খোদ রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ২২ দিন টানা অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনজন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। কোনো হেলদোল ছিল না সরকারের। মন্ত্রীরা এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা সব জেনেও না দেখার ভান করেছেন, ঠায় মুখে কুলুপ এঁটে বসে থেকেছেন। কারণ অনশনরত কর্মীরা ‘ইউনিটি ফোরাম’ নামে এমন এক সংগঠনের সদস্য, যার চালচুলো নেই, যার পিছনে ডান-বাম-অতিবাম কোনো দলের তকমা নেই। তাই সাধারণ কর্মচারীদের সহানুভূতি ও সমর্থন থাকলেও রাইটার্সের বড়ো বড়ো নেতারা চোখের চামড়া বেচে অনড় বসেছিলেন। অথচ বকেয়া ডিএ-র দাবিটা সকলেরই দাবি আর যেসব বড়ো বড়ো সংবাদপত্র আর টিভি চ্যানেল খবরের প্রতি দায়বদ্ধ বলে অনেক বড়ো বড়ো কথা বলে, তারাও ২২ দিন পর্যন্ত খোদ রাইটার্সের এই খবরটাকে তেমন স্থান দিতে চায়নি। অবশেষে বুধবার ১৩ জুন যখন অনশনরত কর্মী অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তাদের সামান্য দয়া হল! বড়ো প্রথমশ্রেণীর সংবাদপত্রে স্থান পেল ছোটো দ্বিতীয়শ্রেণীর এই আন্দোলন!
পুলিশ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্যকে বুধবার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। কিন্তু ওইদিনই তাঁর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা বন্ড দিয়ে রাত ৮টার সময় তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলতে থাকে। ওদিকে অন্য দুই অনশনকারী দেবপ্রসাদ হালদার ও সুরজিৎ সাহা অনশন চালিয়ে যেতে থাকেন। ২১ মে থেকে আজ পর্যন্ত ২৫ দিন মহাকরণের অর্থ দপ্তরের বারান্দার সামনে এই অনশন আন্দোলন চলছে। আগামী মঙ্গলবার সকল বন্ধু ও সহমর্মী সংগঠনকে মহাকরণে সমাবেশ করে বিক্ষোভে শামিল হওয়ার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছে।
চেতলা নিবাসী সোনিয়া (দাশগুপ্ত) ভট্টাচার্যর তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৫ জুন
Leave a Reply