শাকিল মইনুদ্দিন, ১৯ ডিসেম্বর, হাজিরতন, মেটিয়াব্রুজ#
উন্নয়নমূলক কর্মের ডালি নিয়ে হাজির আমাদের অঞ্চলের আগুয়ান ওস্তাগরভাইরা। ২০০৬ সালে গড়ে উঠেছে ‘দর্জিমঙ্গল সমিতি’। নামটা দিয়েছিলেন প্রবীণ শিক্ষক আখতার হোসেন। নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে আমাদের রুগ্ন দর্জিসমাজকে নতুন কলেবরে সাজিয়ে নিতে এই সংস্থা বদ্ধপরিকর। ব্যবসাকেন্দ্র বড়তলা অঞ্চলে একটা জমি কেনাকে কেন্দ্র করে এই সংস্থার জন্ম। জন্মলগ্নেই তাদের ঘোষণা, ক্রয় করা জমিতে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়, আগামী প্রজন্মের সুশিক্ষার প্রয়োজনে এখানে সরকারি সাহায্যে কারিগরি বা প্রথাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই এই সংস্থা ছেলেমেয়েদের বই দান, পঠন-পাঠনের ব্যয়ভার, এমনকী জয়েন্ট এনট্রান্সে উত্তীর্ণ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে সংস্থার খরচে পড়াশুনার সুযোগ করে দিয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর সংস্থার নতুন দপ্তর উদ্বোধনের সময় তারা তাদের আগামী পরিকল্পনার কথা সকলকে জানিয়েছে। সকলেই সাধুবাদ জানিয়ে তাদের উৎসাহ দেন। শিক্ষার প্রসার ও আগ্রহ তৈরি করার জন্য তারা প্রতি বছর এলাকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির নানা সমস্যা সমাধানে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এলাকায় একমাত্র বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ‘মেটিয়াব্রুজ সেবাসদন’। অধিকাংশ গরিব মানুষ নামমাত্র খরচে এখানে চিকিৎসার জন্য ভিড় করে। এখানে নানা সুবিধা থাকলেও প্রসূতির সিজারের কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রসবকালীন জরুরি সময়ে রোগীকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে রোগীরা শুধু অসুবিধায় পড়ে না, পথে মৃত্যুও ঘটে। এই জ্বলন্ত সমস্যার সমাধানে সংস্থা উদ্যোগী হতে চায়। তারা সেবাসদনে সিজার পদ্ধতি চালু করার জন্য অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া দুঃস্থ মানুষকে জামাকাপড় দেওয়া, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কম্বল দেওয়ার কাজও তারা হাতে তুলে নিতে চায়।
প্রচারসভা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্মকে সংস্কৃতিমনা করে তোলা, হঠকারিতা ও অসামাজিক কাজ থেকে তাদের সরিয়ে আনা এবং মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করার কথাও সংস্থার মধ্যে ভাবা হচ্ছে।
Leave a Reply