খায়রুন নেসা, রাইট ট্র্যাকের কর্মী, ২৫ মার্চ#
১৬ মার্চ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ষোলোবিঘা থেকে ফোন করে জানায় একজন, দিদি আগুন লেগে গেছে। আমি অবাক হয়ে গেলাম। অফিসের সকলকে জানিয়ে আমি ওখানে ঢুকেছি আটটা পাঁচে। এসে দেখছি দৃশ্যটা, পুরো শ্মশান হয়ে গেছে। তখনও আগুন জ্বলছে। ফায়ার ব্রিগেড এসে আগুন আয়ত্তে আনতে পারেনি তখনও। রাত তিনটে নাগাদ আগুন লেগেছে আর ফায়ার ব্রিগেড এসেছে ভোর পাঁচটা নাগাদ। এলাকার লোকজনই খবর দিয়েছিল ওদের। দশটা-এগারোটার মধ্যে আগুন ওদের আয়ত্তে আসে। বাসিন্দারা সব কাঁদছে। এসডিও আমাদের ‘রাইট ট্র্যাক’-এর মাধ্যমে ত্রাণের জিনিস কিছু দিলেন। সেগুলো আমাদের সেন্টারে রাখা হয়। তিনজন মায়ের কোলে ছিল সদ্যোজাত শিশু। আনুমানিক সাতশো ঘরের সমস্ত কিছুই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে চিঁড়ে-গুড় দেওয়া হয়। এলাকার মানুষ পাঁচজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই পাঁচজন রফিকের আত্মীয়। মানুষের অভিযোগ, ওরাই নাকি যুক্তি করে আগুন লাগিয়েছে। ২০ নভেম্বরের মতো কেমিকাল ছড়িয়েই নাকি আগুন লাগানো হয়েছিল।
Leave a Reply