আমরা সকলেই জানতে পারছি যে ৯ এপ্রিল শিল্পপতিদের একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের এক গোষ্ঠী নরেন্দ্র মোদিকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এটা অছিলা মাত্র। এইসব শিল্পপতি এবং মিডিয়া গোষ্ঠীগুলি নরেন্দ্র মোদিকে দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে। অথচ আমরা কেউই নরেন্দ্র মোদির আসল পরিচয় ভুলে যাইনি। ২০০২ সালের নৃশংস গুজরাত গণহত্যার অন্যতম নায়ক নরেন্দ্র মোদি। দশবছর আগের সেই দিনগুলোর কথা আমরা কীভাবে ভুলে যাব? মনে নেই, সেই দুর্যোগময় শোকসন্তপ্ত সময়ে আমরা সকলে অর্থসংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম গুজরাতের আক্রান্ত মানুষের কাছে। সেদিন মেটিয়াব্রুজ-মহেশতলার দর্জিসমাজ নতুন জামাকাপড় একত্রিত করে পাঠিয়েছিল গুজরাতের দুর্গত শিশুদের জন্য।
না, সেই গণহত্যার ঘটনাবলীকে এত সহজে আমরা ভুলে যেতে পারি না। আজও সেই হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের নায়কদের চরমতম অন্যায়ের বিচার হয়নি। আমরা আজও ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছি। তাই নরেন্দ্র মোদির বিচার আমরা চাই। আমরা চাই অন্তত কলকাতায় যেন সেই হত্যাকাণ্ডের নায়ক অভিনন্দিত না হন।
তাকিয়ে দেখুন বাংলাদেশের দিকে। ১৯৭১ সালের গণহত্যার নায়কদের বিচারের দাবিতে আজ সোচ্চার সেদেশের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। সেখানেও নির্বাচনী ফায়দা লুঠতে গণহত্যার নায়কদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিল কখনো আওয়ামি লিগ, কখনো বিএনপি ইত্যাদি দলেরা। যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রী পর্যন্ত করা হয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু সেই নির্লজ্জ আপোসের জবাব দিয়েছে চার দশক পরে ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ারের গণজমায়েত।
শাহবাগের নব প্রজন্মের সচেতনতা আমাদের শিক্ষিত করুক! আসুন, মানবতার আবেদন উচ্চারণ করি : নরেন্দ্র মোদির বিচার চাই। তাঁকে শতসহস্র কণ্ঠে ধিক্কার জানাই। তাঁকে সামাজিকভাবে বয়কট করি।
আবেদনকারী : কৃষ্ণা সেন, দীপেন সেনগুপ্ত, কামরুল হান্নান্, সামসুদ্দিন পুরকাইত, অজিতবরণ সিংহ রায়, খায়রুন নেসা, অমিতা নন্দী, মহব্বত হোসেন, ফারুক উল ইসলাম, সাদিক হোসেন, শরদিন্দু সাহা, কৃত্তিকা সাহা, কানাইলাল বিশ্বাস, ফিরোজ আহমেদ, সত্যব্রত চ্যাটার্জি, শেখ শাহনাওয়াজ, মহঃ দাউদ, কাজি ফয়জল নাসের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, শাকিল মহিনউদ্দিন, মহঃ আমিন, মোঃ আসরাফ আলি গাজী, মহঃ গোলাম রসুল, সুনীত পাল, অনিল তপাদার ও জিতেন নন্দী।
Leave a Reply