। কাউকে যৌনতার জন্য যদি কেউ হ্যারাস করতে চায়, তারা এই রায়ের ফলে খুশি হয়ে ভাববে, আচ্ছা, ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বলছে, হ্যারাসমেন্ট করা যায়। এটা খুবই খারাপ জিনিস।
তুমি আমেরিকায় বা ইংলন্ডে সমকামি-বাইসেক্সুয়াল-ট্রান্সসেক্সুয়ালদের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলে। আর অভিজ্ঞতার আলোকে এখানকার যে আন্দোলন, তাকে কী বলবে?
এটা খুব জটিল প্রশ্ন। আমার মনে হয়, আমেরিকায় এই আন্দোলন যে ভুলটা করেছে, তারা শুধু এই ইস্যুতেই প্রচার চালিয়েছে। সেটা এখানে করা যাবে না, করা উচিতও নয়। ভিন্ন ধরণের যৌনতার অধিকার সমস্ত মানবাধিকারের একটি অংশ। সেদিক থেকেই ব্যাপারটাকে দেখতে হবে …
কেন?
কারণ, তুমি কীভাবে আরেকটা সম্মতি দেওয়া প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সঙ্গে মিশছ, সেটা নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। এটা ভিন্ন ধরণের যৌনতার বিষয় শুধু নয়। একটা মানুষের সঙ্গে আরেকটা মানুষের সম্পর্ক খুব মৌলিক বিষয়। সরকার তো অনেক ওপরের ব্যাপার তার তুলনায়। তাই এটা আইন বা প্রকৌশলগত ভাবেই সব্বার ব্যাপার নয়, বাস্তবতও সব্বার ব্যাপার। আর তা ছাড়া আমি যেহেতু ভিন্ন ধরণের যৌনতার মানুষ একজন, আমি তো এভাবেই দেখতে চাইব। আমি তো খুঁজতে চেষ্টা করবই, কীভাবে আমি সমাজের একজন হয়ে উঠব, নিজেকে একজন আলাদা মানুষ হিসেবে না দেখে।
লিঙ্গের অধিকারের আন্দোলন (উদাহরণ : নারী আন্দোলন) আর ভিন্ন যৌনতার আন্দোলনের কি সংযোগ রয়েছে?
অবশ্যই। কারণ দুটিরই মূল বিষয় নিজের শরীরের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ। দুটিরই ফোকাস পরিবার ও বৃহত্তর সমাজে ব্যক্তির ভূমিকা ও অবস্থান। এবং সোজা কথায়, দুটিই অবহেলিত বিষয়। তাই এই দুটির সংযোগ রয়েছে।
একটা কথা ওঠে, যদি ‘অপ্রাকৃতিক’ যৌনতার ওপর বিধিনিষেধ না থাকে, তাহলে কমবয়সীদের মধ্যে এই ধরণের যৌনতার বাড়বাড়ন্ত হবে। কমবয়সীরা এর সুদূরপ্রসারী ফল কি হতে পারে, তা না বুঝেই হস্টেলে এতে লিপ্ত হবে। আমাদের এখানে তো বাবা-মায়েরা ছেলে-ছেলে এবং মেয়ে-মেয়ে বন্ধুত্বেই স্বস্তি বোধ করে অভ্যস্ত। তাই এই ধরণের একটা আইন যদি থাকে, তাহলে কমবয়সীরা একটু ভয় পাবে। এ বিষয়ে তুমি কিছু বলবে কি?
প্রথমত, দুটি মানুষের মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে কোনও ভয় থাকা উচিত নয়, স্বনিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে। তারা নিজেরাই ঠিক করতে পারে, কতটা মিশতে পারে, কতটা না মিশতে পারে। তারা মিশতে মিশতেই বুঝতে পারবে, তার প্রকৃতি কি। আসলে আইনে যেটা লেখা আছে, লোকেদের প্রকৃতির বিরুদ্ধে কিছু করা উচিত নয়, কথা হিসেবে সেটা খারাপ কিছু নয়। তুমি বাচ্চাদের ব্যাপারে বলছ। হ্যাঁ, সেটা আরেকটু জটিল। কিন্তু আমার যখন সাত-আট বছর বয়স ছিল, তখনই আমি বুঝেছি, আমি ছেলেদের পছন্দ করি। আর ওই বয়সেই আমার বেশির ভাগ বন্ধু বুঝে গেছিল, তারা বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে পছন্দ করে। হস্টেলে যৌনাচার নিয়ন্ত্রণ করাটা একটা প্র্যাকটিক্যাল ব্যাপার।
কিন্তু এই প্রশ্নগুলি নিয়ে আমার একটা বক্তব্য আছে। যখনই সমকামিতার ব্যাপারটা তোলা হয়, লোকের মধ্যে প্র্যাকটিক্যাল চিন্তা এসে যায়। এগুলো অজুহাত। আসল ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলা হোক বরং। একটা কথোপকথন দরকার। আমরা কী ভাবি এটা নিয়ে। সমকামী সম্পর্ক নিয়ে। আমরা সাধারণভাবে যৌনতা, যৌনাচার নিয়েই বা কী ভাবি। এটা যদি এমনকি একটা বর-বৌ যদি নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনা করতে না পারে, যা আজকেও আমাদের সমাজে করা যায় না, তাহলে তো ওদেরই তো ক্ষতি হচ্ছে। যৌনতা, যৌনাচার নিয়ে যদি আমরা না কথা বলতে পারি খোলাখুলি, তাতে আরও বেশি ক্ষতি হয়। আমরা এগুলি নিয়ে আলোচনা না করে আমরা ভান করছি যে এগুলো যেন বা আলোচনার বিষয় নয়। আসলে আমরা তা উড়িয়ে দিতে বা চাপা দিয়ে রাখতে পারি না। এর ফলে খারাপ হয়, ক্ষতি হয়। প্রকৃতির কথা বলা হচ্ছে। প্রথমত তো এটা স্বীকার করা দরকার, প্রতিটি মানুষের প্রকৃতি এক ধরনের নয়। এবং প্রত্যেককে প্রত্যেকের প্রকৃতি খুঁজে পেতে সাহায্য করা দরকার।
কেন্দ্রীয় সরকার একটা তথ্য দিয়েছে কোর্টের কাছে, সমকামী যৌনাচারের মাধ্যমে এইডস বেশি হয়।
আমি এই বিশেষ তথ্যটি ঠিক কি ভুল তা জানি না। তবে আমি এটা জানি, এইডস যখন থেকে আবিষ্কার হয়েছে, তখন থেকেই অনেকে বলার চেষ্টা করেছে, এটা একটা সমকামী রোগ। আমরা জানি এই কথাটা ঠিক নয়। সব লোকেরই এইডস হতে পারে।
দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, পতিতাবৃত্তির মতো এটারও যদি অপরাধকরণ করা হয়, যদি এটাকে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তো আরও বেশি অনিরাপদ প্র্যাকটিস হবে। কারণ, যার প্রকৃতি সমকামী, সে তো আর বিষমকামী হয়ে যেতে পারে না। ফলে ব্যক্তির এবং সমাজের পক্ষে আরও ঝুঁকি হয়ে যাবে।
আমাদের এখানে সম্প্রতি ধর্ষণ নিয়ে একটি আইন হয়েছে। সেটা যথেষ্ট খারাপ। এর ফলে পুরুষ মানুষের যেকোনও ধরণের যৌন ইঙ্গিতকে অপরাধের সারিতে ফেলে দেওয়া যাবে, যদি কেউ তা করতে চায়। অর্থাৎ অপব্যবহার করা যাবে। কিন্তু আমাদের এখানে একটা মানসিকতা তৈরি হয়ে গেছে, যে কোনও মূল্যে ধর্ষণকে আটকাও। ফলে আপাতত হয়ত এই আইনটার এই দানবীয় দিকটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না। এবার এর থেকে উৎসাহিত হয়ে কেউ কেউ বলছে, মানুষের যৌনাচারকে যদি নজরের মধ্যে আনা যায়, তাহলে ধর্ষণ প্রভৃতি অপরাধকে দমন করা যায়। কারণ আমাদের এখানে সম্মতি তৈরি করা যায় খুব সহজে, কারণ এই দেশে মানুষে মানুষে ক্ষমতার ফারাক অনেক।
আমার তো মনে হয়, সব দেশেই সম্মতি তৈরি করে নেওয়া যায়, সব দেশেই মানুষে মানুষে ক্ষমতার ফারাক অনেকটাই। এবং যাদের ক্ষমতা আছে, তারা কম শাস্তি বা কোনও শাস্তি ছাড়াই ছাড় পেয়ে যাবে। তুমি মানুষের ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানি নিয়ে যে ক্ষোভ তাকে ব্যবহার করে সমস্ত ধরণের যৌনতাকে অপরাধকরণ করতে পারো না। দ্বিতীয়ত, ইস্যুটা যৌনতা অপরাধ কি না তা নয়, ইস্যুটা হলো, সমাজ নিজেই কিভাবে যৌনতার প্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা নিয়ে — তা সে বিয়ের মধ্যের যৌনতা হোক বা বাইরে, সমাজ নিজে নিজেকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা প্রশ্ন।
তোমার ব্যক্তিগত জীবনের কথাটা কি একটু বলবে?
আমি একজন সমকামী মানুষ। আমি এটা খুব কম বয়স থেকেই জানি। আমার জীবন আমার এই প্রকৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আমার সারা জীবনেই খুব অসুবিধা হয়েছে। এর কারণ এটা নয় যে আমি সমকামী, এর কারণ হলো, আমি যে সমকামী এটা আমি কখনও খোলাখুলিভাবে ভাবতে বা বলতে পারিনি। পরিবারে বলতে পারিনি। এমনকি নিজেকেও একটা সময় পর্যন্ত বলতে পারিনি। আমার মনে হয় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেবল আমার ক্ষেত্রে নয়, আমার আশেপাশে যারা আছে, তাদের ক্ষেত্রেও। খোলাখুলি ভাবে ভাবা, স্বীকার করা, এবং বলা দরকার।
কোর্টে একটা খারাপ বিচার হয়েছে, তবু তো পথ আছে …
আসল ব্যাপারটা তো কোর্টে ঠিক হবে না, আসল ব্যাপারটা ঠিক হবে মানুষের বাড়িতে। আমাদের প্রতিদিনের কার্যাবলীর মধ্যে দিয়ে। সমাজের মানুষগুলো কী ভাবলো, কী করল তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কোর্ট কী বলল তার তুলনায়। কোর্ট যাই বলুক, লোকে যেভাবে চাইবে, সেভাবেই যৌনাচার করবে। কোর্ট তাতে সাথ দিচ্ছে, কি বাগড়া দিচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেটা মৌলিকভাবে আমাদের যৌনাচার নির্ধারণ করে দিতে পারে না।
আমাদের এক বন্ধু সমকামী, কিন্তু সে নিজে সেটা বুঝতে চাইত না। তারপর সে বিদেশে পড়াশুনার জন্য যাওয়ার পর, তার এই উপলদ্ধি হয়। কিন্তু সে খুব দ্রুত ঘন ঘন পার্টনার বদলাতে থাকে। সেটা দেখে এদেশে তার পরিচিতরা ক্ষুন্ন হয়।
আরে এটা তো একটা উন্নতি। আগে কেউ সমকামী জানলেই লোকে রাগ করত। এখন সে ঘনঘন পার্টনার বদল করলে লোকে রাগ করে। কারণ পরিচিতরা চায়, সে একটা পার্টনার নিয়ে সুখে ঘরদোর করুক। এই উদ্বেগ সমাজের পক্ষে ভালো।
Leave a Reply