• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

‘কি করন যাইবো? মাছ-ই তো নাই’

July 5, 2013 admin Leave a Comment

দীপঙ্কর দে সরকার, কোচবিহার, ২৯ জুন#

হাওড়ার দানেশ শেখ লেনের মাছ বাজার। ছবি উইকিমিডিয়ার।

হাওড়ার দানেশ শেখ লেনের মাছ বাজার। ছবি উইকিমিডিয়ার।

সম্প্রতি কোচবিহার জেলায় মাছের আকাল চলেছে। বছরের এই সময়টা এমনটি হবার কথা ছিল না। কোচবিহার শহরের পাঁচটি বাজারের খোঁজখবর করতে গিয়ে জানা গেল এমন আকাল আরও বেশ কিছুদিন চলবে। কেন এমনটা হল? জিগগেস করতেই উত্তর এল আবদার আলির কাছ থেকে। আমি বাজারে এলেই আবদার চাচার কাছ থেকে মাছ কিনি। আবদার চাচা গত চল্লিশ বছর ধরে মাছের কারবার করছেন কোচবিহার শহরের রাসমেলা ময়দানের পাশের দেশবন্ধু বাজারে। প্রাক বর্ষার বৃষ্টি সত্ত্বেও এমন মৎস্য সঙ্কট সত্যি বিরল। গতকাল দেশবন্ধু মাছের বাজারে মাছ নিয়ে আসা বিক্রেতাদের কাছে খুব সামান্যই স্থানীয় মাছ দেখতে পেলাম, এরপর বাজার ঘুরে শেষপর্যন্ত আমি আবদার চাচার কাছে গিয়ে বললাম,\\
— চাচা, মাছে তো হাতই দেওয়া যাচ্ছে না, ট্যাংরা-পাবদা ৬০০ টাকা। শিঙ্গি মাগুর ৭০০ টাকা, দারকা পুঁটি ৩০০ টাকা, এমনকী ৫০ গ্রাম ওজনের বাটা পর্যন্ত ৩০০ টাকা কেজি দরে হুহু করে বিক্রি হচ্ছে।\\
— কিছু করনের নাই। নিতে হইলে ওই দরেই নিতে হইবে। আমরা সবাই অনেক দর দিয়াই কিনা আনছি।\\
— তাই বলে এত বেশি দাম?\\
— কি করন যাইব? মাছ-ই তো নাই।\\
— কেন এই সময়ে মাছ তো থাকার কথা, কিন্তু কেন নাই?\\
— তা বলতে পারুম না, কিন্তু লোকে কয় ভূটান পাহারের ডলোমাইট বৃষ্টির জলে ধুইয়া আইসা মাছের বারোটা বাজাইতেছে।\\
— সে না হয় নদীতে মাছ কমেছে, বৈরালী মাছ আর আগের মতো পাওয়া যায় না, তা বলে কি পুকুরের চাষের মাছও থাকবে না?\\
— কি কইরা থাকব? জমিতে যে বিষগুলান ঢালা হয়, তার অ্যাকশন নাই? মাছ যা পুকুরে ছাড়া হয় তার সিকিভাগও টেকে না।\\
— কিন্তু আরও অনেক মাছ আছে যা দু-তিন বছর আগেও যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যেত, যেমন ধরো পুঁটি, মৌরলা, কাকিলা, চাপিলা, ট্যাংরা, কলাগাছি, খলিশা, ভ্যাদা, সাঁটি, কৈ, মেনি। এরা গেল কোথায়?\\
— কী কই? এই মাছগুলান ডিম পাড়নেরই সুযোগ পায় না, তো মাছ হইব ক্যামনে? ডিমগুলান সব মাছের সঙ্গে পাবলিকের প্যাটে যায়। তাছাড়া চাইরদিক এমন হইছে ডিম পাইরলেও সব মনে হয় বাঁচে না।\\
— আচ্ছা চাচা এইগুলা বন্ধ কইরা আবার স্থানীয় মাছে বাজার ভরন যায় না?\\
— ক্যাড়া বন্ধ করব?\\
— কেন? সরকার?\\
আবদার চাচা শুনে একটু ম্লান হাসি হাসলেন। আমি সে হাসির মধ্যে আর যাই হোক, আশার কোন রূপালি রেখা অন্তত দেখতে পেলাম না।

কৃষি ও গ্রাম কোচবিহার, চড়া দাম, মাছ

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in