করুণা রঞ্জন সোরেনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে, ১৫ অক্টোবর#
শিলিগুড়ির মাটিগাড়াতে জগজ্জননী সুধাংশুবালা শিশু ঋষি শিক্ষাশ্রমে আশেপাশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে সচেতন করার জন্য একটি সচেতনতা শিবির আয়োজন করা হয় ২৮ আগস্ট। এই শিক্ষাশ্রমের চারপাশের বসবাসকারীদের অধিকাংশই শ্রমিক এবং দরিদ্র। চাল-ডাল-নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানের তুলনায় চোলাই মদের দোকানে রমরমা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আর এলাকায় যারা ধনবান, তারা জমির দালাল বা জমি মাফিয়া। এই শিবিরে বক্তব্য রাখেন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা, লেখক ও কবি শ্রী ভাস্কর মজুমদার এবং এই শিক্ষাশ্রমের আচার্য শ্রী করুণা রঞ্জন সোরেন।
শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাস্করবাবু বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেশের মোট অর্থের বৃহৎ অংশ মাত্র কয়েকটি ব্যক্তির কুক্ষিগত। অপরদিকে মন্দির-মসজিদ-গীর্জা-স্টেশন-রাস্থার ধারে দেখা যায় অনেক মানুষ পশুর চেয়েও নিম্নমানের জীবন কাটাচ্ছে। দেশের অধিকাংশ মানুষেরই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ন্যুনতম চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা নেই। ধনবানরা সবাইকে খরিদ্দার বানাতে চায় এবং ছলে বলে আপামর খরিদ্দারের নিকট থেকে অর্থশোষণ করে। এই শোষণের ফলে সঞ্চিত অর্থ আবার কোনো সেবামূলক সংস্থায় দান করে নাম কামায়। … বর্তমান পুঁজিপতিদের মোট পুঁজি ভারত সরকারের মোট পরিমাণের তুলনায় বেশি। যা দেশের জন্য খুব খারাপ ব্যাপার। পুঁজিপতিদের সামনে সরকার নড়বড়ে। … শ্রমিকরা মালিকের সাথে আন্তরিক ব্যবহার নিশ্চয় করবে, কিন্তু তার শোষণের সামনে মাথা নত করবে না। কোথাও মাথা নত করার পরিস্থিতি এলে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়ে জানাবে।’
ভাস্করবাবু আরও বলেন, ‘দরিদ্র শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশুনা করানোর খরচ নেই, তাই বিড়ি, মদ, কেবল লাইন ইত্যাদির খাতে খরচ না করে তা সঞ্চয় করে সন্তানদের পড়াশুনা ও খাদ্য খাওয়ানোর জন্য ব্যয় করা দরকার। আপনাদের কৃষিজমি নেই, কারণ জমির দালাল ও জমির মাফিয়ারা জমি কব্জা করে রেখেছে। আপনারা একজোট হয়ে এদের প্রতিরোধ করে জমিরক্ষা করুন। কৃষকরা স্বাধীন। কারও শ্রমিক নয়। নিজে উৎপাদন করে সন্তানদের সুশিক্ষা দিন।’
Leave a Reply