• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

থেমে

July 14, 2012 admin Leave a Comment

অমিতাভ সেন, কলকাতা, ১৪ জুলাই#
তালতলা লেনের শুরুর দিকটায় অন্ধকার আর পেচ্ছাপের তীব্র গন্ধ। গলিটার থেকে ইউটার্ন নিয়ে বেরিয়ে এস এন ব্যানার্জি রোডে পড়ার আগে ত্রিপুরাশঙ্কর সেন শাস্ত্রী স্মৃতি লাইব্রেরি। সেখান থেকে খবরের কাগজের দু-চারজন পাঠক ঝুঁকে আকাশ দেখল। বৃষ্টি নামল। মেঘের তো কমতি নেই, বৃষ্টি কতক্ষণ হয় কে জানে। আষাঢ়ের অর্ধেক পেরিয়ে গেল। এখনও বর্ষা জমল না। একজন বৃদ্ধ পাঠক আরেকজনকে বলেন, ‘পলিউশন, বুঝলেন পলিউশনেই সব শেষ হয়ে গেল। আমরাই আমাদের সর্বনাশ করে ছেড়েছি। বর্ষা হবে কোথা থেকে?’
এই বৃদ্ধর মতোই এপাড়ায় এখনও এমন কতকগুলো বাড়ি বেঁচে আছে, যাদের ঝুল বারান্দার লোহার রেলিঙে ফুল আর লতাপাতার কারুকাজ। মোড়ের মাথায় একদিকে দেবদারু আর অন্যদিকের গাছটা সম্ভবত জারুল। একজন দেহাতি বয়স্ক লোক আমাকে বললেন, ওটা জঙ্গল গাছ, ছোটাসা ফল ভী হয়। আমি সেই আধচেনা গাছের নিচে ছাতা হাতে দাঁড়িয়েছি। টিউশনি বাড়ির দরজা তালাবন্ধ। সন্ধ্যে ৭টা বাজতে ১০ মিনিট বাকি। সময় কাটাতে সামনের ফুটপাথের চায়ের দোকান থেকে একটা চা নিলাম। চারিদিকে দেখছি। উল্টোফুটে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের চাঁদোয়ার নিচে ভুট্টাওয়ালা আগুন বাঁচিয়ে রাখতে এত দ্রুত হাতপাখা নাড়াচ্ছে, মনে হচ্ছে একটা বড়ো প্রজাপতি যেন তার হাতের মুঠোয় স্থির হয়ে আছে। আমার ফুটে চায়ের দোকানের পাশে নিচু রকে হিন্দুস্থানি খেটেখাওয়া মানুষের ভিড়। তাদের মাথার ওপর টাঙানো কালো প্লাস্টিকে বৃষ্টির জল জমে সাদা সাদা মোটা ধারায় নেমে আসছে। ওরকম মোটাধারার ডোরাকাটা পটে লুঙ্গি আর ফতুয়া বা গেঞ্জি গায়ে মানুষগুলোর হাতে হাতে চা আর খইনি। আবছা আলোছায়ায় কারো মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তারই মধ্যে লাল গামছা কাঁধে একজনের সাদা গোঁফের তলা থেকে অদ্ভুত দেহাতি সুর ভেসে এল। সেই দেহাতি লোকগানে মেঘমল্লারের সুর না থাকলেও মেজাজটা আছে। বাঁদিকে আমার পায়ের কাছে সেই জঙ্গল গাছ থেকে ক-হাত মাত্র দূরে, ইলেকট্রিক পোস্টের নিচে আবর্জনার স্তূপ। সেখানে একটা ভাঙ্গা বাইক ভিজছে। নম্বর প্লেটে লেখা আছে, কলকাতা পুলিশের বাইক তাও লেখা আছে। লাল মাটগার্ডের ফোকলা চাকাদুটো এমনভাবে নোংরার ঢিপির মধ্যে হাঁটুগেড়ে বসে আছে, মনে হচ্ছে মহাভারতের কর্ণের রথের চাকা — রথচক্র গ্রাসিছে মেদিনী। দেখতে দেখতেই বৃষ্টির বল্লম উঠিয়ে আকাশের যোদ্ধারা হাওয়া। আমিও আমার ছাতার ঢালটা গুটিয়ে নিয়ে টিউশনি বাড়ির দিকে হাঁটা লাগালাম।

চলতে চলতে বর্ষা, শ্রমজীবী

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in