মে মাসের বেতন নিতে গিয়ে শ্রমিকেরা জানতে পারল, তাদের রোজ বেড়েছে মাত্র ১৫ টাকা। ১০০ টাকা রোজ থেকে গত বছর এপ্রিল মাসে বেড়ে হয়েছিল ১৩০ টাকা, এখন হল ১৪৫ টাকা। এই দুর্মূল্যের বাজারে কী করে চলবে এই সামান্য টাকায়? ফলতা এসইজেড (স্পেশালন ইকনমিক জোন)-এর সেক্টর-একের প্রিসিশন পলিপ্লাস্টের শ্রমিকেরা ১০ তারিখ পেমেন্ট নিতে রাজি হল না। কন্ট্রাক্টরদের হুমকি উপেক্ষা করে ১১ তারিখ শুক্রবার তারা কাজ বন্ধ করে দিল। পরের দিন শনিবার একই দাবিতে কাজ বন্ধ করল প্লাস্টোনেল পলিমার, সুখি ইন্ডিয়া, বাভারিয়া প্লাস্টিক, অমরনাথ ওভারসিজ, জয় ভারত, আল্পস ওভারসিজ, ট্রান্সওয়ার্ল্ড এবং নারা একজিম নামক আরও আটটি প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিকেরা। ওইদিন এই ন-টি কারখানার মোট সাত হাজার ধর্মঘটী শ্রমিক জোন-এর (এসইজেড-কে এখানে শ্রমিকেরা বলে জোন) ডেভেলপমেন্ট কমিশনারের অফিসে গিয়ে অ্যাসিস্টান্ট লেবার কমিশনারের কাছে তাদের দাবি পেশ করে। তাদের দাবি সরকারি ন্যূনতম বেতন ১৯৫ টাকা দিতে হবে। আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধিদের মিটিঙে ডাকা হয়েছে।
এই প্লাস্টিক কারখানাগুলিতে যত আবর্জনার প্লাস্টিক এনে ধোয়া ও বাছাই করা হয়। তারপর মেশিনে ওই প্লাস্টিক গলিয়ে দানা তৈরি হয়। এই কারখানাগুলির শ্রমিকদের ৭৫ শতাংশ মহিলা। এরা আসে মূলত ফলতা, ডায়মন্ডহারবার, কুলপি, সাতগাছিয়া থানার গ্রামগুলি থেকে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো, ২টো থেকে রাত ১০টা — দুই শিফটে কাজ হয়।
স্থানীয় সিটু কর্মী তাপস মণ্ডল জানান, ‘কোনো ঝান্ডা-দল-নেতা ছাড়াই এমন ধর্মঘট ২৬ বছরে আর কখনো জোনে হয়নি।’
জিতেন নন্দী, কলকাতা, ১৫ মে
Leave a Reply