অমিতা নন্দী, কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি#
২৮ ডিসেম্বর রাতে চেন্নাইয়ের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দেখলাম সরাসরি তিরুনেলভেলি যাওয়ার বাস আর নেই। মাদুরাই পর্যন্ত একটা বাসে যেতে হবে। সারা রাত বাসে সফর করে ২৯ তারিখ সকালে মাদুরাই, আবার একটা বাসে তিরুনেলভেলি পৌঁছালাম। দুপুরে ওখানে লেনা নামে একজন যুবক আমাদের একটা বাড়িতে নিয়ে গেলেন একটু ফ্রেশ হওয়ার জন্য। দীর্ঘ পথ পরিক্রমার ক্লান্তি দূর হয়ে গেল স্নান করার পর। কিছু পরে আবার বেরিয়ে পড়লাম। পথে যখন একটা হোটেলে খেতে ঢুকলাম, আরও কয়েকজন সাথি ব্যাঙ্গালোর ও অন্যত্র থেকে এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন। ওখান থেকে প্রথমে একটা বাসে ভেল্লিউর, তারপর একটা ভাড়া করা টাটা সুমোয় রওনা দিলাম ইডিনথাকারাইয়ের দিকে।
গ্রামে ঢোকার বেশ কিছুটা আগে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম রাস্তার দুপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে শত শত উইন্ড-মিল — তিনটে করে ব্লেড আর প্রত্যেকটাই বিশাল আকারের। কয়েকটা থেমে আছে আর বেশিরভাগটাই ঘুরে চলেছে। পথপ্রদর্শক হরি এবং অন্যদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, এখানে প্রচুর বায়ু-বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। পরে উদয়কুমার বলেছিলেন, বায়ু-বিদ্যুৎ উৎপাদনে তামিলনাড়ু সারা দেশের মধ্যে প্রথম এবং এখানে শুধু তিরুনেলভেলি জেলাতেই ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে এভাবে। আমার মনটা খচখচ করে উঠল ওই দৈত্যাকার উইন্ড-মিলগুলো দেখে, এত সূর্যের আলো, এত বাতাস, এত প্রাকৃতিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও পরমাণু বিদ্যুতের মতো মারাত্মক বিপজ্জনক প্রকল্পের জন্য এত জোরজবরদস্তি কেন?
ইডিনথাকারাই গ্রামে প্রথম রাত
ইডিনথাকারাই গ্রাম, কুডানকুলাম পরমাণু প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি। গ্রামে এগারো হাজারের বেশি মানুষ রয়েছে, প্রায় দু-হাজার মানুষ কাজের সূত্রে বাইরে আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জাহাজে কাজ করে, কেউ বা চাকরি-সূত্রে বিদেশে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এই গ্রামের সরাসরি দূরত্ব দুই কিলোমিটার, পাকা সড়ক ধরে গেলে আট কিলোমিটার, আর সমুদ্রের পার ধরে গেলে অনেক কম দূরত্ব।
আমরা যেখানে গাড়ি থেকে নামলাম সন্ধ্যাবেলা, তার সামনেই বিশাল এক গির্জা। তার চূড়াগুলো খুব উঁচু। প্রায় দেড়শো বছরের পুরোনো। এই গির্জাকে মাঝখানে রেখে চারপাশে গ্রামের ঘরবাড়ি, তারপরেই সমুদ্র। গির্জার দিকে মুখ করে দাঁড়ালে পথের বাঁদিকে একটা বিরাট স্কুল এবং তারপরেই একটা বড়ো বিল্ডিং, যেখানে ‘পিপলস মুভমেন্ট এগেনস্ট নিউক্লিয়ার এনার্জি’ নামক সংগঠনের মূল অফিস। তবে ওই বাড়িটাও গির্জারই অংশ, তাই ওখানে ধূমপান নিষেধ। মধু গাড়ি থেকে নেমেই সিগারেট ধরাতে গেলে সবাই ওকে বারণ করল। এত লম্বা সফরের পর আমরা বেশ অধীর হয়ে উঠেছি মালপত্র নিয়ে কোথায় যাব, কতক্ষণে একটু হাত-পা ছড়াব। শুনলাম, আগে আন্দোলনের নেতা উদয়কুমারের সঙ্গে আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ হবে, তারপর ঠিক হবে আমরা কে কোথায় যাব। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে বুঝে সবাই এদিক-ওদিক চায়ের খোঁজে ঘুরতে বেরোল। আমি একটু উঁকি দিলাম গির্জার সামনে। দেখি একটু উঁচুতে এক বিরাট বাঁধানো চাতাল, অনেকটা বড়ো মঞ্চের মতো। তার সামনে বালির ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু মানুষ আর মাথার ওপর চাঁদোয়ার মতো নারকেল পাতা দিয়ে বোনা বিরাট ছাউনি। তার নিচে অন্তত এক হাজার মানুষ বসতে পারে। ২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে মানুষের জমায়েতের জন্য তৈরি করা হয়েছে এটা।
উদয়কুমার ওখানেই কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি আসার পর আমাদের সবাইকে ওই অফিসের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ভেতরের উঠোনে আর একটা নারকেল-পাতার চালার নিচে। আধো অন্ধকারে ওখানে গোল হয়ে বসে আমাদের আলাপ-পর্ব চলল প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে। এস পি উদয়কুমার পরমাণু প্রকল্প বিরোধী ওই সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর, ওখানকার চলমান আন্দোলনের নেতা। কিন্তু তাঁর হাবভাব মোটেই নেতাসুলভ নয়। খুব খোলামেলা পরিষ্কার তাঁর কথাবার্তা। নিজেকে জাহির করার চেষ্টা নেই। নানারকম প্রশ্নে এতটুকু বিরক্ত না হয়ে ধৈর্য্য ধরে উত্তর দিয়েছেন, যেটার উত্তর জানা নেই সেটাও খোলামেলা বলেছেন। আর ওঁর হাসিটাও খুব দরাজ, আমার খুব ভালো লেগেছে। এই সাক্ষাৎকারের বিবরণ গত ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ সংখ্যার সংবাদমন্থনে প্রকাশিত হয়েছে। এই কথোপকথন চলাকালীন একজন মাঝবয়সি শক্তপোক্ত আটপৌরে চেহারার মহিলা এসে হাজির হলেন। শুনলাম ইনিই হলেন মেলরিট। মেলরিট আর জেভিয়ার আম্মা গতবছর ৬ আগস্ট পরমাণু শক্তি বিরোধী সভায় কলকাতায় এসেছিলেন তাঁদের আন্দোলনের কথা জানাতে।
তাঁদের কথা শুনে সেদিন স্টুডেন্টস হলে অনেকেই আলোড়িত হয়েছিলেন। মেলরিট ইংরেজি বা হিন্দি জানেন না, বাংলা তো নয়ই। কিন্তু আমাদের ওই সন্ধ্যার আড্ডায় এসে মেহের ইঞ্জিনিয়ারকে দেখেই এমনভাবে হেসে হাতটা জড়িয়ে ধরলেন যেন কতদিনের চেনা। তারপরের দুদিনে মেলরিটকে দেখেছি সবসময়ই সমস্ত কাজে অক্লান্তভাবে অংশ নিতে, কখনো বাইরে থেকে আগত বন্ধুদের খাওয়ানোর আয়োজনে ব্যস্ত, কখনো মঞ্চ পরিষ্কার করছেন, কখনো পথ-পরিক্রমার সময় বাজনার তালে তালে অন্যদের সঙ্গে নাচছেন — কোথায় নেই উনি?
উদয়কুমারের কাছে আমরা জানতে পারলাম একটা পুরোপুরি অহিংস শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে রাষ্ট্রশক্তি কীভাবে হিংস্র কায়দায় মোকাবিলা করছে। হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে, রাষ্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, হত্যার চেষ্টা — এমন ভুরিভুরি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আন্দোলনকারীদের দমন করার চেষ্টা চলছে। ৬৬ জনকে এতদিন জেলে আটক করে রাখার পর সম্প্রতি কয়েকজনকে জামিনে ছাড়া হয়েছে, তার মধ্যে জেভিয়ার আম্মাও আছেন। তাঁদের গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়েছে। ইডিনথাকারাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাকে অগ্রাহ্য করেই ৩০, ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি এখানে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে গোয়া, কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি এবং চেন্নাই ও মাদুরাই থেকে কিছু লোক এখানকার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে গেছেন। দিল্লি থেকে আম আদমি পার্টির কর্মী এক দম্পতি তাঁদের মেয়েকে নিয়ে আগেই এসে পৌঁছেছেন। সবার সাথে উদয়কুমার আলাপ করিয়ে দিলেন। এরপর রাতের খাবার খেতে গেলাম গ্রামের মধ্যে বিয়ের জন্য তৈরি এক বিশাল হলে। গরম গরম ইডলি-সম্বর-বড়া-রসম দিয়ে নৈশভোজ সারা হল। গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমি আর জিতেন যেহেতু একই পরিবারের, তাই আমাদের দুজন এবং সেই সঙ্গে গোয়ার বন্ধু আন্দ্রিয়া আর স্টেফিকে একটা বাড়িতে পাঠানো হল।
ওই বাড়িতে যে যুবতী হাসিমুখে আমাদের অভ্যর্থনা জানালো, তার নাম শশী। ভাঙা ইংরেজিতে কাজ চলার মতো একটু আলাপ হল। পরপর তিন রাত ওখানে থেকেছি। সকালের নাস্তা এবং দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা সেই ওয়েডিং হলে। শশীর পুরো নাম অ্যান্টনি শাকাই শশীকলা। ওর স্বামী কাজের সূত্রে থাকেন আবুধাবিতে। শশীর দুই ছেলে। এটা ওর বাপের বাড়ি। ভাই-বউয়ের বাচ্চা হবে বলে মা গেছেন ভাইয়ের বাড়ি। শশী ওর দুই ছেলে আর বাবা এখানে রান্না-খাওয়া সেরে দুই কামরার বাড়িটা আমাদের থাকার জন্য ছেড়ে দিয়ে রাতে অন্য বাড়িতে চলে যেত। বেডরুম একটাই, সেখানে খাটে দুজন শোয়া যায়। আন্দ্রিয়া আর স্টেফি আমাদের জোর করে সেখানে শুতে পাঠিয়ে নিজেরা বসার ঘরের মেঝেতে মাদুর পেতে শুয়ে পড়ত। তবে ওরা অনেক রাত অবধি সী-বিচে কাটিয়ে তবে শুতে আসত। অবাক হয়ে দেখতাম ওখানে ঘরের দরজায় তালাটালা লাগানোর তেমন ঝামেলা নেই। চুরি হওয়ার কোনো ভয় নেই মনে হল।
৩০ ডিসেম্বর সকালের অভিজ্ঞতা
সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি গরম গরম কফি হাতে শশীর হাসি মুখ। ও হাতে করে মেটে আলুর মতো লম্বা দুটো জিনিস এনে দেখালো। বলল এটা আমাদের তৈরি করে খাওয়াবে। সকালে ওয়েডিং হলে পোঙ্গল (ফ্রায়েড রাইস জাতীয়) দিয়ে প্রাতরাশ করা সত্ত্বেও আবার ওর বাড়িতে গিয়ে ওটা চেখে দেখতে হল, নারকেল কোরা আর চিনি সহযোগে ভারী মজাদার খানা। আগের রাতে উদয়কুমার বলেছিলেন সমুদ্রের ধার দিয়ে পরমাণু প্রকল্পের দিকে যাওয়া যাবে। গির্জার সামনে মানুষের জমায়েতের ওই জায়গাটায় যেসব খুঁটি পোঁতা আছে, একদল মহিলা আর বাচ্চা রঙিন কাগজ আর আঠা দিয়ে সেখানটা সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আন্দ্রিয়া আর স্টেফি পরম উৎসাহে ওই কাজে লেগে পড়ল, ভাষাটা কোনো বাধাই হল না ওদের সঙ্গে মিশে যেতে। তার আগে ভোরবেলা সমুদ্রের ধারে গিয়ে স্টেফি আর আন্দ্রিয়ার সঙ্গে আমাদের ভালো করে আলাপ হল। ওরা আমাদের দু-তিনটে গান গেয়ে শোনালো, ইংরেজিতে। আমাদেরও গাইতে বলল। আমরা শোনালাম বাংলা গান — ‘ডিঙা ভাসাও সাগরে সাথিরে’। ওদের গানের কথাগুলো খুব সুন্দর আর অর্থবহ।
একটু বেলার দিকে সুযোগ হল একটা গাড়িতে চড়ে সুনামি কলোনিতে যাওয়ার। ইডিনথাকারাই গ্রামের যে বসতিগুলো ২০০৪ সালের সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাদের পুনর্বাসনের জন্য ‘কাসা’ নামে একটি সংস্থা গ্রামের এক প্রান্তে ২০০৬ সালে ৪৫০টি বাড়ি তৈরি করে দিয়েছিল। ওখানে একটা নির্মীয়মান দোতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে পৌঁছে দেখলাম মধু-হরি এবং আরও কয়েকজন ইতিমধ্যে সেখানে হাজির। একদল বাচ্চা সেখানে লাফালাফি-ছোটাছুটি করছে। ওখান থেকে কুডানকুলাম প্রকল্পের দুটো বড়ো বড়ো ডোম স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। জিতেনের হাত থেকে ক্যামেরা নিয়ে বাচ্চারাই সুন্দর ছবি তুলে দিল। ওদের সঙ্গেও আমাদের ভাব হয়ে গেল। একটি ছেলে এগিয়ে এসে কিছু বলতে শুরু করল, ওকে ঘিরে আমরা সবাই। ছবি তোলা হল, ওর কথা রেকর্ড করা হল। ছেলেটি বলল, ও নাইন্থ স্ট্যান্ডার্ডে পড়ে। খুবই দক্ষ বক্তার মতো একটানা উত্তেজিতভাবে বলে গেল কেন ওরা পরমাণু প্রকল্প চায় না। ওরা টিভিতে দেখে জাপানের ফুকুশিমার দুর্ঘটনার কথা জেনেছে। কালপক্কম পরমাণু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে ফাটলের ফলে যে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল সেটার কথাও ওরা জানে। গত সেপ্টেম্বর মাসে যখন ইডিনথাকারাই গ্রামের গির্জার মধ্যে পুলিশ ঢুকে পড়ে মাতা মেরির মূর্তির মাথাটা ভেঙে দেয় এবং গির্জার ভিতরে পেচ্ছাপ করে — সেসবই এই বাচ্চারা স্বচক্ষে দেখেছে। আন্দোলনের কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছে ওরা। ওর কথাগুলো ইংরেজিতে তর্জমা করছিল হরি। শুনলাম, এই ছেলেটি জেভিয়ার আম্মার ভাইপো হয়।
বাচ্চারা এই কলোনিতেই থাকে। ওই পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদে এবং দোতলার হলঘরের দেওয়ালে তারা পেনসিল দিয়ে বড়ো বড়ো কার্টুনের মতো ছবি এঁকেছে — জয়ললিতা, মনমোহন সিং আর তাঁর দূত নারায়নস্বামীকে ব্যঙ্গ করে। আমরা যখন ওই পাড়া থেকে ফিরে আসছি, ছেলের দল ছুটে ছুটে এসে আমাদের দাঁড় করাল। ইগ্নিশাশ আরাসু নামে ক্লাস সিক্সের একটি ছেলে এগিয়ে এসে আরও চোস্ত একটা বক্তৃতা দিল আন্দোলনের সমর্থনে। ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গান্ধীবাদী পথে আমাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু সরকার লাঠি-গুলি চালিয়ে আর জেলে আটক করে আমাদের আন্দোলনকে দমন করতে চাইছে। কেন সরকার আন্দোলনকারীদের কথা শুনতে চাইছে না? এই পরমাণু প্রকল্প যদি এতই নিরাপদ হয়, তবে রাশিয়া এটা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে চালু করুক। আমরা তামিলনাড়ুর মানুষ হিসেবে খেটে খেয়ে সুখেই আছি। আমরা চাই না এখানে কোনো পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প হোক।’ সে শ্লোগান দিল :
ভেন্ডা ভেন্ডা আনুলাই ভেন্ডা
মোডু মোডু আনুলাই মোডু
অর্থাৎ ‘আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প চাই না, এখনই এই প্রকল্প বন্ধ করো’। নারায়ণস্বামীকে ব্যঙ্গ করে একটা গানও গেয়ে শোনালো ইগ্নিশাশ। ক্রমশ
Leave a Reply