সুপর্না, বাবুবাগান রেলকলোনি, ৩০ জুন#

ঢাকুরিয়া বাবুবাগান রেলকলোনিতে জলের খুব সমস্যা। এখানে আগে কল খুলতেই সবসময় গার্ডেনের জল (পরিশ্রুত জল, পানীয় ও রান্নাবান্নার জন্য) আসতো। তারপর আসতে আসতে গার্ডেনের জল আসা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর একদিন সম্পূর্ণ জল আসাই বন্ধ হয়ে যায়। পাড়ার সবাই জলের সমস্যার কথা কাউন্সিলরকে জানালে তখন তিনি রোজ জলের গাড়ি পাঠাতেন। এভাবে কিছুদিন জলের সমস্যা চলার পর কাউন্সিলর (মধুছন্দা দেব) নতুন পাম্প বসালো। কয়েকটা ঘর পরে পরে একটা করে নতুন কল বসিয়েছিলেন।
নতুন নতুন কলগুলোতে কিছুদিন ভালোভাবে জল আসছিল। কিন্তু খাবার জল আসতো না। তারপর আসতে আসতে নতুন কলগুলোতে জল পড়া কমে আসতে লাগলো।
পুরনো কলে বরং জল আসতে শুরু করে। কিন্তু পুরনো কলের আরেক সমস্যা। জলের কলের লাইন আর পাড়ার নিকাশী ড্রেনের লাইন একসঙ্গে তৈরি করা। বর্ষায় যখন ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়, তখন যখন জলের কল নোংরা জলে ভরে যায়। কোনোরকমভাবে পাড়ার লোক ওই নোংরা জলে নেমে কল থেকে জল নেয়। ওই জল স্নান, শৌচ, কাপড় কাচার জন্য ব্যবহার করা হয়। ওই জলে পা দিলে গায়ে চুলকানি হয়। আমার, আমার দিদি, পাশের বাড়ির মাসি সবারই চুলকানি হয়েছে। এই জল গায়ে ঢাললে গা চুলকায়।
কিছুদিন এইভাবে চলতে থাকে। কাউন্সিলরকে জানানো হয়। তিনি লোক পাঠান সাতদিন পর, পরিষ্কার করার জন্য। সেদিন ২০ জুন।
কয়েকদিন পরিষ্কার থাকে জলের কল। কিন্তু এখন অবস্থা আবার যে কে সেই। খাওয়ার জল অনেক দূর থেকে আনতে হয়। তা নাহয় আনা গেল। কিন্তু স্নান শৌচ কাপড় কাচার জল দূর থেকে আনা খুবই অসুবিধা। পাড়ার লোকের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান থাকলে খাবার জলের অসুবিধা হয়।
Leave a Reply