কালাচাঁদ ঘোষ, কামারপুকুর (বদনগঞ্জ), হুগলি, ৯ এপ্রিল#
আমাদের ছোটোবেলায় ১ কাঠায় চাষ করলে ২ প্যাকেট আলু পাওয়া যেত। সেই লাল আলুটা খেতে সুস্বাদু ছিল। অন্তত ৪৫ দিন ঘরে ফেলে রাখা যেত। এখন অনেক উপকরণ প্রয়োগ করে ১ কাঠায় ৭ প্যাকেট আলু হচ্ছে। সেই আলু ঘরে রেখে দিলে ১৫ দিনে খারাপ হতে শুরু করবে। কোল্ডস্টোরে জায়গা নেই। তাহলে চাষির কী উপায়? ভালো ফলন পেয়েও তাকে মরতে হচ্ছে।
বর্ধমানের নবগ্রামের বাহাদুর চন্দ্র চন্দ্র জানালেন, ‘আমি নিজে আলু চাষ করি না। এবছর আলু চাষ এখানে গত বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। ফলন কিছুটা মার খেয়েছে ধসার জন্য, অতিরিক্ত ফলন হয়নি। আসলে এবছর বিহার, ঝাশ্তখণ্ড, উশ্তিষ্যায় আলু চাষ হয়েছে সরকারি ভরতুকি দিয়ে। ওখানে চাষের খরচ গায়ে লাগেনি। এখানকার ফশ্তেরা ঝাশ্তখণ্ড থেকে আলু কিনে আগেভাগে কোল্ডস্টোরে ভর্তি করেছে। ১৩০ টাকা বস্তা (৫০ কেজির বস্তা)। স্থানীয় চাষি কোল্ডস্টোরে জায়গা পাচ্ছে না। সে মরীয়া হয়ে ৮০ টাকা বস্তা বেচতে বাধ্য হয়েছে।’
Leave a Reply