সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৪ অক্টোবর#
বর্ষা মিটলেও ৩৪নং জাতীয় সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। সম্প্রতি আমাদের এক পরিজনকে নিয়ে যেতে হয়েছিল কল্যাণীর এক নার্সিং হোমে। অ্যাম্বুলেন্সে শান্তিপুর থেকে কল্যাণী পৌঁছাতে সময় লাগল প্রায় তিন সাড়ে তিন ঘণ্টা। এদিকে আমাদের সেই অসুস্থ পরিজনের ‘লবেজান’ অবস্থা রানাঘাটের পর থেকেই অত্যন্ত খারাপ। প্রায়ই মাল বোঝাই লড়ি উল্টে যাচ্ছে। গাড়ি পাল্টি খাওয়ার জন্য আপ-ডাউন দুদিকের গাড়ি জ্যাম হয়ে গেছে। অসুস্থ রোগীকে কল্যাণী নিয়ে যাওয়া মুশকিল। অথচ নদিয়া জেলার আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা যা আছে, তা ওই কল্যাণীতেই। অপরদিকে জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে যাওয়ার অভিজ্ঞতাও দুঃসহ। শান্তিপুর শহর ছাড়িয়ে গোবিন্দপুর অঞ্চলের রাস্তা বিগত কয়েক বছর ধরেই খুব খারাপ। এ নিয়ে প্রশাসনিক মহলে কোনো স্তরেই কোনো তৎপরতা নেই। সড়কের এই অবস্থার মধ্যেই বারাসাত থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ফোর লেন রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সেই রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ কতটা হবে সেটাই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন।
Leave a Reply