সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, কলকাতা, ৩০ আগস্ট#
‘জাইতাপুর লড়াই-এর সংহতিতে জাতীয় কমিটি’-র উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে জাইতাপুর পরমাণু কেন্দ্র বাতিলের দাবি জানালেন। এদের মধ্যে আছেন সিপিআইএম দলের প্রকাশ কারাট, সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই দলের এবি বর্ধন, লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান, জনতা দল সেকুলারের নেতা দানিশ আলি, তেলেগু দেশম পার্টির নামা নাগেশ্বর রাও।
২৭ আগস্ট পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের আরেভা কোম্পানির চুল্লিতে বিপজ্জনক কিছু নিরাপত্তাজনিত ত্রুটি রয়েছে, যার কথা বারবার বলেছে বিশেষজ্ঞরা, সাংসদরা এবং স্থানীয় মানুষ। এবং এই প্রকল্পটির কোনো বিজ্ঞানসম্মত নিরাপত্তা পরীক্ষাই হয়নি। এর সেফটি অডিটও কেউ জানে না। তাছাড়া স্থানীয় মানুষ এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। শর্তসাপেক্ষে ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক যে ছাড়পত্রটি দিয়েছে, তা পরিবেশের ওপর প্রভাবের একটি ভুলে ভরা সমীক্ষার ওপর দাঁড়িয়ে। এটা বানাতে খরচ কত হবে তাও জানাচ্ছে ভারতের পরমাণু কর্তৃপক্ষ। আরেভার প্রস্তাবিত ‘ইউরোপিয়ান প্রেসারাইজড রিয়াক্টর’ বা ইউরোপীয় চাপিত চুল্লি পরীক্ষিত নয়। খোদ ফ্রান্সই এই চুল্লির সমালোচনা করেছে। ফিনল্যান্ড এবং ফ্রান্সে বসতে চলা এই ধরনের দুটি চুল্লি গঠনের সময়সীমা ছাড়িয়ে গেছে চারবছর হয়ে গেল, এখনও সেখানে চুল্লি বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। উপরন্তু বাড়ছে খরচ। তাছাড়া দেনায় নিমজ্জিত হয়েছে ওই আরেভা কোম্পানি।
চিঠিতে নেতারা কুদানকুলামের পরমাণু চুল্লি নিয়ে কিছু বলেননি, যদিও কুদানকুলামের রাশিয়ান চুল্লিগুলি সম্পর্কেও এসমস্ত কথাই খাটে।
Leave a Reply