রবিবার ২৭ মে তিব্বতের রাজধানী লাসায় দুজন যুবক গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে ঘটনার সামান্যতম চিহ্নটুকু লোপাট করে দেয়। কিন্তু তার আগেই একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
গতবছর ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে অন্তত ৩৭ জন তিব্বতী আত্মাহুতি দিয়েছে। বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে পূর্ব তিব্বতে। এই অংশটাকে চীনা সরকার চীনের অংশ বলে মনে করে। রবিবারের আত্মাহুতি ঘটল মধ্য তিব্বতে এবং খোদ রাজধানীতেই। দুই যুবক লাসা শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে জোরখাঙ মন্দিরের সামনের চাতালটাকে তাদের প্রতিবাদের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছিল। সপ্তম শতকে তৈরি এই মন্দিরটি লাসার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ ধর্মস্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এই অঞ্চলকে ঘিরেই তীর্থযাত্রীদের সমাগম ঘটে এবং এই মন্দিরের কাছেই রয়েছে বহু তিব্বতীদের বাসস্থান। মন্দিরের প্রবেশপথের কাছেই রয়েছে চীনা পুলিশ স্টেশন। মন্দির ঘিরে পথের ওপর রয়েছে পুলিশের বেশ কিছু তাঁবু। সামান্য বিক্ষোভের আঁচ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তা লোপাট করে দেয়। এসব জেনেও ওই দুই যুবক এই জায়গাটাকেই বেছে নিয়েছিল চীনা সরকারের দমনমূলক শাসনের বিরুদ্ধে তাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর ক্ষেত্র হিসেবে।
সূত্র : ই ভি ডি ক্লেয়ার-এর ওয়েবসাইট (http://evdecleyre.com/2012/05 /29/tibetan-self-immolations-reach-lhasa)
জিতেন নন্দী, কলকাতা, ৩০ মে
Leave a Reply