কোচবিহার শহরতলিতে চোরের উৎপাত বেশ বেড়ে গেছে। মাঝে মাঝে দুঃসাহসী ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে। কায়দাটা অনেকটা সিরিয়াল কিলিং-এর মতো সিরিয়াল চুরি। ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে হচ্ছে। বিশেষত খাগড়া বাড়ি সংলগ্ন এলাকার মানুষদের। একত্রিশ নম্বর জাতীর সড়ক খাগড়া বাড়ি থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে পড়ে রাজার হাট, মধুপুর ধাম মোড়, মধুপর প্রভৃতি এলাকা। দিনের বেলায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে অনেক অজ্ঞাত পরিচয় মানুষকে। আধা উন্মাদ, আধা পাগল মানুষ। গত ১০ জুন এদের তিনজন ব্যক্তিকে মহিষবাথান, রাজারহাট অঞ্চলের মানুষেরা মাঝরাতে চুরির সময়ে হাতে নাতে ধরে ফেলে। একজন মানুষের কাছে পাঞ্জাব-পাকিস্তান বর্ডার এলাকার পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে, আরেকজন বিহারি মুসলিম এবং অপরজন ধূবড়ির লোক। বারবার পুলিশকে বলেও নিরাপত্তার কার্যকর বাস্তব পদক্ষেপের দেখা মেলেনি।
এদিকে সিরিয়াল চুরির সঠিক তদন্ত না হওয়ায় ক্ষিপ্ত জনতা ধৃত তিনজনের ওপরেই সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। এত মারে বাঙালি হলে তো মরেই যেত। এখানেই শুরু হচ্ছে সন্দেহ। জঙ্গি নয় তো? রাতে এসে খুন করে দেবে না তো? আশঙ্কা পরপর ছোটোখাটো চুরির পর শুরু হয় বন্দুক, ধারালো অস্ত্র নিয়ে বড়ো বড়ো ডাকাতির ঘটনা। এই অভিজ্ঞতা থেকে মহিষবাথান রাজারহাট অঞ্চলের মানুষেরা নিজেদের উদ্যোগে শুরু করেছে রাত্রিকালীন গ্রাম পাহারার কাজ। আরজি পার্টির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু আইচ মহাশয় জানালেন পুলিশ সহযোগিতার মৌখিক আশ্বাস দিলেও টর্চ বা কোনো বস্তু সামগ্রী দিয়ে বা আরজি পার্টি কমিটিতে কোনো প্রতিনিধি রেখে গ্রাম রক্ষায় সাহায্য করছে না।
রামজীবন ভৌমিক, কোচবিহার, ১৩ জুন
Leave a Reply