সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৫ মার্চ#
৭ মার্চ এবং ৯ মার্চ গুজরাটের ভাদোদরায় দুটি গোশালায় খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে যথাক্রমে ৪১ এবং ৫৮টি গরু মারা গিয়েছে। এই দুটি গোশালা রক্ষণাবেক্ষণ করে একই গোষ্ঠী — জৈন জীবদয়া কমিটি। খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের এই গোশালা দুটিতে (যথাক্রমে দরজিপুরা ও সায়াজিপুরা পাঁজরাপোল) মৃত গরুগুলির লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক অফিসার প্রাথমিক তদন্তের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কাগজকে জানিয়েছেন, ‘এই গোশালাগুলির অবস্থা খুব খারাপ। গোরুগুলিকে খাওয়ানোর কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। অনেকসময় বহুদিনের পুরোনো বিচালি খেতে দেওয়া হয়। খাওয়ানোর সময় পরীক্ষা করে নেওয়া হয় না, তাতে বিপদসীমার চেয়ে বেশি পরিমাণ নাইট্রেট জমা হয়ে গেছে কি না।’ তবে মারা যাওয়ার সময় গরুগুলির শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়া দেখে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অনুমান, পুরনো বিচালি জনিত নাইট্রেট বিষক্রিয়ার কারণেই এগুলো মারা গেছে।
জৈন জীবদয়া কমিটির সেক্রেটারি রাজীব শাহ অবশ্য এই ঘটনার পেছনে অন্তর্ঘাতের ছায়া দেখছেন। তবে নাইট্রেট বিষক্রিয়ার সম্ভবনার কথা তিনি উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেছেন, সাধারণত, না খাওয়ানো পর্যন্ত বিচালি এনে গাড়িতেই রেখে দেওয়া হয়। শাহ আরও বলেছেন, ‘এই গোশালার গরুগুলো বাচ্চা দিতে অক্ষম এবং খুব দুর্বল। প্রায় সাতশো গরু আছে এই দুটি গোশালায়। বেশিরভাগ গ্রামবাসীই গরু বুড়ো হয়ে গেলে এখানে ফেলে রেখে চলে যায়।’
Leave a Reply