• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

দুবরাজপুর গুলি কাণ্ডের মেঘনাদ কর্পোরেট এমটার ক্ষমতা

November 11, 2012 admin Leave a Comment

দুবরাজপুরের লোবা গ্রামে ডিভিসি এমটার  কয়লা উত্তোলনের জন্য জমি অধিগ্রহণকে ঘিরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিলই। গত সপ্তাহে এমটার পক্ষ নিয়ে পুলিশ গ্রামে ঢুকতে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেয়, পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে। ক্ষমতার বিভিন্ন স্তর, পুলিশ-প্রশাসন-সরকার-দলগুলির ভূমিকা নিয়ে কথা উঠছে, কিন্তু এসব ‘ক্ষমতার পেছনের ক্ষমতা’ কর্পোরেট মাইনিং অপারেটর এমটার ভূমিকা ততটা আলোচনায় নেই। সেই ক্ষমতা নিয়ে সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, কলকাতা, ১১ নভেম্বর#

কর্পোরেট এমটা-র বিজ্ঞাপন

এমটার বিজ্ঞাপন, কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।

১৯৯৪-৯৫ সালে বামফ্রন্ট শাসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন-এর সাথে যৌথ উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু। এখন এমটা-র যৌথ উদ্যোগ কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের সাথে এবং ডিপিএল, ডিভিসি, টিভিএন নামক আরও তিনটি সরকারি সংস্থার সাথে। পাঞ্জাবের সাথে যৌথ উদ্যোগ হয় ১৯৯৭ সালে আকালি দল সরকারের আমলে, কর্ণাটকের সাথে হয় ২০০২ সালে যখন কংগ্রেস সরকার, ২০০৩ সালে হয় ঝাড়খণ্ডের অর্জুন মুণ্ডার বিজেপি সরকারের সাথে, আর ২০০৭ সালে বিজেপি শাসিত হিমাচলের সাথে।
এমটা এই সব যৌথ উদ্যোগের সবগুলিরই ৭৪ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার এবং তাদের উপস্থিতি মাইনিং অপারেটর হিসেবে। কয়লা খনি জাতীয়করণ আইন অনুযায়ী প্রাইভেট সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগে গেলে সর্বোচ্চ ওই ৭৪ শতাংশ শেয়ারই সেই প্রাইভেট সংস্থাকে দিয়ে দিতে পারে কোনও সরকারি সংস্থা। তাই সরকারি সংস্থাগুলি কয়লাখনি ব্লকের বরাত পেলে, সেগুলি বাস্তবত এমটার হাতে চলে যায়। এইভাবে এখন আমাদের দেশের কয়লার মালিক যারা, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এমটা, যার কয়লার বর্তমান বাজার মূল্য ২.২ লক্ষ কোটি টাকা, অর্থাৎ আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের হাতে ২০০০ টাকা করে দিলে যত টাকা লাগে, তত টাকা। প্রথম স্থানে আছে জিন্দল।
এই সরকারি সংস্থাগুলির কয়লা উৎপাদন খরচের সিংহভাগ যায় এমটার হাতে। কর্ণাটকের যৌথ উদ্যোগের ২০১০-১১ সালে কয়লা উৎপাদনের মোট খরচ ২৯৮.৮৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৯৮ কোটি টাকা গেছিল অপারেটর এমটা-কে দিতে, এরকমই অভিযোগ। বিনিময়ে সবই করে এমটা। জমি অধিগ্রহণের ছাড়পত্র আদায়, জমি অধিগ্রহণ, কয়লা উত্তোলন। খুব কম সময়ে সরকারি ছাড়পত্র আদায়ে এদের দক্ষতা প্রবাদের মতো। যথাযথ ঘুষ দেওয়া ছাড়া যে ছাড়পত্র আদায়ই করা যায় না, একথা সবাই জানে। আর এ থেকেই মাত্র বিশ বছরেরও কম সময়ে এমটা এখন একটা সাম্রাজ্য।
দুবরাজপুরে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন শাসক দলের সাংসদের সঙ্গে মহাকরণে এসে এমটার কর্ণধার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ কোটি টাকা দান করে যান।
(তথ্যসূত্র : ৩-৫ সেপ্টেম্বর ২০১২-র ডিএনএ পত্রিকা, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ইকোনমিক টাইমস, ৯ নভেম্বর ২০১২ বর্তমান)

শিল্প ও বাণিজ্য কয়লাখনি, কর্পোরেট, কর্পোরেট ক্ষমতা, দুবরাজপুর

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in