সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ছবিতে আফজল গুরুর ফাঁসির পরে ফোন, টিভি, সংবাদমাধ্যম, ইন্টারনেট বিহীন কার্ফু অধ্যুষিত শুনশান কাশ্মীর#
আফজল গুরুর আইনজীবী নান্দিতা হাকসার এবং এন ডি পানচোলি সরে দাঁড়ালেন ১৩ ফেব্রুয়ারি। একটি বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের খারাপ লাগছে, ভারতীয় জনগণ এবং কাশ্মীরি জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধনের জন্য আমাদের সমস্ত প্রয়াসকে নিরন্তর খাটো করা হচ্ছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দেশদ্রোহী বলছে, আর কাশ্মীরে কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী আমাদের সংহতি এবং বন্ধুত্বের হস্তক্ষেপকে সন্দেহের চোখে দেখছে।’ যখন আফজল মৃত্যুদণ্ডের সাজা পায় এবং তাঁরা আফজলের হয়ে ক্ষমাভিক্ষার বিবৃতি তৈরি করেন, সেই সময় তাঁদের এসব বলা হয়েছিল।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, যখন ২০০৬ সালে আফজলের মৃত্যুদণ্ড হয়, তখন তাঁরা অনেক কষ্ট করে আফজলের পরিবারকে দিল্লিতে কিছুদিন থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এবার আফজলের পরিবারকে তাঁর জিনিসপত্র ফেরত নিতে এসে দিল্লিতে থাকার জন্য বন্দোবস্ত করতে গিয়ে তার থেকেও বেশি কষ্টকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
আফজলের উকিলরা এও জানিয়েছেন, আফজল সুবিচার পায়নি। তিনি কুসংস্কার ও অপরাধী বিচারের পদ্ধতির কাঠামোগত অবিচারের শিকার হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান — আফজল গুরুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া দরকার কারণ তা দেশের মানুষের সমষ্টিগত বিবেককে তুষ্ট করবে — এর সঙ্গে তাঁরা মোটেই একমত নন।
তাঁরা আরও বলেন, পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ না দিয়ে আফজলের গোপন ফাঁসি কর্তৃপক্ষের অমানবিকতার চরম নিদর্শন। পরিবারের সম্পূর্ণ অধিকার আছে আফজলের দেহ পাওয়ার।
উল্লেখ্য, চরম গোপনীয়তার সঙ্গে ৯ ফেব্রুয়ারি সকালবেলা মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত কাশ্মীরি মুহাম্মদ আফজল গুরুর ফাঁসি হয় দিল্লির তিহার জেলে। আফজল গুরু-র পরিবার তাঁর মৃতদেহ তাদের হাতে দেওয়ার দাবি জানালেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।
Leave a Reply