সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ৭ মে#
” |
সরকার আর আদালতের মধ্যে কোনও তফাত নেই। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য পরমাণু বিদ্যুৎকে প্রোমোট করতে দুজনেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ |
পি সুন্দরী, ইদিনথাকারাই, ৬ মে |
সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ কুদানকুলাম পরমাণু কেন্দ্র কমিশনিং-এ স্থগিতাদেশ চেয়ে করা একটি আবেদন ৬ মে নাকচ করে দিয়েছে। রায়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু এজেন্সির একটি নথি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ দরকার। ২০৫০ সালের মধ্যে আজকের তুলনায় দ্বিগুন তিনগুন বিদ্যুৎ দরকার। তারজন্য পরমাণু বিদ্যুৎ প্রয়োজন আর তার জন্য কুদানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রের কমিশনিং প্রয়োজন। এই রায়ের সম্পূর্ণ নথি এখানে
বস্তুত রায়ে যেসব কথা বলা হয়েছে, তা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতবর্ষের পরমাণু লবি এবং সরকারের তরফে বলে আসা হচ্ছে। সেগুলিরই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে মাত্র। এই রায়ে কুদানকুলাম পরমাণু প্রকল্প সম্পর্কে প্রকল্প এলাকার বাসিন্দাদের উদ্বেগ এবং অসুবিধা ও তেজস্ক্রীয় দূষণকে কমিউনিটির বৃহত্তর স্বার্থের তুলনায় ছোটোখাটো ব্যাপার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কুদানকুলামের পরমাণু বিরোধী আন্দোলনের মুখপত্র এসপি উদয়কুমার এ প্রসঙ্গে মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘আমরা পরমাণু শক্তি বিরোধী জন আন্দোলন কোর্টে এই আবেদন করিনি, করেছে ‘পুভুলাগিন নানবারগাল বলে একটি সংগঠন। আমরা কোর্টের রায় মেনে চলব না, জনতার রায় মেনে চলব।’ এইদিনই ইদিনথাকারাই এ পরমাণু বিরোধী মঞ্চে লড়াই জারি রাখার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে গ্রামবাসী।
ইদিনথাকারাই-এর বাসিন্দা, আন্দোলনের নেত্রী সুন্দরী জানিয়েছেন, ‘আমরা গত ৬৩০ দিন ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছি, সরকার বা কোর্টকে আমাদের পাশে পাব এই আশার ওপর দাঁড়িয়ে নেই। আমরা পরমাণু প্রকল্পের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বন্ধ করে দিতে পারি না। কোর্ট আমাদের মানুষজনের একটা প্রশ্নেরও উত্তর দেয়নি। পরমাণু দায়বদ্ধতা বিষয়ে আমাদের সওয়ালের, বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা মহড়া সম্পর্কে আমাদের প্রশ্নের জবাব দেয়নি। আমাদের কাছে সরকার এবং আদালত একই — যারা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য পরমাণু বিদ্যুৎ প্রোমোট করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা বিশ্বাস করি, পরমাণু শক্তি আমাদের মুছে দেবে, আমাদের জীবিকা মুছে দেবে। এবং আমরা এই রাজ্যের সমস্ত মানুষের জন্য লড়ছি। ‘
Leave a Reply