২ জুন, অনু মণ্ডল, মেটিয়াবুরুজ#
গার্ডেনরীচ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল গুটিকতক চিকিৎসক, নার্স আর সাফাইকর্মী নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। বর্তমান সরকার এই হাসপাতালটিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু সরকারের সেই কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল এলাকার মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। বিগত বাম সরকার এই হাসপাতালের একাংশ দখল করে নাদিয়াল থানা বানিয়েছিল। আর বর্তমান সরকার হাসপাতালের আরও বড়ো অংশ দখল করে কলকাতার ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। গার্ডেনরীচ–মেটিয়াবুরুজের সিংহভাগ মানুষ সংখ্যালঘু এবং দর্জিশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। দর্জিশিল্পের অবস্থাও ভীষণ খারাপ। তাই নব্বই শতাংশ মানুষ দিন–আনা–দিন–খাওয়া হয়ে পড়েছে। তাদের পক্ষে পয়সা খরচ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা কেনা দুঃসাধ্য। সরকারি হাসপাতাল কার্যত না থাকায় এবং গরিব মানুষের অসহায়তার সুযোগে অলিতে–গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে হাতুড়ে ডাক্তারদের চেম্বার। তাদের সাইনবোর্ডে শোভা পাচ্ছে MBBS-MD–র বড়ো বড়ো ডাক্তারি ডিগ্রি। এমনকী এই হাতুড়েরাই নার্সিং হোম পর্যন্ত চালাচ্ছে। এইসব হাতুড়েদের চেম্বারেই পাওয়া যাচ্ছে ভেজাল ও নিষিদ্ধ ‘জীবনদায়ী’ ওষুধ। মানুষ অজান্তে এগুলো মুড়িমুড়কির মতো খাচ্ছে এবং বিপদ ডেকে আনছে। এমতাবস্থায় এলাকার মানুষ চাইছে, সরকার গার্ডেনরীচ হাসপাতালটিকে দখলদার মুক্ত করুক এবং পূর্ণাঙ্গ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পরিকাঠামোর বন্দোবস্ত করুক। এটা করলে গার্ডেনরীচ–মেটিয়াবুরুজের মানুষ, বিশেষত দর্জি সম্প্রদায়ের গরিব জনগোষ্ঠী সমস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিকভাবে পেতে পারে।
Leave a Reply