বঙ্কিম, পেট্রোপোল সীমান্ত, ২১ ফেব্রুয়ারি#
এই তো সময়, জমি তৈরী হচ্ছে, রোয়ার কাজ চলছে। জমির আলে দাঁড়িয়ে আছি আমরা ক’জন। সন্ধ্যাকাশের সামনাসামনি, ধানের ক্ষেতের ফালগুনী চাঁদ ভাসছে। কাল একুশে ফেবরুয়ারি। সীমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলার গল্প শুনতে শুনতে কাল সেখানে যাওয়া না যাওয়ার দোলায় দুলতে থাকি আমরা। মুঠোফোনে বার্তা আসে অবশেষে – ‘কালকে সাতটার ট্রেনে যাব …..’ রাত্রি তখন ১১টা ৪৩, ২১শে ফেব্রুয়ারি –আরতো কয়েক মিনিট।
শীত যাই যাই করেও বসন্তকে পথ ছাড়েনি। চারদিকে আমগাছগুলো মুকুলে ভরে উঠেছে। সকালের আলোয় যেন সোনা ঝড়ছে। বিস্তীর্ণ মাঠের মাঝ থেকে ট্রেন ছুটছে। জানালায় বিনিদ্র চোখ চেয়ে আছে।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।। ……
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি।
কত কথাই না বলা আছে এই গানটিতে, গীতবিতান থেকে সে ই কথাগুলি শুনতে শুনতে আর কত কথায়- কথায় পেরিয়ে গেলাম বিনয় মজুমদাররের বাড়ি, বিভূতিভূষণ হল্ট। পৌঁছে গেলাম বঁনগা।
এবার জ্যন্তীপুর রোনা দিলাম। পথে যেতে যেতে দেখলাম জায়গায়-জায়গায় সকাল-সকাল কচিকাচাদের জড়ো করা হচ্ছে – মাতৃভাষা দিবস পালন হবে। বর্ডারের কাছেকাছি আসতেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সৈনিক রাস্তা রুখে দাড়াল, তবু, সেই ভিনভাষী তরুণের হাসিটুকু যেন আজ সকালের নিমন্ত্রণ।
বাংলাদেশ বর্ডারের গেটের সামনে ভাষা শহিদ স্মারক স্তম্ভ, উপরে ভাষা শহিদ – সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর-এর ছবির নীচে লেখা ‘আমরা ভুলিনি তোমায়…..’। আর স্তম্ভের একধারে লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ….’ অপর ধারে লেখা, ‘তুমি কে, আমি কে, বাঙালি বাঙালি’। এই স্লোগানটা ছাপিয়ে আরো অনেক পোস্টার সাজানো হয়েছে। ভারতের অবাঙালি বি.এস.এফ. কর্মীরা অস্ত্রহাতে সেইসব পোস্টারের সামনে ডিউটি দিচ্ছেন। গত বছর এমনতর স্লোগান চোখে পড়েনি। দেখেছিলাম কত মর্মস্পর্শী কত বাণী। এবার দুই দেশের যাতায়াতের পথের মাঝে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে, বাঁশের দুধারে বি.ডি.আর. এবং বি.এস.এফ। এপারের বি.এস.এফ কর্মীরা লাগাতার বাঙালীদের বাঁশের ধার থেকে হঁটাচ্ছে। অপর দিকে বি.ডি.আর. দেশের মানুষের সাথেই মিলেমিশে দাঁড়িয়ে আছে। এধারে সাহবাগ আন্দোলনের একটা ছবি নিয়ে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম ক’জন, প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে প্রচারপত্র বিলি করছিলাম। বাংলাদেশের মিডিয়া এ বিষয়টাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিল। ওরা বলল আপনারা আমাদের টিভিতে আমাদের চ্যানেলগুলোতো দেখেননা, অথচ আপনাদের কত চ্যানেল এদেশের মানুষ দেখে।
২১শের টানে আজই এপার বাংলা থেকে ঘুরে ওপার বাংলা ফিরে যাচ্ছে অমিত কুমার দাস। থাকে খুলনার ফুলতলায়। বি.বি.এ. পড়ে। সাহবাগ আন্দোলনের বিষয়ে তার উৎকণ্ঠা প্রকাশ করল। তারই মতো অনেকেই আজ দেশে ফিরছেন, তারাও সাহবাগ আন্দোলনের বিষয়ে তাদের আশা-ভরসার কথা বললেন।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা সসম্মানে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও প্রিয় ইন্ডিয়ানদের তাদের দেশে নিয়ে গেল। সেই ফাঁকে কিছু সাধারণ বাঙালিও এপার থেকে ওপারের অনুষ্ঠান দেখতে চলে গেল। ওরা অতিথিদের বরণ করে নিল, আর শুনল তাদের বড় বড় বাণী। কান ফাঁটানো শব্দে কে বলবে বাংলাভাষা পৃথিবীর অন্যতম শ্রুতিমধুর ভাষা।
বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের স্পর্শে সেখানে এখন জনজোয়ার। ফুল হাতে কচিকাচাদের দ্দেখে চোখ জুড়ায়। ফুট দশেক উঁচু মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে যতদূর দেখি রাস্তা ধরে মানুষের মেলা। গলিপথ ধরে মানুষের ঢল নেমেছে রাজপথে। গতবার এত মানুষের ভিড় দেখিনি, আমার বিস্ময় দেখে ওখানকার একজন বললেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ জাগেছে – এবার দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। অপরাধীদের শাস্তিচাই – শহিদদের ভুলি নাই…..।’ শালটা যশোরের অধ্যাপক পিনাকী গুপ্ত উত্তেজিতভাবে জানালেন তাদের নতুন প্রজন্ম আজ জেগেছে ….। বঁনগার গোপাল বাংলাদেশে বর্ডার ছাড়িয়ে অনেকটা ভেতরে বাজার রেলস্টেশনে গিয়ে দেখেছে সেখানেও সাহবাগ আন্দোলনের পোস্টার পড়েছে।
মঞ্চে ওঠার আগেই, মঞ্চের পিছনে দাঁড়িয়ে সকলের নজর কাড়ছে নাচের সাজে সজ্জিত উজ্জ্বল মেয়েরা। পাশেই ওদের দিদিমণি শেফালি বিশ্বাস, নিরাভরণ-নিরঅহঙ্কার যৌবনের প্রান্ত সীমায় দাঁড়িয়ে। আজও একাত্তরের সেইসব দিনের গল্প ব্লেন ছাত্র-ছাত্রীদের। মুক্তিযুদ্ধে হারিয়েছেন কাকাকে, ছিলেন তিনি কৃষক। যশোহরের তারেক জানালেন আজ মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে তারা নাটক করবেন। জোয়ান ছেলেরা খাকি পোষাক পড়ে প্রস্তুত আছে।
দীপঙ্কর বিশ্বাস যশোহরের এম.এম. কলেজে পড়ে, সেও সাহবাগ আন্দোলনের প্রতি সহমত প্রকাশ করল। তার ঠাকুরদা সৌরেশ বিশ্বাসকে একাত্তরে হারিয়েছিল – তাকে না দেখার স্মৃতি আজও তার বুকে জ্বালা ধরায়। আনোয়ারুল ইসলাম তার চাচা আলি তারেকও মুক্তি যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সেকি ভুলে যেতে পারি। নাই বা দেখি সেসব দিন।
সুবেশ মহম্মদ হাফিজুর রহমান – কোলে একটি ফুটফুটে কন্যা, পাশে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে আরেক কন্যা, যেন দুটি ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সবার মাঝে। এগিয়ে গেলাম, আলাপ করলাম – থাকেন তিনি বেনাপোল, করেন ব্যবসা। সাহবাগ আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন – ‘ সরকার চাইলে সবকিছু করতে পারে। বিচার, সুস্থভাবে হতে হবে, বুঝলেন। মা-বোন কেন রাস্তায় নামবে বলুন। কোলের কন্যাটি আমার দিকে চেয়ে হাসছে। হাত ছাড়িয়ে ছোট্ট মেয়েটি স্কুলের বাচ্চাদের দলে যেন মিশে যেতে চাইছে। পাশ থেকে একটি খুকুমণি আমায় জীজ্ঞাসা করে, ‘আপনে লেখেন কেন? আপনে এত কথা সগ্গলকে জিগান কেন?’ এপারে এসে থেকে কত প্রশ্নইতো করলাম, এবার আমার উত্তর দেবার পালা – মাথা নত করে ওর দিকে ঝুঁকতেই ফুরুৎ করে পালিয়ে গেল ছোট্ট পাখি, নামটি তার ফতেমা, বুরুজ বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে।
ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝেই ছিলেন শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। একাত্তরে তিনি তার চাচাকে হারিয়েছেন, নাম তাঁর মোস্তাফা। শিক্ষক মশাই আলাপ করিয়ে দিলেন তার সহকর্মীর সাথে। একটা ঝুরি ভাজার প্যাকেট ছাত্রীদের সাথে ভাগ করে খাচ্ছেন, তার থেকে আমাকেও খেতে দিলেন। যেন কতদিনের চেনা সে আপনারজন।
ভীড়ের মাঝে একজোড়া কালো হরিণ চোখ – কৌতূহলী, ইয়াসমিন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী, বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সে বড়দের মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছে, তার চাচা একাত্তরে হারিয়ে গিয়েছে, আজও খোঁজ পায়নি। ও বলেকিনা – ‘মুক্তিযুদ্ধে মেয়েরা অনেক কাজ করেলে, অনেক অত্যাচার সহ্য করেলে’ । সাহবাগের আন্দোলনের কথাও ও শুনেছে। আবার বলেকিনা – ‘ঢাকাতে যাতি ইচ্ছা করে – কীভাবে যাব?’ বাড়ির কথা জানতে চাইলে বলে – ‘বাবা আমাদের ছাড়ি গেছে। মা দাদা আছে বাড়িতে।’
এই নানা রঙের ফুলের মেলার মাঝে ফুলের স্টিক হাতে ভোরের ফুল হয়ে ফুটে আছে একটি সোনা মেয়ে – কি মিস্টি – কি মিস্টি কি মিস্টি এ সকাল – সোনা ঝড়ছে ঝড়ে পড়ছে — সোনার বাংলায়। এইতো প্রথমবার সে এখানে শহীদ স্মরণে এসেছে। তার মিস্টি কথায় ছেলেবেলার গল্প — পানি খেতে গিয়ে কপাল গিয়েছিল কেঁটে, আরও কত কথা, কত ব্যথা ভালবাসা। আমার ঠিকানা লিখে দিতে বলল। হাতের ফুলের স্টিকটা আমায় দিয়ে বলল, সে – ‘আপনারে ভুলুম না কোনদিন …’। আমি নোটবই এগিয়ে দিতে লিখে দিল ‘শারমিন’। ফেরার পথেই নেতিয়ে পড়ল ফুলের দল। এরপর জলের ছোঁয়া পেতেই দেখি আহাঃ দিনে দিনে একের পর এক ফুটছে যেসব কুড়ি।
ফারিয়া – মোক্তা – পুতুল তিন বান্ধবী ফুল হাতে ঘুরছে, বোরখার ভেতরে তাদের প্রজাপতিমন আজ উড়ে বেড়াচ্ছে। তারা বলল আজকের দিনটায় তারা বাইরে বেড়তে পারে। আজ তাদের স্বাধীনতার দিন। অনুষ্ঠান দেখবে, ঘুরবে বন্ধুদের সাথে। ওদেরকে ‘মানুষের হৃদয়ই হতে পারে নিরাপদ স্বদেশ’, কথাটা বলতেই, আমাকে লিখে দিতে বলল। ওরা গান ভালবাসে, মৃদুকণ্ঠে শোনাল – ‘একটু ছোঁয়া লাগে …’।পাশেই কাঁচা বয়সের মা রাবেয়া হোসেন, বোরখায় ঢাকা, কোলে বছর তিনের শিশু পিউ। আত্মীয় সারিফুজ্জামান বলে ‘আজ সবার বাইরে বের হবার দিন, ঘরের কাজতো রোজই করতে হবে’।
বোরখা পড়া মেয়েদের গালে একুশের শহীদ স্মারক স্তম্ভ আঁকা। হাতে ফুল, চোখে রঙিন স্বপ্ন। নব প্রজন্মকে দেখছি অবাক বিস্ময়ে – এখানে এখন বসন্ত। এই বাংলাদেশের মাটিতে ‘আপনাকে চেনা চেনা লাগছে, কোথায় যেন দেখেছি, বলে চমকে দিল অপরিচিতা। বিগত শতকের গোড়ায় কোন এক ছোট্ট মেয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম সারাটিতে আমায় দেখেছিল, কোন এক সামাজিক কাজের মাঝে, আজও সে মনে রেখেছে। সে আজ লোকসংস্কৃতির গবেষণা করে, জেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ঘুরে মরে। নাম তার বাসন্তী। আমার কানে বাজে সে কথা – আপনারে ভুলুম না ….’। বাসন্তী বাংলাদেশের এক পত্রিকার প্রতিনিধিদের সাথে সাহবাগ আন্দোলন প্রসঙ্গে ফাঁসির বিরোধিতায় নিজ মত প্রকাশ করছে।
যুবক মেহেদি হাসান, চাকরি করেন একটি কোম্পানিতে। স্পষ্ট ভাষায় দৃঢ়তার সঙ্গে জানালেন – ‘জাতি কলঙ্কমুক্ত করার জন্য এই বিচার চাই। এটা দেশের সমস্ত মানুষের ইচ্ছা। এ কোন দল বা সরকারের ইচ্ছা নয়; এ শত্রুতামূলক ফাঁসানোও নয়। তার হাতে সাহবাগ আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে লেখা লিফলেট, এবং সংবাদ মন্থন তুলে দিলাম।
পাশেই ফজল হালিম লিটল, আমার কাছে একটা পত্রিকা কিনতে চাইলেন। আমি দিলামও। উনি থাকেন খুলনায়, ওকালতি করেন। বি.এন.পির রাজনীতির সাথে যুক্ত। তার মাসতোতো ভাই একাত্তরে মারা যান, তিনি পুলিশের সার্কেন্ট ছিলেন। লিটন বললেন – যে কোন কিছুর ব্যাপারে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দুরত্ব বাড়ছে। যেমন ধরুন – তিস্তা প্রসঙ্গ, টিপাই মুখ, ফারাক্কার জল, আবার বর্ডার কিলিং বন্ধ হওয়া উচিত কিনা বলুন?
সুলতান আলি মোল্লা এখানে ডাব বিক্রি করছে, এই কাজে তার দিনে দু’ তিনশো টাকা আয় হয়। এর সাথে বর্ডারের থেকে যাত্রীদের মালপত্রও নিয়ে যান, ভালভাবেই চলে যায় তার সংসার। এখন দেশে কি যেন একটা আন্দোলন শুরু হয়েছে, তিনি শুনেছেন – তিনি চান দেশের সবাই যাতে মিলে মিশে শান্তিতে থাকতে পারে। আর বললেন ছেলেবেলার মুজিবের আমলের কথা তেমন মনে নেই কিছুই।
হায়রে দুখিনী বর্ণমালা – এদিকে ওদিকে বাণী খুঁজে ফিরি, চোখ থেকে যায় পোস্টারে, ‘তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি’। হঠাৎই একটা কিশোর ছেলের গেঞ্জিতে চোখ আটকে গেল। ছুটে গিয়ে তাকে দাড় করাই – গর্বভরে সিনাটান করে দাঁড়ায় রসুল। বুকে লেখা
‘ হতে পারে গরীব দেশ
এ আমার বাংলাদেশ
জন্মভূমি,’
বড় সুন্দর এই পৃথিবী
সাধ যায় এই
অপরূপ শোভার মধ্যে
বেঁচে থাকি কিছুকাল
ধন্য আমি এই দেশ
আমার জন্মভূমি’
বছর পনের ষোলর রসুল আজ প্রায় বছর তিনেক হল পরিবহন সংস্থায় কাজ করে, মাস গেলে তিন-চার হাজার টাকা বেতন পায়। আজ তার ছুটি। আমি বলি – তুমি এই স্বাধীন দেশে জন্মে কি পেলে? ছেলে বেলায় পড়া ছেড়ে কাজে ঢুকে পড়লে। তোমার খারাপ লাগে না, রাগ হয় না, সে আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে আবার হাসিমুখে সবার সাথে মিশে গেল।
বিটেকের ছাত্র শামিল। শহিদ স্মারকের সামনে ছবি তুলছে। এগিয়ে আলাপ জমালাম। বলল কবিতা লিখি, গলার স্বরে দৃড়্গ প্রত্যয়। আপনাকে আমার কবিতা শোনাবো। আমার নাম নম্বর লিখে নেল। সহবাগের আন্দোলনে তার ফেসবুকের ফ্রেন্ডরা অনেকেই অংশ গ্রহণ করেছে। তাদের কোন নেতা নেই, কোন দল নেই, তারা স্বাধীন। তারা আন্তর্জাতিক মানের বিচার চায়। শামিলের নানা লেখক সেকান্দার ব্যাপারী। মুক্তিযুদ্ধে মারা গেছেন। তাঁর লেখা ‘দুঃশাসকের বিচার’ বইটা সে বড় হয়ে পড়েছে। ‘সেই সব কষ্টের বর্ণনা, – সেকি ভুলিতে পারি!’
Leave a Reply