‘আরও একবার বাংলাদেশ দেখাল তার স্বতঃস্ফূর্ততার আবেগ। দলচিহ্নহীন দেশপ্রেমের পবিত্র সেই আবেগ নিয়ে পথে বেরিয়ে পড়েছে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে, দেশটা বাংলাদেশ হয়ে উঠবার পরে যাদের জন্ম। …’
এরকম সামান্য কয়েক লাইনে নিজের কথা পাঠ করে কবি শঙ্খ ঘোষ উদ্বোধন করলেন ‘সমুদ্যত শাহবাগ’ নামে পুলক চন্দের তোলা ছবির প্রদর্শনী, কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের বই-চিত্রে (১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কফি হাউসের তিনতলায়)। কলকাতায় বাস করেও শাহবাগ আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি কীভাবে বুঝছেন, বললেন অরুণ সেন।
তিনি বলেন, ‘আজ ২৬ মার্চ, বিয়াল্লিশ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭১-এর আজকের এই দিনটিতে পাকিস্তানি সেনার ধ্বংসাত্মক আক্রমণের মুখোমুখি পূর্ববঙ্গের বাঙালির স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেই স্বাধীনতা অর্জিতও হয়েছিল। কিন্তু অচিরে নানা বিপথগামিতার মধ্যে তা বারবার বিড়ম্বিত, প্রায় চূর্ণ। আজও তার জের চলছে। তারপর হঠাৎই বাঙালির যে সত্তা ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রকে হাতিয়ার করে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছে, পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েও ইতিহাসের সেই অভিযানের সদ্যরূপ যেন ফিরে এল ২০১৩-র ফেব্রুয়ারিতে। আগেও মাঝে মাঝে এই প্রতিবাদ হয়তো উচ্চারিত হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা টেঁকেনি। পাশাপাশি আমরা দেখছি, এবছর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রসারিত শাহবাগের আন্দোলন নানা দিক থেকেই সকলের মনে যে নতুন প্রত্যাশা জাগাল তার ঠিক তুলনা নেই। শাহবাগ যেন এক বিদ্যুৎস্পর্শ, একাত্তরের মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন …।’ প্রায় ত্রিশ মিনিটের বেশি অরুণ সেনের এই বক্তৃতায় ছিল শাহবাগের যুব-বিদ্রোহের প্রতি সহমর্মিতা।
‘সমুদ্যত শাহবাগ’ প্রদর্শনীটি চলবে রবিবার ও ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন বিকেল তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা ১৩ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত। রিপোর্ট জিতেন নন্দীর।
Leave a Reply